মোঃ মোশফিকুর রহমান স্বপন:
সুনামগঞ্জ জেলা শহরের গাড়ির চালকরা গতরাত থেকে আজ রবিবার দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষায় বসে আছেন গ্যাস নেওয়ার জন্য।
শহরের মল্লিকপুর এলাকায় সিনথিয়া গ্যাস স্টেশনে গ্যাস নিতে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করতে হচ্ছে গাড়ির চালকদের। গ্যাস নিতে এসে হাজারো চালক পড়েছেন ভোগান্তির মধ্যে। গাড়ির চালকদের এই ভোগান্তি আরও দুই তিনদিন লাগবে বলে জানা গেছে।
জেলায় দুটি গ্যাস স্টেশনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ করে থাকেন চালকরা। জেলা শহরের ওয়েজখালি এলাকায় বলাকা সিএনজি ফিলিং স্টেশন ও মল্লিকপুর সিনথিয়া সিএনজি ফিলিং স্টেশন। গতকাল রাত থেকে বলাকা সিএনজি ফিলিং স্টেশন বন্ধ থাকায় গ্যাস সংকটে পড়েছে সিএনজি চালকসহ যানবাহন চালকরা। শহরের একমাত্র সড়কপথে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষারত সারি সারি করে রাখা সিএনজি ও গ্যাসে চালিত অন্যান্য গাড়ি।এতে করে জনসাধারণ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
রবিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ওয়েজখালি এলাকায় বলাকা সিএনজি ফিলিং স্টেশনের কম্পেসার সার্ভিসের কাজ চলছে।
যার কারণে এই পাম্পটি বন্ধ রাখা হয়েছে।
বলাকা গ্যাস স্টেশন বন্ধ থাকায় মল্লিকপুর এলাকায় সিনতিয়া সিএনজি ফিলিং স্টেশনের জেলার সকল যানবাহনের দীর্ঘ লাইন তৈরী হয়েছে। একটিমাত্র গ্যাস পাম্পের মাধ্যমে শতশত গাড়ি চালকদের গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছেনা। যার কারণে শহরের আব্দুর জহুর সেতু সংলগ্ন সড়ক,কালুপুর সড়কপথ থেকে শুরু করে গ্যাস স্টেশন এলাক জুড়ে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন জমেছে। গ্যাসের জন্য পাম্পে এসে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা প্রহর গুনতে হচ্ছে চালকদের।
ভাড়ায় চালিত শতশত সিএনজি চালকরা গ্যাস নিতে গতকাল রাত থেকে আজ রবিবার দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষায় আছেন। একটিমাত্র সিনতিয়া সিএনজি ফিলিং স্টেশন থেকে গ্যাস নিচ্ছেন চালকরা। সময় যত যাচ্ছে, বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্যাস নিতে আসা গাড়ির লাইন তত দীর্ঘ হচ্ছে।কখন দীর্ঘ লাইন শেষ হবে তা জানেন না কেউ।
সদর উপজেলার বিরামপুর এলাকার সিএনজি চালক নুরুল আমিন বলেন, রাত ৪ টা থেকে গাড়ি নিয়ে বসে আছি গ্যাস নেওয়ার জন্য এখন ও গ্যাস নিতে পারছি না। গাড়ির এত লম্বা লাইন গ্যাস পাওয়া খুব কষ্ট হচ্ছ। সারাদিন গ্যাস নিতে এসে কাটিয়ে দিলাম। গ্যাস কখন পাব জানি না, এখন গাড়ির ইনকাম কিভাবে দিব সেই চিন্তা করছি। আমার মতো সকল ডাইভার বসে চিন্তা করছেন দিন শেষ খালি হাতে ফিরতে হবে গ্যাস পাম্প ৫ টায় বন্ধ হয়ে গেলে আবার গাড়ির লাইন পুরো শহর জুড়ে হবে।যদি পাম্প বন্ধ না রেখে তারা গ্যাস সরবরাহ করে তাহলে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যাবে।না হলে গ্যাসের জন্য এভাবেই অপেক্ষার প্রহর গুনতে হবে সকল চালকদের।
ওয়েজখালি বলাকা সিএনজি ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার শামিম আহমেদ বললেন,আমাদের গ্যাস পাম্পের সার্ভিসিং কাজ চলছে। দুই তিনদিন সময় লাগবে তারপর আগের মতো চালু হয়ে যাবে।তিনি বলেন,আমরা আমাদের সার্ভিসিং এর বিষয়টি জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষকে অবগত করেই সাময়িক বন্ধ রেখে সার্ভিসিং এর কাজ করছি।