হাওর ডেস্ক::
রুশ আগ্রাসনের ক্রমবর্ধমান হুমকির প্রেক্ষিতে ইউরোপে এক লাখ সেনা মোতায়েনের কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র। সুইডেন-ফিনল্যান্ডসহ ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোকে নিরাপত্তা দিতেই এমন পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
একাধিক মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, ন্যাটো যদি এ অঞ্চলে সামরিক মহড়া চালায় তবে সেনা সংখ্যা সাময়িকভাবে আরও বাড়তে পারে। এছাড়া ইউরোপের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পরিবর্তন হলে সেখানে অতিরিক্ত মার্কিন ঘাঁটিও যুক্ত করতে পারে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) ব্রাসেলসে ন্যাটোর সামরিক প্রধানদের বৈঠকেও এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। জুন মাসের শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ ন্যাটো নেতাদের মাদ্রিদের বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। সেখানেও এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে ইউরোপে প্রায় ৬০ হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন ছিল। কিন্তু ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরুর পর সেই সংখ্যা বেড়েছে। যা বর্তমানে প্রায় এক লাখে পৌঁছেছে।
এদিকে সিএনএন বলছে, শুধু সেনা নয়, ইউরোপে বেড়েছে যুদ্ধ সরঞ্জামও। যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটোর রেসপন্স ফোর্সে হাজার হাজার সেনা পাঠিয়েছে, যা এই বসন্তের শুরুতে ন্যাটোর ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সক্রিয় করা হয়।
অন্যদিকে তুরস্কের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও বেশিরভাগ ন্যাটো সদস্য ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের যোগদানের আবেদনকে স্বাগত জানিয়েছে।
সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের ন্যাটোর ঐতিহাসিক সদস্যপদ লাভের উদ্যোগে জো বাইডেনের সমর্থন জোরদারের লক্ষে মার্কিন কংগ্রেস বৃহস্পতিবার রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তায় ইউক্রেনের জন্য চার হাজার কোটি মার্কিন ডলারের (৪০ বিলিয়ন ডলার) বিশাল প্যাকেজ অনুমোদন করেছে।
গেলো ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন। তার পরপরই ন্যাটো মিত্রদের পাশাপাশি ইউক্রেনে বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।