বিশেষ প্রতিনিধি ::
রাজনীতিতে তৃণমূলই ভিত্তি। সেই গণভিত্তিকে পাথেয় করে তৃণমূল থেকে ধাপে ধাপে এগিয়ে এখন জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় রাজনীতিতেও আলোচনায় উঠে এসেছেন জামালগঞ্জের বাসিন্দা তরুণ রাজনীতিক মো. মাহবুবুর রহমান। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সুনামগঞ্জ-১ (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, মধ্যনগর ও ধর্মপাশা) আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে মাঠপর্যায়ে সক্রিয় আছেন তিনি। সংগঠনের প্রতি তার নিষ্ঠা, দলের আদর্শে অবিচলতা ও ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি ইতোমধ্যে দলীয় নেতাকর্মীদের দৃষ্টি কেড়েছে। কেন্দ্র থেকে প্রান্ত পর্যন্ত নেতাকর্মীদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।
নির্বাচনী এলাকার জাতীয়তাবাদী দলের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ জানান, পারিবারিকভাবেই জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে বেড়ে উঠেছেন মাহবুব। তার পরিবার বিএনপির দুর্দিনেও শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক আদর্শকে জলাঞ্জলি দেয়নি। প্রয়াত পিতা হুমায়ুন কবির ছিলেন জামালগঞ্জ উপজেলা যুবদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সুনামগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। চাচা, মামা, এমনকি ছোট ভাইও সক্রিয়ভাবে যুক্ত রয়েছেন বিএনপির রাজনীতিতে। এমন একটি রাজনৈতিক ঐতিহ্যবাহী পরিবার থেকে উঠে এসেছেন মাহবুব। পরীক্ষিত জাতীয়তাবাদী পরিবারের নেতা হিসেবে তাকে নিয়ে গর্ব করেন নির্বাচনী এলাকার নেতাকর্মীরা।
ছাত্রদল থেকে রাজনীতির হাতেখড়ি নিয়ে মাহবুবের যাত্রা শুরু হয়। জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর একে একে উপজেলার সাধারণ সম্পাদক, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সদস্য এবং সর্বশেষ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সিলেট বিভাগ যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বও দক্ষতার সঙ্গে পালন করেছেন।
মাঠে থাকা, মানুষের সঙ্গে হৃদ্যতা গড়ে তোলা এবং রাজনীতিতে শালীনতা বজায় রেখে জাতীয়তাবাদী শক্তির ঝান্ডাকে নিয়ে এগিয়ে চলা-এই নৈতিক শক্তিকে পুঁজি করে মাহবুব এখন তৃণমূলের আস্থার প্রতীক। জামালগঞ্জ, তাহিরপুর, মধ্যনগর ও ধর্মপাশা-এই চার উপজেলায় ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তরুণ ভোটার থেকে শুরু করে প্রবীণ নেতাকর্মীরাও তার সাংগঠিনক কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, মাহবুব শুধু একজন সচেতন দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদই নন, একজন সহানুভূতিশীল মানুষ হিসেবেও পরিচিত। এলাকার গরিব, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো, নির্যাতিত কর্মীদের সহায়তা করা এবং জাতীয়তাবাদী রাজনীতির উন্নয়ন দর্শনকে ছড়িয়ে দেওয়ার এই কাজগুলো নীরবে, কিন্তু নিরলসভাবে করে যাচ্ছেন তিনি।
স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ আমলে তার বিরুদ্ধে একাধিক রাজনৈতিক মামলা হয়েছিল বলে জানা গেছে। তবুও আন্দোলন থেকে পিছু হটেননি। রাজপথে থেকে দলীয় আদর্শের পক্ষে লড়াই করেছেন। এই সংগ্রামী পরিচয় তাকে আলাদা করে তুলেছে দলীয় মহলে।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় যুবদলের পক্ষ থেকে সিলেট বিভাগের দায়িত্ব পেয়ে সফলভাবে কর্মসূচি পরিচালনা করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন মাহবুব। এতে তার সাংগঠনিক দক্ষতা এবং নেতৃত্বগুণের প্রমাণ পেয়েছেন তৃণমূল ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
মনোনয়ন প্রসঙ্গে মাহবুব বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী আদর্শ আমার রক্তে মিশে আছে। পরিবার থেকেই এই শিক্ষা পেয়েছি। স্বাধীনতার ঘোষক শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আপোসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছি। তৃণমূল নেতাকর্মীরা আমার পক্ষে মাঠে নেমেছেন। আমি মনোনয়ন পেলে ধানের শীষে জোয়ার আসবে বলে আশাবাদী। এই আসনটিকে জাতীয়তাবাদী শক্তির আসন হিসেবে রূপান্তর করাই আমার লক্ষ্য।
এদিকে রাজনৈতিক সচেতন মহলের মতে স্থানীয় পর্যায়ে তার প্রতি ব্যাপক গণসমর্থন তৈরি হয়েছে। এখন শুধু আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষা। দলীয় মনোনয়ন পেলে তিনি এই আসনে ধানের শীষ প্রতীকে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করছেন তারা। সম্ভাবনাময় তরুণ নেতা হিসেবে মাহবুব অভিজ্ঞতা, নিষ্ঠা ও আদর্শ নিয়ে তৃণমূল থেকে জাতীয় মঞ্চে গুররুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন এই প্রত্যাশা নির্বাচনী এলাকার জনগণের।