হাওর ডেস্ক::
চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর ২০২5 থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ায় নতুন নিয়ম চালু করছে কানাডা। স্টাডি পারমিট বা শিক্ষা ভিসার ক্ষেত্রে আর্থিক সক্ষমতা (ব্যাংক সলভেন্সি) সংক্রান্ত নীতিমালায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কানাডায় এক বছরের জীবনযাত্রার খরচ হিসেবে ২২,৮৯৫ কানাডিয়ান ডলার (আগে ছিল ২০,৬৩৫ ডলার) আলাদাভাবে দেখাতে হবে। এই অর্থ টিউশন ফি ও ভ্রমণ খরচ বাদ দিয়ে জমা থাকতে হবে।
উদাহরণস্বরূপ:
যদি কোনো শিক্ষার্থীর বার্ষিক টিউশন ফি হয় ২০,০০০ কানাডিয়ান ডলার এবং আনুমানিক ২,৫০০ ডলার ভ্রমণ ও অন্যান্য খরচ ধরা হয়, তাহলে তার মোট সলভেন্সি দেখাতে হবে প্রায়:
২২,৮৯৫ ডলার (জীবনযাত্রা)
২০,০০০ ডলার (টিউশন ফি)
২,৫০০ ডলার (ভ্রমণ ও অতিরিক্ত খরচ)
মোট: ৪৫,৩৯৫ কানাডিয়ান ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় আনুমানিক ৪১-৪২ লাখ টাকা)
যদি শিক্ষার্থী পরিবারসহ কানাডায় যেতে চান, তাহলে জীবনযাত্রার ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যাবে। যেমন:
স্ত্রী/স্বামীর জন্য: অতিরিক্ত ৫,৬০৭ ডলার
১ সন্তানসহ: ৩৫,০৪০ ডলার
২ সন্তানসহ: ৪২,৫৪৩ ডলার
অতিরিক্ত প্রতি সদস্যের জন্য: ৬,১৭০ ডলার
সলভেন্সি দেখানোর উপায়সমূহ:
নিজের নামে বাংলাদেশের ব্যাংকে টাকা জমা
শিক্ষা ঋণ বা স্কলারশিপ
স্পনসরশিপ লেটার (পরিবার/আত্মীয়)
কানাডার ব্যাংকে ফান্ড
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ডিং ডকুমেন্ট
যারা ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫-এর আগে আবেদন করবেন, তারা পুরনো নীতিমালা অনুযায়ী ২০,৬৩৫ ডলার দিয়ে আবেদন করতে পারবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা আবেদনেও সতর্কবার্তা: জাল নথি দিলে আজীবনের নিষেধাজ্ঞা
একই সময়ে, যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা আবেদনকারীদের জন্য আরও কঠোর বার্তা দিয়েছে ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস। সোমবার (২১ জুলাই) দূতাবাসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জানানো হয়, জাল কাগজপত্র বা মিথ্যা তথ্য জমা দিলে শুধু ভিসা বাতিলই নয়, বরং আবেদনকারীকে আজীবনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষিদ্ধ করা হতে পারে।
দূতাবাস জানায়, ভিসা আবেদনে কোনো ধরনের জাল নথি ধরা পড়লে বা আবেদনকারী সম্পর্কে নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট তথ্য পাওয়া গেলে, তা যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোর কাছে জানানো হবে। এতে ফৌজদারি মামলার সম্ভাবনাও রয়েছে।
এর আগেও (১৮ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস কড়া বার্তা দিয়ে জানায়, “এই গল্প আমরা আগেও শুনেছি।” ভিসা অফিসাররা জালিয়াতির নতুন কৌশল সম্পর্কে সচেতন এবং আবেদনকারীদের তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়।
একটি পোস্টে দূতাবাস আরও জানায়, ডিএস-১৬০ ফর্মে গত পাঁচ বছরে ব্যবহৃত সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইউজারনেম বাধ্যতামূলকভাবে দিতে হবে। গোপন করলে ভিসা বাতিল ছাড়াও ভবিষ্যতে আবেদন করার যোগ্যতাও হারাতে হতে পারে।