হাওর ডেস্ক::
দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানহানি ঠেকাতে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে সরকার। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক অভিযোগ আনা হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হবে। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) সম্প্রতি এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে এবং দ্রুত একটি পরিপত্র জারির সুপারিশ করেছে।
সূত্র জানায়, ২৪ জুন জামুকার ৯৮তম সভায় এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় জামুকার চেয়ারম্যান ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজমের সভাপতিত্বে বলা হয়, প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে বারবার মিথ্যা অভিযোগ এনে স্বাধীনতাবিরোধীরা তাঁদের সম্মানহানি ও হয়রানি করছে। এই অপচেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার বিকল্প নেই।
সভায় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক শাহিনা খাতুন জানান, অধিকাংশ অভিযোগই ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, যা কখনো কখনো দুর্নীতির সঙ্গেও সম্পর্কিত। অনেকেই অভ্যাসগতভাবে একাধিকবার একই মিথ্যা অভিযোগ করছেন, যার ফলে শুধু সরকারি সময় ও অর্থের অপচয় হচ্ছে না, বরং দেশের গর্বিত মুক্তিযোদ্ধারা বারবার অযথা হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে এতদিন আইন অনুযায়ী নির্দিষ্ট শাস্তির বিধান না থাকায় তারা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি থেকে বেঁচে যাচ্ছিল। তবে এবার সরকারের স্পষ্ট সিদ্ধান্ত— এমন কার্যকলাপে আর ছাড় নেই। সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান রক্ষায় বিদ্যমান আইন অনুযায়ী মিথ্যা ও হয়রানিমূলক অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা ও কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
মন্ত্রণালয় দ্রুতই এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করতে যাচ্ছে, যাতে স্পষ্টভাবে বলা হবে— স্বাধীনতা অর্জনে অবদান রাখা মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করলে সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহির আওতায় আনা হবে। এতে বীর মুক্তিযোদ্ধারা যেমন সম্মান পাবেন, তেমনি স্বাধীনতাবিরোধীদের অপপ্রচারও বন্ধ হবে।
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল ও সরকার সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছে— মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও হয়রানিমূলক অভিযোগ থেকে বিরত থাকুন। অন্যথায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।