1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১২:৪৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে দুর্নীতির অভিযোগে তত্ত্বাবধায়ক মাহবুবসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা জামালগঞ্জে সুদখোরের অত্যাচার সইতে না পেরে চিরকুট লিখে আত্নহত্যা করলেন ব্যবসায়ী যুক্তরাজ্যে স্ত্রীকে নির্মমভাবে খুনের দায়ে বাংলাদেশির ২৮ বছরের কারাদণ্ড মধ্যনগর বালু স্তূপের উপর থাকা এক নবজাতক উদ্ধার দিরাই পৌর বিএনপির ৯টি ওয়ার্ড কমিটি গঠন সুনামগঞ্জ-১ আসনে ধানের শীষের জোয়ার আনতে চান মনোনয়ন প্রত্যাশী মাহবুব তাহিরপুরে কোটি টাকার সাদা পাথর মাত্র ১৬ লাখে নিলাম! কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি: নতুন দুঃসংবাদ উত্তরায় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে নিহত বেড়ে ২৭, চিকিৎসাধীন ৭৮ উত্তরায় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে প্রাণহানি: রাষ্ট্রীয় শোক পালিত

ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রতীক থাকছে না

  • আপডেট টাইম :: বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২১, ৪.৪৯ পিএম
  • ৩৫৩ বার পড়া হয়েছে

