হাওর ডেস্ক ::
‘ভ্যাকসিন অব হিরো’ উপাধি মিলল চলতি সপ্তাহে। এ মাসেই আরও দুটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেলেন। এগিয়ে যাওয়ার স্বীকৃতি পাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। এগিয়ে যাওয়ার গল্প বুনছেন রোজ রোজ। অবাক বিশ্ব বিস্ময় প্রকাশ করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনায়।
বিশাল পদ্মার বুক চিরে দৃশ্যমান স্বপ্নের পদ্মা সেতু। যেন পদ্মাবক্ষের উত্তাল তরঙ্গ রাশির সঙ্গে তাল মিলিয়ে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে সেতুর নির্মাণ কাজ। অথচ এই সেতুকে কেন্দ্র করেই বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জে ফেলেছিল।
রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে মেট্রোরেলের পিলার থেকে এখন স্বপ্নের হাতছানি মিলছে। এমন হাজারো স্বপ্নের কথা শোনায় বাংলাদেশ। কয়েক বছর আগেও ভিখারির বেশে যে বাংলাদেশের পরিচয় মিলত বিশ্ব দরবারে, সেই বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল।
বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিশ্ব নেতারা। বিজয়ের কেতন উড়িয়ে এগিয়ে যাচ্ছে শেখ হাসিনা, এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
বয়সের ফ্রেমে শনিবার (২৮ আগস্ট) ৭৩ বছরে পা রাখছেন বঙ্গবন্ধু তনয়া রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার পরিণত বয়সে এক পরিণত বাংলাদেশের রূপও দেখছে মানুষ।
১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন জাতির জনকের জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সাল। জাতির ক্রান্তিকাল। জাতির জনককে সপরিবারে হত্যা করা হলেও বিদেশে থাকার কারণে শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা প্রাণে বেঁচে যান।
এমনই ক্রান্তিকালে দীর্ঘ ছয় বছর নির্বাসিত থাকার পর জীবন বাজি রেখে বাবার হাতেগড়া দেশে ফিরে আসেন শেখ হাসিনা। শত প্রতিকূলতা আর জীবন বিনাশী ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে এগিয়ে চলছেন এক অদম্য গতিতে। যেন তার হাতেই আজ সাড়ে চার দশকের বাংলাদেশ অধিক নিরাপদ, নিশ্চিত নির্ভার।
প্রত্যাবর্তনের দিন বিমানবন্দরে নেমেই শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘সব হারিয়ে আজ আমি এসেছি বাংলার মানুষের মুক্তির সংগ্রামে অংশ নিতে। আমার আজ হারানোর কিছু নেই।’ দেশে তখন গণতন্ত্রের বদলে সামরিক শাসন। সামরিক শাসনের এমন দিনে শেখ হাসিনা এসেছিলেন মুক্তির দিশারী হয়ে। আঘাত করলেন গণতন্ত্রের বদ্ধ দুয়ারে। হাল ধরলেন, বাবার হাতে তিল তিল করে গড়ে ওঠা দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের।
বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের অপর নাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সৃষ্টির পর থেকেই একেকটি ঘটনা প্রবাহের মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগ একেকটি ইতিহাসের জন্ম দিয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে একক নেতৃত্ব গড়ে তোলে সংগঠনটি। এরশাদ-বিরোধী আন্দোলনেও দলটির অগ্রাধিক ভূমিকা রয়েছে।
বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর দলে মহাবিপর্যয় নেমে আসে। ১৯৭৬ সালে ঘরোয়া পরিবেশে রাজনীতির সুযোগ পেলেও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কাঠামো ছিল তখন খুবই দুর্বল। দলের এমন দুর্দিনে ১৯৮১ সালে দেশে ফেরার আগেই বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনাকে দলের সভাপতি পদে নির্বাচিত করা হয়।