1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
পৃথিবীকে গুরুত্ব দিয়ে এডিবির সেফগার্ড পলিসি সংশোধনের দাবিতে সুনামগঞ্জে অভিনব কর্মসূচী পরকীয়ার অভিযোগে স্ত্রীকে খুন করার ঘটনায় স্বামীর যাবজ্জীবন চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২.২ ডিগ্রি অব্যাহত! সুনামগঞ্জে প্রাণ ও প্রকৃতির সুরক্ষায় ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপন কার্যক্রম শুরু গরমে অতি উচ্চ ঝূকিতে শিশুরা, ইউনিসেফের সতর্কতা কক্সবাজারে কতজন রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে জানতে চান হাইকোর্ট সোনার দাম ২১০০ টাকা কমলো প্রতি ভরিতে সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ভুতুড়ে বিলে দুশ্চিন্তায় দিনমজুর কবীর দিরাই-শাল্লায় উপজেলা নির্বাচনে প্রতীক পেলেন ২৯ প্রার্থী সুনামগঞ্জের চার উপজেলায় ৫৫জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ

কাল পবিত্র ঈদুল আজহা

  • আপডেট টাইম :: শুক্রবার, ৩১ জুলাই, ২০২০, ৮.০৭ পিএম
  • ২০২ বার পড়া হয়েছে

হাওর ডেস্ক::
ঈদ মানেই আনন্দ ও ত্যাগের মহিমা। কিন্তু করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে আতঙ্ক ও অস্বাভাবিক পরিস্থিতির মুখে গেল ঈদুল ফিতরের আনন্দ মাটি হয়ে যায়। সেই তুলনায় এবার ঈদুল আজহায় মানুষ কিছুটা হলেও উদ্দীপনা নিয়ে ঝুঁকছে ঈদের দিকে। তবে নেই ঈদের নিরঙ্কুশ আনন্দঘন পরিবেশ। এমনকি কোরবানির ধর্মীয় আচার পালনেও ঘটছে বিঘ্ন। করোনার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বন্যার দুর্যোগ। সব মিলিয়ে আগামীকাল দেশের মুসলমানরা পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া এক ঈদ উদ্‌যাপন করতে যাচ্ছেন।

জীবনযাত্রার অপরিহার্য হয়ে ওঠা স্বাস্থ্যবিধিকে রক্ষাকবচ ধরেই সরকার উন্মুক্ত রেখেছে ঈদ উদ্‌যাপনের যাবতীয় আয়োজন। তবে ঘরে-বাইরে সেই রক্ষাকবচে পাত্তা নেই মানুষের। যানবাহন চলাচল উন্মুক্ত থাকায় বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করেই ঢাকাসহ শহরগুলো ছেড়ে অনেকে ছুটছে গ্রামের বাড়িতে। কয়েক দিন বাস-ট্রেন-লঞ্চে ভিড় তেমন না থাকলেও বুধবার বিকেল থেকে পাল্টে যায় চিত্র। বিশেষ করে নৌপথে বেড়ে যায় ভিড়। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে স্বাভাবিক সময়ের ঈদ যাত্রার মতোই লাখো মানুষের ঢল বয়ে যায় ঢাকার সদরঘাট অভিমুখে। সামাজিক দূরত্ব কিংবা স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে যাত্রী বোঝাই করে গন্তব্যে রওনা দেয় একেকটি লঞ্চ।

বাস-ট্রেনেও গতকাল ভিড় আগের মতোই ঠাসাঠাসি পর্যায়ে দেখা গেছে। অন্যদিকে কয়েক দিন কোরবানির পশুর হাটে ভিড় না থাকলেও গতকাল যথারীতি ভিড়ভাট্টায় জমে ওঠে প্রতিটি হাটই। ক্রেতা-বিক্রেতায় একাকার সবখানে। পাশাপাশি নামিদামি শপিং মল বা আলাদা বিপণিবিতানগুলোতেও বেড়েছে অবাধ ভিড়। পথে জনচলাচলেও নেই সীমিত কোনো দৃশ্য। সামাজিক দূরত্ব পালনের কোনো দৃশ্যমান পরিবেশ নেই, অনেকে মাস্ক ব্যবহারেও নেই। রীতিমতো স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিতভাবেই চলছে ঈদ উদ্যাপনের সার্বিক প্রস্তুতি।

এ রকম পরিস্থিতির কারণে ঈদের পর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কার কথা বলা হচ্ছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এবারের ঈদকে ‘বিশেষ প্রেক্ষাপটে বড় চ্যালেঞ্জের ঈদ উদ্যাপন’ বলে অভিহিত করেছেন। গতকাল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক ঈদ ঘিরে চলাচল এবং হাট-বাজারের দিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, ঈদের পর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়তে পারে। ধর্মীয় পর্যায় থেকে এবারের ঈদের নামাজ নিয়েও দেওয়া হয়েছে আলাদা নির্দেশনা। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে ঈদগাহ বা খোলা স্থানের পরিবর্তে স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ ১৩টি শর্তে মসজিদগুলোতে ঈদুল আজহার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, দেশে গতকাল পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হিসাবে শনাক্ত হয়েছে দুই লাখ ৩৪ হাজার ৮৮৯ জন। এর মধ্যে মারা গেছে তিন হাজার ৮৩ জন এবং সুস্থ হয়েছে এক লাখ ৩২ হাজার ৯৬০ জন। বাকিরা এখনো করোনা আক্রান্ত হিসেবেই আছে, যাদের মধ্যে হাসপাতালে আছে চার হাজারের বেশি মানুষ। অন্য আক্রান্তরা বাসায় অবস্থান করছে। আগের মতো আতঙ্ক না থাকলেও তাদের ঘরে ঈদ উদ্যাপনের আয়োজন না থাকাই স্বাভাবিক।

ঢাকার বাইরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের কাছে এবারের ঈদ আনন্দ আরো ফিকে হয়ে গেছে। নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে কেউ আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছে, কেউ বা আশ্রয় নিয়েছে বেড়িবাঁধের কাদাপানিতে। সেখানে তারা ঝুপড়ি বানিয়ে পার করছে দুর্যোগের সময়। আবার অনেকে বানের পানিতে হাবুডুবু খেয়েও নিজ নিজ ঘরে আটকে আছে। এসব মানুষের কাছে ঈদের আনন্দ বলতে কিছুই নেই। তারা এখন ত্রাণের অপেক্ষায় থাকে সব সময়।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দেশে এখন পর্যন্ত বন্যাকবলিত জেলাগুলো হচ্ছে ঢাকা, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, মুন্সীগঞ্জ, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, জামালপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ। বন্যাকবলিত উপজেলার সংখ্যা ১৫০টি এবং ইউনিয়নের সংখ্যা ৯৩৬টি। পানিবন্দি পরিবারের সংখ্যা ১০ লাখ ৪০ হাজার ২৬৬টি এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৫০ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৩ জন।

বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এক হাজার ৫৪৮টি। আশ্রয় নেওয়াদের সংখ্যা ৭৩ হাজার ১৭৩ জন। বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে ৮৯৩টি এবং বর্তমানে চালু আছে ৩৭২টি। মানুষের পাশাপাশি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিত গবাদি পশুর সংখ্যা ৭৭ হাজার ৩০১টি।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!