হাওর ডেস্ক ::
তীব্র অন্তর্দলীয় কোন্দল সামলাতে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নির্দলীয়ভাবে করার কথা ভাবছে সরকার। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী কয়েকজন নেতা এ ইঙ্গিত দিয়ে বলছেন, আসন্ন সংসদ অধিবেশনে এ সংক্রান্ত আইনের সংশোধন করা হবে। দেশরূপান্তর
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর গুরুত্বপূর্ণ এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দেশ রূপান্তরকে বলেন, মার্চ-এপ্রিলে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও এ নির্বাচন নিয়ে বিকল্প চিন্তা করায় নির্ধারিত সময়ে ওই নির্বাচন হচ্ছে না। পিছিয়ে চলতি বছরের মে-জুন থেকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শুরু হওয়ার কথা। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নির্দলীয় করতে আইনি বাধ্যবাধকতা বা জটিলতা থাকলে এর আগে তা দূর করা হবে। তিনি আরও বলেন, আমার জানামতে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গেও এ ব্যাপারে আলোচনা চলছে সরকারের। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলে ক্ষোভ-বিক্ষোভ ও বিদ্রোহ দমন করতে সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থান জানানো হলেও কার্যত সুফল আসছে না। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন দলীয় প্রতীকে থাকলে পৌরসভা-উপজেলা নির্বাচনের চেয়ে এখানে চারগুণ বেশি বিদ্রোহী থাকবে। কেন্দ্রীয় কড়া নজরদারি থাকলেও নিয়ন্ত্রণ করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়বে। আওয়ামী লীগের সম্পাদকমন্ডলীর এক সদস্য দেশ রূপান্তরকে বলেন, আইনি জটিলতা দূর করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ালে এমনও হতে পারে উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন যেভাবে উন্মুক্ত রাখা হয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও সে নিয়ম অনুসরণ করা হতে পারে।
নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের এ ধরনের কথাবার্তা সম্পর্কে জানতে চাইলে দলের অন্য নেতারা বলেন, ব্যাপারটি সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা নেই। তবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নির্দলীয় হলে ভালো হবে, বেঁচে যাই। গতকাল বুধবার গুরুত্বপূর্ণ এক নেতার সংসদ ভবনের অফিসে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে এলাকার নেতারা কথা বলতে এলে তিনি ওইসব নেতাকে বলেন, এবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন দলীয় প্রতীকে নাও হতে পারে। এ সম্পর্কে তার কাছে আরও জানতে চাইলে তিনি বলেন, দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হলে আমরা যারা সংসদ সদস্য তারা বেশ বেকায়দায় পড়ে যাই। আগামী সংসদ অধিবেশনে এ ব্যাপারে আইনি বাধা দূর করা হতে পারে।
এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম গতকাল দেশ রূপান্তরকে বলেন, কমিশন সচিবালয় থেকে এখনো নির্বাচন পেছানোর ব্যাপারে কিছু উপস্থাপন করা হয়নি। যখন উপস্থাপন করা হবে তখন আমরা দেখব। দেখেশুনে তারপর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা তো স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ব্যাপার। এখন পর্যন্ত যে আইন আছে তাতে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ার কথা । যদি আইন পরিবর্তন করা হয় তাহলে দলীয় প্রতীকে হবে না।
সভাপতিমন্ডলী, সম্পাদকমন্ডলীর একাধিক সদস্য দেশ রূপান্তরকে বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইন পরিবর্তন করে ২০১৬ সাল থেকে স্থানীয় সব নির্বাচনই দলীয় প্রতীকে শুরু করে ক্ষমতাসীনরা। পাশ্চাত্যের রাজনৈতিক সংস্কৃতি ফলো করে রাজনৈতিক সুফল পাওয়ার আশায় স্থানীয় সরকার নির্বাচন পদ্ধতি পরিবর্তন করে সরকার। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন আয়োজনের মধ্য দিয়ে যে বৈরী পরিস্থিতির মুখোমুখি পড়তে হয়েছে সেখান থেকে দলকে বের করে আনতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে ক্ষমতাসীন দলকে। রাজনৈতিক সুফল আশা করে আইনগত পরিবর্তন আনা হলেও এ পর্যায়ে দলটির সর্বস্তরের নেতা এবং কর্মী সবারই এক কথা দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন চালু করার মধ্য দিয়ে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হয়েছে। প্রতীকে নির্বাচন হিতেবিপরীত বলে মনে করছে ক্ষমতাসীন দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়।
নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের দাবি, দলীয় প্রতীকে নির্বাচন পদ্ধতি চালুর ভেতর দিয়ে দলীয় শৃঙ্খলা ভেঙে গেছে। আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে দলের ভেতরে দলাদলি বেড়েছে। দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়ন ও অনিয়ম সব বেড়েছে নির্বাচনী এ নিয়মে। সারা দেশে কেউ কাউকে মানছে না এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় নির্বাচন দলীয় প্রতীকে করার নিয়মে। এর মধ্য দিয়ে দলীয় রাজনীতি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তাই স্থানীয় সরকারের অধীনে আগামী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন দলীয় প্রতীকে করতে আর চায় না সরকারি দল। আগের নিয়মেই হবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা দেশ রূপান্তরকে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, মার্চের শেষের দিকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও পিছিয়ে যাচ্ছে এ নির্বাচন। নির্দলীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য আইনি যেসব বাধ্যবাধকতা রয়েছে সামনের সংসদ অধিবেশনে তা সংশোধন করার প্রস্তাব আনা হবে। এজন্য পিছিয়ে দেওয়া হবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক দেশ রূপান্তরকে বলেন, দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ফলে দলীয় রাজনীতিতে তুমুল দলাদলি সৃষ্টি হয়েছে। এ নির্বাচনগুলোতে বিদ্রোহী প্রার্থী শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের। নির্দলীয় নির্বাচন হলে তৃণমূলে বিরোধপূর্ণ সম্পর্ক কমবে, এটা ঠিক। তিনি বলেন, প্রত্যেক ইউনিয়ন-উপজেলা ও পৌরসভায় একাধিক যোগ্য প্রার্থী থাকে। কিন্তু আওয়ামী লীগকে বেছে নিতে হয় একজনকে। যারা মনোনয়নবঞ্চিত হন তারা ক্ষুব্ধ হন। ফলে দলাদলি তৈরি হয়।
সভাপতিমন্ডলীর অন্য সদস্য ফারুক খান বলেন, দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচনে অনেকেই অভ্যস্ত হতে পারেনি এখনো। সূত্র: দেশরূপান্তর

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!