অনলাইন ডেক্স::
সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বলেছেন, প্রতিবছরের বাজেটে ব্যাংকগুলোকে করের টাকা থেকে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। আর এভাবে ঋণখেলাপিদের উৎসাহিত করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুিল মুহিত। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ব্যাংক খাতে লুটপাট হচ্ছে। দেশ থেকে অর্থ পাচার হচ্ছে বিদেশে। কিন্তু লুটপাটকারী ও পাচারকারীদের বিচার হচ্ছে না। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অনুষ্ঠিত বাজেট আলোচনায় সুনামগঞ্জ-৪ আসনের জাতীয় পার্টির সাংসদ পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ এ কথা বলেন।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বাজেট আলোচনায় পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বলেন, ঋণের নামে ব্যাংক লুট হচ্ছে প্রতিবছর। চার ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ এখন ২৬ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা। অথচ প্রতিবছরের বাজেটে ব্যাংকগুলোকে করের টাকা থেকে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। আর এভাবে ঋণখেলাপিদের উৎসাহিত করছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি কয়েক বছরে ১৪ হাজার ৫০৫ কোটি টাকা মূলধন থেকে বরাদ্দ দিয়েছেন ব্যাংকগুলোকে।
এক বছরে দেশ থেকে ৭৩ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে জানিয়ে পীর ফজলুর রহমান বলেন, এসব টাকায় কানাডা, মালয়েশিয়ায় ‘সেকেন্ড হোম’ করা হচ্ছে। কানাডার একটি এলাকার নাম হয়ে গেছে ‘বেগমগঞ্জ’। কারণ, ওই এলাকায় বাংলাদেশি বেগম সাহেবারা থাকেন।
পীর ফজলুর বলেন, বিশ্বের কোথাও রিজার্ভ চুরির মতো ঘটনা ঘটে না। সংসদে দাঁড়িয়ে গতবার অর্থমন্ত্রী কথা দিয়েছিলেন, এ ঘটনার প্রতিবেদন তিনি প্রকাশ করবেন। কথা রাখেননি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটিতে কাদের নাম এসেছে, জানা গেল না।
আবগারি শুল্ক প্রসঙ্গ
বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে ২ জুন অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, ১ লাখ টাকা থাকলেই সম্পদশালী—এ কথা উল্লেখ করে পীর ফজলুর বলেন, ‘কোন যুক্তিতে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন? টাকা এখন আমরা অর্থমন্ত্রীর হাতেই তুলে দেব। ব্যাংকে রাখব না।’
পীর ফজলুর এ শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানান। একই দাবি জানান আওয়ামী লীগের সাংসদ পঞ্চানন বিশ্বাস।
জাতীয় পার্টির সংরক্ষিত আসনের সাংসদ খুরশিদ আরা হক বলেন, ‘স্বামী-সন্তানহীন দরিদ্র নারীদের কষ্টের সঞ্চয় থেকে অর্থমন্ত্রী শুল্ক নিতে চান। যা ইচ্ছে তা-ই করে যাবেন তিনি, মানি না এ বাজেট।’
-সূত্র: অনলাইন।