ডেস্ক রিপোর্ট::
সিলেট জেলার সকল পাথর কোয়ারি অনতিবিলম্বে খুলে দেওয়ার দাবি এবং স্টোন ক্রাশার মিলের বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরুদ্ধার ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করার প্রতিবাদে সিলেট জেলা ক্রাশার মিল মালিক, শ্রমিক ও ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের ডাকে আজ শনিবার (৫ জুলাই) থেকে ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি শুরু হয়েছে।
এই কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে জৈন্তাপুর ছিন্নমূল মিনি স্টোন ক্রাশার মিল মালিক সমিতি-ও কর্মবিরতিতে অংশ নিচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার (৪ জুলাই) জৈন্তাপুর উপজেলার ৪ নম্বর বাংলা বাজার সমিতির কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। ঘোষণায় জানানো হয়, কর্মবিরতির অংশ হিসেবে জৈন্তাপুর উপজেলার বাংলা বাজার, আসামপাড়া, শ্রীপুর, আলুবাগানসহ সকল স্টোন ক্রাশার মিল এবং ভাইব্রেটর সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে। সেই সঙ্গে ট্রাক লোডিং-আনলোডিং ও ফেলুডার পরিচালনাও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৪ নম্বর বাংলা বাজার ছিন্নমূল মিনি স্টোন ক্রাশার মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, “জেলার আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে আমরা ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতিতে অংশ নিয়েছি। পাথর সংশ্লিষ্ট সকল ব্যবসায়ী, মিল মালিক ও শ্রমিক সংগঠন এতে একযোগে যুক্ত হয়েছে। আগামীতেও আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবো।”
সমিতির সভাপতি আবু সুফিয়ান বিলাল বলেন, “জৈন্তাপুরের পাথর শিল্প বর্তমানে আমদানিকৃত পাথরের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে মিল মালিকরা লোকসানে রয়েছেন। সনাতন পদ্ধতিতে কোয়ারি পুনরায় চালুর দাবি আমরা বহুদিন ধরেই জানিয়ে আসছি। এরই মধ্যে স্টোন ক্রাশার মিলের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করায় হাজারো পরিবারের জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “জেলার ব্যবসায়ী, মালিক ও শ্রমিকদের দাবি আমাদের যৌক্তিক মনে হয়েছে। ভবিষ্যতে পাথর শিল্প রক্ষায় প্রয়োজন হলে সিলেটের সকল মিল মালিক, শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কর্মসূচি পালন করবো।”