মোঃ মোশফিকুর রহমান স্বপন::
সুনামগঞ্জ জেলার হাওরাঞ্চল খ্যাত ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নে এখনই বইছে নির্বাচনী হাওয়া। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নানাভাবে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন। অনলাইন অফলাইনে প্রতিদিনই এই প্রচারণা লক্ষ্য করা গেছে।
ধর্মপাশা উপজেলায় ১০ টি ইউনিয়ন রয়েছে। এর মধ্যে সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়ন যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের দিক দিয়ে এখনো অনেক পিছিয়ে। নির্বাচনের মেয়াদ শেষ হতে না হতেই চেয়ারম্যান পদে একাধিক নতুন প্রার্থী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। এ পর্যন্ত অন্তত অর্ধ ডজন প্রার্থী নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থীতা ঘোষণা করে প্রতিদিনই প্রচারণা চালাচ্ছেন। কখনো বাড়ি বাড়ি, কখনো হাট বাজার গিয়ে পরিচিত হচ্ছেন ভোটারদের সঙ্গে। অনেকে জনবহুল এলাকায় সাটিয়েছেন ব্যানার ও বিলবোর্ড। অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রচারণা চালাচ্ছেন।
সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নে এ পর্যন্ত ৬ জন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীকে মাঠের প্রচারণায় দেখা গেছে।
ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময়সহ দলীয় প্রতিক পাওয়ার জন্য তদবিরও করছেন তারা। তাছাড়া বিএনপির নেতা কর্মীরাও কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
এ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মাঠে প্রচারকারী ৬ জন প্রার্থী হলেন, সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম, ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ফরহাদ আহমেদ, সুনামগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আসাদুজ্জামান সেন্টুর সহধর্মিণী নাছরিন সুলতানা দীপা, ধর্মপাশা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহিত লাল তালুকদার মুন, সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ জাকির হোসেন, এলজিইডি তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী গোপাল চন্দ্র সরকারের ছোট ভাই সুমন চন্দ্র সরকার (বি এস এস, এম এস এস)। তাছাড়া আরো একাধিক প্রার্থী সময়ে প্রার্থীতা ঘোষণা করে প্রচারনায় আসবেন বলে জানা গেছে।
ভোটাররা জানান, দলীয় প্রতিকে নির্বাচন হলে ভোটারদের অনাগ্রহই বেশি। কেননা স্হানীয় সরকার নির্বাচনে দলের চেয়ে পাড়া প্রতিবেশী, আত্মীয় স্বজনদের সমর্থন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। দলীয় প্রতিকে নির্বাচন হলে সেই সুযোগ পাবেননা ভোটাররা।