1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

‘লুটপাট’নির্ভর ‘উন্নয়ন’ বনাম মুক্তিযুদ্ধের ধারা

  • আপডেট টাইম :: বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০১৯, ১১.৪৬ এএম
  • ২৭৭ বার পড়া হয়েছে

মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ::
প্রায় প্রতিদিনই একই সঙ্গে দুরকমের খবর শিরোনাম হচ্ছে এ দেশের প্রচারমাধ্যমে। নিত্যদিনের খবরাখবরেই থাকছে একদিকে দেশের চমকপ্রদ সব ‘উন্নয়নের’ ফিরিস্তি। আর সেসবের পাশাপাশি থাকছে অভাবনীয় ‘লুটপাটের’ বিস্ময়কর সব বিবরণী। অথচ সাধারণ বিচারবুদ্ধি এ কথাই বলে যে, উন্নয়ন ও লুটপাট – এ দুটি হলো বিপরীতধর্মী ঘটনা। একটি ইতিবাচক ও কাক্সিক্ষত। অপরটি নেতিবাচক ও পরিত্যাজ্য। এখন প্রশ্ন হলো – এ দুটি ঘটনা কি পাশাপাশি একই সঙ্গে চলা উচিত বা চলতে পারে? কিন্তু প্রচারমাধ্যম থেকে জানা যাচ্ছে, এ দুটি কাজ ঠিকই পাশাপাশি চলছে।

খবরাখবর থেকে এ কথাও পরিষ্কার হচ্ছে যে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে এ দুটি কাজ শুধু পাশাপাশিই নয়, ‘হাত ধরাধরি’ করে চলছে। এ দুটি কাজ এখন পরস্পরের ওপর নির্ভরশীল। প্রচারমাধ্যমে পরিবেশিত তথ্যকে সত্য বলে ধরে নিলে, সঙ্গতভাবেই প্রশ্ন দাঁড়ায়, আসলে এ কেমন ধারার উন্নয়ন দেশে চলছে যে, যেখানে লুটপাটকে হয়ে থাকতে হচ্ছে তথাকথিত সেই উন্নয়নের নিরবচ্ছিন্ন অনুষঙ্গ হয়ে? এ ধরনের তথাকথিত উন্নয়নকে আদৌ কি প্রকৃত উন্নয়ন বলে বিবেচনা করা যায়? তবে প্রচারমাধ্যমের সব খবরাখবরের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। তাই এই বিষয় নিয়ে আলোচনায় আগানোর আগে প্রথমে দেশের গণমাধ্যমে প্রচারিত খবরাখবরের বস্তুনিষ্ঠতা ও নিরপেক্ষতার বিষয়টি বিচার করে দেখে নেওয়া প্রয়োজন।

এ কথা সবারই জানা আছে, আমাদের দেশের প্রচারমাধ্যমে কী প্রচারিত হবে তার একটি বেশ বড় অংশ নির্ধারিত হয় প্রধানত সরকারের আগ্রহ, ইচ্ছা ও নির্দেশনা অনুসরণ করে। যখন যে শক্তিই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, সব সরকারেরই প্রবল ও একচ্ছত্র ইচ্ছা, আগ্রহ, চেষ্টা থাকে সেই সরকারের কৃতিত্ব তুলে ধরার জন্য। সে কারণে সব ধরনের পন্থায় সে তার উন্নয়ন কাজের ফিরিস্তি প্রচারের জন্য চেষ্টা করে থাকে। এ ঘটনার প্রকৃষ্ট নিদর্শন আমরা দেখেছি পাকিস্তানের আইয়ুবি শাসনামলে। এ ধারাই অব্যাহত থেকেছে অনেকটা পরিমাণে মুজিব আমলে ও বিশেষভাবে জিয়া ও এরশাদের শাসনকালে। আড়াই দশক ধরে চলতে থাকা খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনার পর্যায়ক্রমিক সরকারগুলোর আমলেও সরকারের উন্নয়নের কার্যক্রম সম্পর্কে এ ধরনের একতরফা প্রচারণা চালানোর চেষ্টা অব্যাহত আছে।

