স্টাফ রিপোর্টার:
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ব্যবসায়ীকে মারধরের ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে স্থানীয় ব্যবসায়ী জনতা বিক্ষোভ করায় উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৫৫জনকে আসামি করে নাশকতার মামলা করেছিল পুলিশ। রবিবার হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুলসহ ৫৫জন। গত ৪ নভেম্বর রাতে বাজারের নিরীহ ব্যবসায়ী বেলায়েত হোসেনকে ডেকে নিয়ে কারণ ছাড়াই মারধর করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার পূর্ণেন্দু দেব। পরদিন এলাকাবাসী স্বতস্ফুর্ত প্রতিবাদ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অপসারণ দাবি করে বিক্ষোভ করেন। পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের হস্থক্ষেপে বিক্ষোভকারীরা স্বান্ত হন। এ ঘটনায় ক্ষমা চান উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এ ঘটনায় ৬ নভেম্বর মামলা দায়ের হয়েছিল।
রাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে ১৮ জন বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ। তাহিরপুর থানার ওসি নন্দন কান্তি ধর ওইদিন সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে ১৮জনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ঘটনায় মামলা দায়ের করবেন। কিন্তু বিকেলে ঘটনার শালিসকারী উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল ও ইউপি চেয়ারম্যান বুরহান উদ্দিন এবং নির্যাতিত ব্যবসায়ী বেলায়েত সহ ৫৫জনের নাম উল্লেখ করে নাশকতার মামলা দায়ের করে পুলিশ।
রবিবার হাইকোর্টে উপস্থিত হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন মামলার আসামিরা। আদালত তাদের জামিন দিয়েছেন। আসামিদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন ব্যারিস্টার জয়নাল আবেদীন।
তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, আমি শালিসকারী ছিলাম। কিন্তু আমাকেই প্রধান আসামি করা হয়েছিল। আদালত আমাদের জামিন দিয়েছেন। তবে নিরপরাধ মৎস্যজীবী ও দিনমজুরদের আসামি করায় খুব খারাপ লাগছে। তাদের পরিবার না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।