1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ০২:১২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
জামালগঞ্জে সুদখোরের অত্যাচার সইতে না পেরে চিরকুট লিখে আত্নহত্যা করলেন ব্যবসায়ী যুক্তরাজ্যে স্ত্রীকে নির্মমভাবে খুনের দায়ে বাংলাদেশির ২৮ বছরের কারাদণ্ড মধ্যনগর বালু স্তূপের উপর থাকা এক নবজাতক উদ্ধার দিরাই পৌর বিএনপির ৯টি ওয়ার্ড কমিটি গঠন সুনামগঞ্জ-১ আসনে ধানের শীষের জোয়ার আনতে চান মনোনয়ন প্রত্যাশী মাহবুব তাহিরপুরে কোটি টাকার সাদা পাথর মাত্র ১৬ লাখে নিলাম! কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি: নতুন দুঃসংবাদ উত্তরায় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে নিহত বেড়ে ২৭, চিকিৎসাধীন ৭৮ উত্তরায় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে প্রাণহানি: রাষ্ট্রীয় শোক পালিত মাইলস্টোন শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলছে: দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা উপদেষ্টা দিলেন আসিফ নজরুলের

জঙ্গি ছিনতাই : ‘কারা সংশ্লিষ্টতা’ খতিয়ে দেখা হচ্ছে

  • আপডেট টাইম :: মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর, ২০২২, ৪.৫৩ পিএম
  • ১৩৯ বার পড়া হয়েছে

হাওর ডেস্ক ::
ঢাকার আদালত থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। গুরুত্বপূর্ণ এলাকা থেকে দিনেদুপুরে এভাবে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনার পর দায় খুঁজছেন সংশ্লিষ্টরা।

একইসঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে দেশের আদালত ও কারাগারের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে। অতি গুরুত্বপূর্ণ আসামিদের আদালতে আনা-নেওয়ার বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়া যেত কি না- এ নিয়েও চলছে নানা আলোচনা।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র জানায়, আদালত থেকে দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা তিন মাস আগের। কাশিমপুর কারাগারে বসেই এই পরিকল্পনা চলে। প্রথমে প্রিজন ভ্যানে হামলা করে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়। দীর্ঘদিন রেকি শেষে পরিস্থিতি তুলনামূলক সহজ হওয়ায় আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাইয়ের পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা করা হয়।

সূত্র জানায়, কারাগার বরাবরই জঙ্গিদের যোগাযোগ ও পরিকল্পনার জন্য ‘নিরাপদ স্থান’ হয়ে উঠেছে। তারা সেখানে টাকা দিয়ে নিয়মিত সংগঠনের বাইরে থাকা সদস্যদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রাখছেন এবং নানা পরিকল্পনা করেছেন। এসব বিষয়ে নানা সময় কারা কর্তৃপক্ষকে বার বার পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হলেও উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে কারাগারের এমন অবস্থা যে, টাকা দিলেই জঙ্গি সদস্যরা সারারাত নিজেদের সেলে ফোন ব্যবহার করতে পারছেন। সেখানে বসেই তাদের যাবতীয় পরিকল্পনা হয়। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্যরা।

জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার পরিকল্পনা কারাগারেই হয়েছে কি না- তা খতিয়ে দেখছে কারা কর্তৃপক্ষ। এর সঙ্গে কারাগারের কেউ জড়িত কি না- তাও যাচাই করা হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ তদন্তের মাধ্যমে তারা এ সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছেন।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল শেখ সুজাউর রহমান বলেন, এ ধরনের শীর্ষ জঙ্গিদের খুব হাই সিকিউরড সেলে রাখা হয় এবং সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় রাখা হয়। যদি প্রমাণিত হয় জঙ্গিরা কারাগারে বসে আদালত থেকে পালানোর পরিকল্পনা করেছেন বা এই পরিকল্পনা করতে কারাগারের কেউ সহযোগিতা করেছেন বা তাদের ফ্যাসিলিটেট করেছেন, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে- এতে কোনো সন্দেহ নেই।

গত রোববার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে দুই জঙ্গিকে একটি মামলায় আদালতে হাজির করা হয়। হাজিরা শেষে পুলিশ সদস্যরা তাদের নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় পুলিশের চোখে-মুখে পিপার স্প্রে করে জঙ্গি সদস্য মইনুল হাসান শামীম ও আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিবকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এই দুই জঙ্গি দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আদালত প্রাঙ্গণ থেকে জঙ্গি আসামি ছিনতাইয়ের মাস্টারমাইন্ড হলেন নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের প্রধান সমন্বয়ক মেজর (চাকরিচ্যুত) সৈয়দ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া। তার অনুমতিতে এই ছিনতাই অপারেশন চালান সংগঠনের সামরিক শাখার প্রধান মশিউর রহমান ওরফে আইমান।

গ্রেফতার থাকা জঙ্গি আরাফাত ও সবুরকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, কনডেম সেলে থাকা ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গি আসামিরা প্রায় মোবাইলফোনে যোগাযোগ করতেন। কারাগারে বসেই পরিকল্পনা হয় আসামি ছিনতাইয়ের।

প্রথমে ত্রিশালের জঙ্গি ছিনতাইয়ের মতো প্রিজন ভ্যানে হামলা করে সহযোগীদের ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে কাশিমপুর থেকে পুরান ঢাকায় আদালত পর্যন্ত আনা-নেওয়ার সময় প্রিজন ভ্যানে হামলা করাটা অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ মনে হয় তাদের।

তাই তুলনামূলক ‘কম নিরাপত্তা’ থাকায় ছিনতাই অপারেশনের স্পট হিসেবে তারা বেছে নেন আদালত প্রাঙ্গণকে। আর জঙ্গি সদস্যদের ছিনিয়ে নেওয়ার পর দ্রুত পালিয়ে যেতে দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে এসেছিলেন সহযোগীরা।

জানা গেছে, ঘটনার পর তদন্তের অংশ হিসেবে সোমবার (২১ নভেম্বর) সিটিটিসির একাধিক টিম কাশিমপুরের হাই সিকিউরিটির কারাগার পরিদর্শনে যায়। কারাগার থেকে কার মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে জঙ্গিরা বাইরে যোগাযোগ করেছিলেন, প্রযুক্তির মাধ্যমে তা জানার চেষ্টা চলছে।

ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আদালত চত্বর থেকে দুই জঙ্গি সদস্যকে ছিনতাই অপারেশনে নেতৃত্বদানকারীর নাম-পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। এই অপারেশনে তাদের বেশ কয়েকজন সহযোগীকেও শনাক্ত করা হয়েছে। জঙ্গি ছিনতাই অপারেশনে নেতৃত্ব দেওয়া ব্যক্তিসহ সবাইকে গ্রেফতারের মাধ্যমে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে আমরা কাজ করছি। সূত্র : বাংলানিউজ

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!