দেশের প্রচারমাধ্যমকে এখন প্রায় পরিপূর্ণভাবে ‘ব্যক্তিমালিকানায়’ ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। প্রিন্ট মিডিয়ার বস্তুত কিছুই আর এখন সরকারি মালিকানায় অবশিষ্ট নেই। টিভি চ্যানেল ও রেডিওসহ ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ক্ষেত্রে কেবল বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতার এখনো সরকারি মালিকানায় আছে। বাকি সব টিভি চ্যানেল ও এফএম রেডিও এখন ব্যক্তিমালিকানাধীন। দেশের প্রচারমাধ্যম এখন মুষ্টিমেয় মহাসম্পদশালী ‘লুটেরা হাউসদের’ নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। প্রচারমাধ্যমে একচ্ছত্র সরকারি মালিকানার স্থান দখল করে নিয়েছে মুষ্টিমেয় এসব লুটেরা হাউসের মালিকানা। কী প্রচারিত হবে তা এখন নির্ধারিত হয়ে থাকে তার মালিকের ইচ্ছা ও সন্তুষ্টি বিধানের বিবেচনাকে মাথায় রেখে। এসবকে কায়েমি স্বার্থবাদী লুটেরা মালিকরা সাধারণভাবে সরকারকে সন্তুষ্ট করে চলার পথকেই এ ক্ষেত্রে ‘নিরাপদ’ বলে মনে করে। তা ছাড়া সরকারের অর্থনৈতিক নীতি-দর্শনও তাদের সামগ্রিক স্বার্থে পরিচালিত। সে কারণে সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তি প্রচার করাটাই সাধারণভাবে তাদের স্বার্থের অনুকূল একটি বিষয় হয়ে থাকে।

তাই একদিকে সরকার নিয়ন্ত্রিত প্রচারমাধ্যম এবং অন্যদিকে লুটেরা ধনিকদের বিশেষ কয়েকটি হাউস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত প্রচারমাধ্যম, উভয়ই সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তি প্রচারে পক্ষপাতমূলকভাবে সচেষ্ট থাকে। ফলে দেশের গোটা প্রচারমাধ্যমে উন্নয়নের খবরাখবর অতিরঞ্জিতভাবে প্রচারিত হয়ে থাকে। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রচারমাধ্যমে লুটপাটের চমকে দেওয়া খবরাখবরের প্রকাশ ও প্রচার আড়াল করা সম্ভব হয় না। সাহসী সাংবাদিকদের চেষ্টা এবং বাজারে কাটতি বাড়িয়ে মুনাফা ও প্রভাব বাড়ানোর বিবেচনায় সেসব খবরও প্রচারমাধ্যমে স্থান করে নিতে সক্ষম হয়। তা ছাড়া লুটেরা শ্রেণির অভ্যন্তরীণ স্বার্থের দ্বন্দ্বের কারণেও অনেক সময় সেসব খবরাখবর প্রকাশ করা হয়ে থাকে। তাই এ কথা বলা যায় যে, উন্নয়নের খবরাখবর অতিরঞ্জিত করে প্রচার করা হলেও আমাদের দেশে যে প্রকারের উন্নয়ন হচ্ছে, নিরন্তরভাবে তার অবিচ্ছিন্ন অনুষঙ্গ হয়ে যে লুটপাটও থাকে – সে বিষয়ে সন্দেহ করার কোনো কারণ নেই।

দেশে উন্নয়ন দরকার, ‘গণতন্ত্র’ দরকার, সামাজিক-অর্থনৈতিক ‘ন্যায়বিচার’ দরকার। দরকার অনেক কিছুই। সরকার আসে যায় ঠিকই, তথাপি সব সরকারই বলছেÑ আগে উন্নয়ন হোক, তার পর ‘গণতন্ত্র’, ‘ন্যায়বিচার’ ইত্যাদির দিকে নজর দেওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে তাদের যুক্তি হলো, একটি উন্নয়নশীল দেশের জন্য গণতন্ত্র হচ্ছে বিলাসিতা। যেটুকু গণতন্ত্র দেশের মানুষ পেয়েছে, সেটুকুই বেশি হয়ে গেছে। উন্নয়নের স্বার্থে তা বরং আরও কাটছাঁট করা প্রয়োজন। আর উন্নয়ন না হলে সামাজিক-অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার অর্জন করার প্রশ্ন তোলাটিই হয়ে থাকবে অবান্তর। তাই উন্নয়নের স্বার্থে ‘গণতন্ত্রহীনতা’, সামাজিক-অর্থনৈতিক ‘বৈষম্যের’ ক্রমবৃদ্ধি মেনে নিতে হবে। গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে জনগণকে এই ত্যাগ স্বীকার করতেই হবে। এসব হলো শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময় তার অনুষঙ্গ হিসেবে অবধারিত প্রসব বেদনার মতো উন্নয়নের অপরিহার্য ‘প্রসব বেদনা’। এই যন্ত্রণাকে জনগণের মেনে নিতে হবে। এসব যুক্তি দেখিয়ে, নীতি-দর্শনের দিক থেকেই গণতন্ত্রহীনতা-বৈষম্য-লুটপাট ইত্যাদিকে তারা তথাকথিত উন্নয়নের স্বাভাবিক অনুষঙ্গ রূপে প্রমাণ করার চেষ্টা করে।

