স্টাফ রিপোর্টার:
সুনামগঞ্জের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে রবিবার সকালে হরতাল অবরোধের সমর্থনে বিএনপি নেতাকর্মীরা যানবাহন চলাচলে বাধা দেওয়ার সময় পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশকে একদিকে রেখে বিএনপি নেতাকর্মীরা তিন দিক থেকে এলোপাথারি ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। আশাপাশের ছাদ থেকেও পুলিশকে ঢিল ছোরা হয় বলে প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা জানিয়েছেন। এই অবস্থায় পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে। এসময় বিএনপি নেতাকর্মীদের ইটপাটকেলের আঘাতে সহকারি পুলিশ সুপার ও সদর থানার ওসিসহ সাত পুলিশ আহত হয়েছেন। পুলিশ বিএনপির ৬ নেতাকর্মীকে আটক করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ এসল্ট মামলার প্রস্তুতি চলছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে রবিবার বেলা ১১ টায় শহরের পুরাতন বাসস্টেশন এলাকায় কয়েকদিন থেকে প্রস্তুতি নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা পিকেটিং করতে থাকেন। এসময় পুলিশ বাধা দিলে জামতলা, বিআরটিসি বাসকাউন্টার ও রেজিয়া হোটেলের মুখের গলি থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের উপর এলোপাথারি ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। একসঙ্গে বিভিন্ন দিক থেকে এলোপাথারি আক্রমণে হতভম্ব পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এসময় ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। প্রায় ২০ মিনিট পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিএনপি নেতাকর্মীদের ইটপাটকেলের আঘাতে সহকারি পুলিশ সুপার জাহিদ হাসান খান ও সদর থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীসহ ৭ পুলিশ আহত হন। আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এদিকে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পুরাতন বাসস্টেশন এলাকার লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পরেন। তারা দোকান পাট বন্ধ করে দেন। পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাস বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা নাশকতার চেষ্টা করলে আমরা বাধা দেই। তখন তারা কয়েকদিক থেকে আমাদের উপর হামলা করে। হামলায় আমাদের কয়েকজন পুলিশ আহত হয়েছে। সংঘর্ষে জড়িত ৬জনকে আমরা আটক করেছি। সংঘর্ষের সময় টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।