রাজন চন্দ::
তাহিরপুরের বড়দল নতুন হাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝূকি নিয়ে পাঠদান করছে শিক্ষার্থীরা। উপজেলার দক্ষিন বড়দল ইউনিয়নের মাটিয়ান হাওর পাড়ে বিদ্যালয়টির অবস্থান। ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি সরকারিকরণ হয় ২০১৩ সালে। বর্তমানে বিদ্যালয় ভবনের ৩ টি ঝুঁকিপূর্ন রুমে প্রায় ১৫০ জন কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রী জীবনরে ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে। তাহিরপুর উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন প্রায় ১ বছর পুর্বে বিদ্যালয় ভবনটি খুব বেশি ঝুঁকিপূর্ন উল্লেখ করে ব্যাবহার না করার জন্য একটি লিখিত পরামর্শ প্রদান করেছেন। কিন্তু বিকল্প না থাকায় বাধ্য হয়ে সংশ্লিষ্টরা ক্লাস নিচ্ছেন।
জানা যায়, বিদ্যালয়টি প্রতষ্ঠিতি হওয়ার পর সরকার ১৯৯৪ সালে ৩ রুম বিশষ্টি একটি একতলা ভবন নির্মাণ করে দেয়। নির্মাণের ২৪ বছর পেরিয়ে গিয়ে বর্তমানে বিদ্যালয় ভবনটি খুব বেশি ঝুঁকিপূর্ন হলেও আজ পর্যন্ত কোন ধরনের সংস্কার বা নতুন ভবন তৈরী করার কোন উদ্যোগ নেই। ফলে বাধ্য হয়েই হাওর পাড়ের কোমলমতি ছাত্র ছাত্রীরা জীবনের ঝুকি নিয়ে এ বিদ্যালয়টিতে ক্লাস করছে প্রতিদিন।
গতকাল বুধবার(২৫ জুলাই) সরেজমিনে বিদ্যালয়টিতে গিয়ে দেখা যায়,বিদ্যালয় ভবনটির ৩ টি রুমেই বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েেেছ বড় বড় ফাটল। তাছাড়া ছাদের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্লাস্টার খসে পড়ছে সেই সাথে ভবনের পশ্চিমপাশে একটি রুম হাওরের দিকে দেবে গেছে। বিদ্যালয়ের দেয়ালে সৃষ্টি হয়েছে ছোট বড় অনেক ফাটল আর বৃষ্টি হলেই এ সমস্ত ফাটল দিয়ে পানি এসে পুরো মেজে পানি জমে যায়। ফলে আতংকের মধ্যে বিদ্যালয়টি ঝুঁকিপুর্ন জেনেও কোমলমতি ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক শিক্ষিকা প্রতিনিয়ত ক্লাস করছে।
বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী — জানায়, বৃষ্টি হলেই স্কুলের ছাদ থেকে পানি পড়ে। ক্লাস করতে আমাদের সব সময় ভয়ে ভয়ে থাকতে হয়।
ছাত্র অভিভাবক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ভবনের যে অবস্থা তাতে যে কোনো সময় একটা বড় ধরণরে র্দুঘটনা ঘটতে পারে। খুব শীগ্রই নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিতে হবে নতুবা বিদ্যালয়টিতে পাঠদান বন্ধ হয়ে যাবে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রেজওয়ানা খাতুন জানান, বর্তমানে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী সহ আমরা শিক্ষকরাও আতঙ্কে থাকি। বৃষ্টির দিনে ভবনের ছাদ থেকে পানি পড়ে। অনেক সময় ছাদের পেলেষ্টার খুলে ছাত্রছাত্রীদের গায়েও পরে । সে কারণে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি দিন দিন কমে যাচ্ছে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাঞ্জব উস্তার বলেন, ঝুকিপূর্ণ ভবনটি দ্রুত সংস্কার করা না হলে যে কোন মুহুর্তে দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনা রয়েছে। আমি বিদ্যালয়ের নতুন ভবন তৈরীর জন্য মাননীয় সাংসদ সদস্য সহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেছি।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আবু সাঈদ জানান, বিদ্যালয় ভবনটি ঝুকিপুর্ন আমরা অবগত আছি। নতুন ভবন তৈরীর জন্য আমরা যথাযথ কর্র্র্তৃপক্ষের নিকট আবেদন জানিয়েছি।