হাওর ডেস্ক::
মামলার নথি থেকে জানা যায়, নরসিংদী জেলা ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার পর থেকে সংগঠনটির দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন একটি পক্ষকে সমর্থন দিয়ে আসছিলেন। কমিটি ঘোষণার পর থেকে পদবঞ্চিতরা সাদেক ও মাইনুদ্দিনের নেতৃত্বে প্রতিবাদ মিছিল, বিক্ষোভ সমাবেশ, মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলনসহ শান্তিপূর্ণভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি ও আন্দোলন করে আসছিলেন।
এর ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালের ২৫ মে দুপুরে সাদেক ও মাইনুদ্দিনের নেতৃত্বে পিকআপভ্যান ও অন্তত ১০০ মোটরসাইকেল নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতারা। বিক্ষোভ মিছিলটি চিনিশপুর বিএনপির কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছিল; ভেলানগর পার হয়ে চিনিশপুর সড়কে প্রবেশ করার পর কয়েকজন যুবক বিক্ষোভ মিছিলে ককটেল নিক্ষেপ করে। পরে তারা লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের ওপর হামলা করে অনেক নেতাকর্মীকে আহত করে। সাদেকুর রহমানের মাথায় গুলি লাগে। আশরাফুলও গুলিবিদ্ধ হন।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচনের ফল পূর্বনির্ধারিত, ফাঁদে পা দেয়নি জনগণ: রিজভী
তাদের উদ্ধার করে প্রথমে জেলা হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সাদেকুর রহমান মারা যান। পরদিন সকালে আশরাফুলও মারা যান।
এ ঘটনায় নিহত সাদেকের ভাই আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে বিএনপি নেতা খায়রুল কবীর খোকন ও তার স্ত্রী বিএনপির স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানাসহ ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩৫-৪০ জনকে আসামি রেখে নরসিংদী মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।