‘উন্নয়নের’ দাপটে বেড়ে চলেছে লুটপাটের মাত্রা। দু-একটি দৃষ্টান্তের দিকে তাকানো যাক। দেশের ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় বেপরোয়া লুটপাট চলছে। বহুল আলোচিত হলমার্ক কেলেঙ্কারি, সোনালী ব্যাংক-বেসিক ব্যাংকে অর্থ কেলেঙ্কারি, কয়েক দফা শেয়ার মার্কেট কেলেঙ্কারি ইত্যাদি হলো তার কয়েকটি নিদর্শন মাত্র। এগুলোর বাইরেও অসংখ্য ছোট-বড় অর্থ আত্মসাতের ঘটনার খবর প্রতিনিয়ত প্রকাশিত হচ্ছে। যেসব ঘটনা প্রচারে আসে তার বাইরে কয়েক গুণ বেশিসংখ্যক এরূপ ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে। ব্যাংকে ঋণখেলাপির সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে বাড়তে এখন দেড় লাখ ছাড়িয়ে গেছে। খেলাপি ঋণের প্রকৃত পরিমাণ ১ লাখ কোটি টাকার কাছাকাছি। দেদার চলছে আন্ডার ইনভয়েসিং, ওভার ইনভয়েসিং, ব্যাক টু ব্যাক ভুয়া এলসি (ঋণপত্র), জাল কাগজপত্র বন্ধক (মর্টগেজ) রাখা ইত্যাদি নানা জালিয়াতির কারবার। স্ফীত হচ্ছে অপ্রদর্শিত ‘আয়’ বা ‘কালো টাকার’ পরিমাণ। অর্থমন্ত্রীর নিজের হিসাব মতে, কালো টাকার পরিমাণ দেশের জিডিপির ৮০ শতাংশ পর্যন্ত (১৬ লাখ কোটি টাকা) ছাড়িয়ে গিয়ে থাকতে পারে। কত বড় ‘সর্বনাশা’ কথা! অথচ এগুলোকে ‘সামান্য’ ব্যাপার বলে উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।

উন্নয়নের চমক দেখানোর জন্য দেশে চোখ ধাঁধানো কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এসব বড় বড় প্রকল্পে যে বিপুল অর্থ খরচ করা হচ্ছে তাও হয়ে উঠেছে লুটপাটের উৎস। এর একটি উদাহরণ হলো ফ্লাইওভার নির্মাণের খরচ। কলকাতায় পরমা পার্ক সার্কাস ফ্লাইওভারের জন্য কিলোমিটারপ্রতি ব্যয় হয়েছে ৪৮ কোটি টাকা, বাটা নগর ফ্লাইওভার নির্মাণে খরচ হয়েছে কিলোমিটারপ্রতি ৪৪ কোটি টাকা, মালয়েশিয়ায় কিলোমিটারপ্রতি খরচ পড়েছে ৫৭ কোটি টাকা, চীনে কিলোমিটারপ্রতি ব্যয় হয়েছে ৪৮ কোটি টাকা। অথচ গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভার নির্মাণে ব্যয় করা হয়েছে কিলোমিটারপ্রতি ২৪১ কোটি টাকা, যা কিনা এসব হিসাবের চেয়ে ৪-৫ গুণ বেশি। অথচ বাংলাদেশে একজন নির্মাণ শ্রমিকের মজুরি ভারতের তুলনায় ৫০ শতাংশ, চীনের তুলনায় ১৭ শতাংশ এবং মালয়েশিয়ার তুলনায় মাত্র ১০ শতাংশ। কয়েকগুণ বেশি ব্যয় হওয়ার কারণ যে ‘বাড়তি খরচের’ বদলে ‘কমিশন খাওয়া’সহ নানা পন্থায় বিপুল পরিমাণের বেপরোয়া লুটপাট, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।

