স্টাফ রিপোর্টার::
ক্যানসার শণাক্তকরণ যন্ত্রের উদ্ভাবক সুনামগঞ্জের আলোকিত সন্তান ড. মুহম্মদ জহিরুল আলম সিদ্দিকীকে নিয়ে সুনামগঞ্জের সুধীজন রবিবার সান্ধ্য বৈঠকে বসবেন। রোববার সন্ধ্যা সাতটায় সুনামগঞ্জ শহিদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি পাঠাগার মিলনায়তনের বৈঠকে অংশ নেওয়ার জন্য ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকসহ সুধীজনদের উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনস্থ গ্রিফিথ ইউনিভার্সিটির সিনিয়র লেকচারার এবং এনএইচএমআরসি রিসার্চ ফেলো ড. মুহম্মদ জহিরুল আলম সিদ্দিকী শামীম কয়েক বছর আগে ক্যানসার শণাক্তকরণ যন্ত্র উদ্ভাবন করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেন। এই যন্ত্রটি বাজারে আসলে অল্প পয়সা খরচ করেই ক্যানসারের প্রাথমিক অবস্থান জানা যাবে। এই যন্ত্রের মাধ্যমে পরীক্ষা করে চিকিৎসায় ক্যানসার প্রতিরোধ সম্ভব হবে কি না তাও জানার সুযোগ পাবে। এতে অযাচিত ব্যয় থেকে রক্ষা পাবেন রোগিরা। তার এই উদ্ভাবন ব্যবস্থা বিশ্বের বিভিন্ন বিজ্ঞান সাময়িকীতে ছাপা হয়। এ নিয়ে তুমুল আলোচনা হয় বিশ্বজুড়ে। তার এই উদ্ভাবনের সঙ্গে বাংলাদেশের নামও জানতে পারে বিশ্ব। সুনামগঞ্জের ধর্মপাশার এই সন্তান এর মাধ্যমে বাংলাদেশেও বিশেষ পরিচিতি পান। বাংলাদেশের প্রায় সবগুলো মূলধারার মিডিয়ায় তাকে নিয়ে বিস্তর লেখালেখি হয়। মেধার সঙ্গে দেশপ্রেমের বিরল সমন্বয়ও তাকে আলাদাভাবে পরিচিতি করেছে।
এই বিজ্ঞানী প্রতিবছরই দেশে আসলে বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি, কলেজ ও স্কুলে তিনি বিজ্ঞান বৃক্ততা দিয়ে শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করেন। আপাদমস্তক প্রগতিশীল চিন্তক এই তরুণ বিজ্ঞানীকে নিয়ে আগামীকালের এই বৈঠকে অংশ নেওয়ার জন্য সবাইকে আহ্বান জানানো হচ্ছে।
সুনামগঞ্জ শহিদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সালেহ আহমদ বলেন, বিজ্ঞানী জহিরুল আলম সিদ্দিকী আমাদের হাওর-ভাটির আলোকিত সন্তান। তিনি বিশ্বে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। মেধাবী ও দেশপ্রেমিক এই বিজ্ঞানীর উদ্ভাবন আলোর মুখ দেখুক। মারণঘাতি ক্যানসার শণাক্তকরণ যন্ত্রটি বাজারে আসলে বিশ্বের সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি।