স্টাফ রিপোর্টার::
প্রথাবিরোধী আহমদ ছফা ছিলেন মেরুদণ্ডপ্রধান বুদ্ধিজীবী। তার চিন্তায় জাতীয় আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটেছে। এই মুহুর্তে তার মতো কোন বুদ্ধিজীবী জাতীয় দায় দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। তার চরিত্র ধারণ করেন এমন কোন বুদ্ধিজীবী আমাদের দেশে এখন আর নেই। এখনকার বুদ্ধিজীবীরা গৃহপালিত বুদ্ধিজীবীর দায়িত্ব পালন করছেন। তাই প্রাগ্রসর সমাজের জন্য আহমদ ছফাকে ধারণ ও লালন করতে হবে।
রবিবার গণচিন্তক আহমদ ছফার ১৮ তম প্রয়াণ দিবসের আলোচনাসভায় এসব কথা বলেন বিদগ্ধজন।
বিড়াঙ সুনামগঞ্জের আয়োজনে রবিবার সন্ধ্যায় শহিদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরিতে আহমদ ছফা প্রয়াণ দিবসে আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। আলোচনাসভায় কবি, লেখক, শিক্ষক, ছাত্রসহ প্রাগ্রসর চিন্তার মানুষজজন উপস্থিত ছিলেন। বিরাঙের সভাপতি ইকবাল কাগজীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শামস শামীমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় বক্তব্য দেন সুখেন্দু সেন, বিরাঙের সহসভাপতি কবি রুহুল তুহিন, সহসভাপতি গবেষক কল্লোল তালুকদার চপল, মাকর্সবাদী চিন্তাবিদ ও সহযোগি অধ্যাপক এনামুল কবীর, অনুপ নারায়ণ তালুকদার রোমেল, সুবল বিশ্বাস, আহমেদ আলবাব, মানবেনন্দ্র কর, বেলাল আলী, আসাদ মনি, ছায়াদ হাসান সবুজ, আশীষ রহমান প্রমুখ।
বক্তারা আরো বলেন, বর্তমানে মুখে কুলুপ আটা সময় চলছে। আহমদ ছফার মতো মেরু- সোজা করে কাউকে দেশ ও জাতির পক্ষে দাড়াতে দেখা যাচ্ছেনা। আহমদ ছফাকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানান বক্তারা বলেন, আহমদ ছফার প্রয়োজনীয়তা এখন এই সমাজে খুবই বেশি। এই সমাজে আমৃত্যু এখনো প্রাসঙ্গিক আহমদ ছফা।