দেশ থেকে ক্রমবর্ধমান পরিমাণে যে বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার হচ্ছে তার হিসাব থেকেও লুটপাটের মাত্রা অনুমান করা যায়। ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি’ কর্তৃক প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী ২০০৫ থেকে ২০১৪ – এই ১০ বছরে এ দেশ থেকে ৬ লাখ কোটি টাকার বেশি অর্থ অবৈধভাবে বিদেশে পাচার হয়েছে। তার মধ্যে ২০১৪ সালে (১ বছরে) পাচার হয়েছে প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা। এ টাকায় গড়ে উঠেছে কানাডার বেগমপাড়া, মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম, বেড়েছে সুইস ব্যাংকের গোপন অ্যাকাউন্টে গচ্ছিত টাকার পরিমাণ, কেনা হচ্ছে ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন শহরে বিলাসবহুল বাড়ি-অ্যাপার্টমেন্ট, চলছে নামিদামি প্রতিষ্ঠানে সন্তানদের পড়াশোনা, বিলাস ভ্রমণ, শপিং ইত্যাদি। দেশের ভেতরেও কম যায় না। স্বল্পসংখ্যক মানুষ কোটি কোটি টাকার গাড়ি-বাড়ির মালিক হয়ে বিলাসী জীবনযাপন করছে। লুটপাটের পথ ছাড়া বৈধ কোনো পথে এ পরিমাণ অর্থ-সম্পদ অর্জিত হতে পারে কি? সরকারের বিবেচনায় এসব ধনাঢ্য লুটেরা ব্যক্তির এ ধরনের কর্মকা- উন্নয়নের স্বার্থে মেনে নিতে হবে। কারণ এরাই হলো এ দেশের ‘উন্নয়নের কান্ডারি’!

চার দশক ধরে দেশের সরকারগুলো যে উন্নয়ন-কৌশল অনুসরণ করছে তাতে ৯৯ শতাংশ মধ্যবিত্তকে বঞ্চিত করে দেশের ১ শতাংশেরও কম মানুষের হাতে সম্পদ কেন্দ্রীভূত করা হয়েছে। এই ১ শতাংশের ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে যে হারে, অবশিষ্ট ৯৯ শতাংশেরও বেশি মানুষের অবস্থার উন্নতি ঘটেছে তার থেকে কয়েক হাজার বা কয়েক লাখ গুণ কম হারে। ফলে ‘বৈষম্য’ বেড়েই চলেছে।

পাকিস্তান আমলে উন্নয়নের যে পথ অনুসরণ করা হতো, স্বাধীন বাংলাদেশ আমলের বুর্জোয়া সরকারগুলো একই পথ অনুসরণ করে চলছে। অথচ লুটপাটের ধারাকে ভিত্তি করে এ ধরনের অমানবিক ও যন্ত্রণাদায়ক পথ ছাড়াও দেশের অগ্রগতি সাধনের জন্য অন্য পথ আছে। বস্তুত ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সবার ‘সমতাভিত্তিক দেওয়া-নেওয়ার’ ধারায়, পরিকল্পিত পদ্ধতিতে, অসহনীয় ‘প্রসব বেদনার’ জন্ম না দিয়েই আরও দ্রুত ও মানবিক পন্থায় উন্নয়ন সাধন করা সম্ভব। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারায় সে পথে চলার স্পষ্ট দিকনির্দেশনা ছিল। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ সে পথ ধরে এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছিল। সেই পথ ধরেই দেশ চলবে এটিই ছিল মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন। দেশকে সেই পথে ফেরাতে হবে। বঞ্চিত ৯৯ শতাংশ মানুষের পুনর্জাগরণই তা সম্ভব করে তুলতে পারে। -ফেসবুক থেকে নেয়া

[লেখক : সভাপতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি]

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!