1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

সংস্কৃতির ভাঙা সেতুয় পা ।। বিমান তালুকদার

  • আপডেট টাইম :: সোমবার, ৪ জুন, ২০১৮, ৭.১৪ এএম
  • ৩১৫ বার পড়া হয়েছে

না, যতোটুকু সংস্কৃতি বলা ততোটুকু হচ্ছে না। সংস্কৃতি সংস্কৃতি বলে নিজের জায়গাটুকু দখলের কোনো হেতু নয়। সংস্কৃতি আলাদা প্রকাশের কোনো বিষয়ও না। পত্রপত্রিকা, রেডিও টেলিভিশনে সুন্দরের জন্য মাঝেমধ্যে এসব কিছু আগেপিছে বলতে হয়। এসব বলাকওয়া নিয়েও দেখেছি ঠেলাধাক্কা হয়। হোকগে। অকাজের থেকে কাজ বেশি থাকায় সবদিকে নজর সম্ভব না। দখলবাজদের লাইনে, ভিড়ে দাঁড়ানো অনেকের মতো আমারো পছন্দ না।
দেখেছি। দেখছি। একলোক পান চিবোচ্ছেন। বুঝাতে চাইছেন মুখে-বুকে-পেটে অনেক সম্পদ। আসলে পানসুপারির কণামাত্র। কী আড়ম্বর! সাহিত্য-সংগীত বাদ যায় কেন! সুর যতোটুকু আছে তার সাথে ভাবের মল্লযুদ্ধ। এক লেখকের ৩টি কবিতার বই বেরিয়েছে। পড়তে দেখিনা। নিজেই বলেন পড়েন না। এই, এই করেই তো এগোচ্ছে। রাজনীতি কি বাইরের কোনো বিষয়, বাইরের কোনো লোকেরা করে, যে তারা আচমকা শুদ্ধ হয়ে যাবেন!
কেউ কাউকে সহ্য করতে পারছেন না! ঈর্ষাক্রান্ত। সব প্রতিদ্বন্দ্বি-প্রতিযোগী। সবটুকু মেধায় নয়। ছলে, চাতুরীতে, কৌশলে। যেন প্যাঁচ করে বাঁচা।
সঙ্গপ্রিয় বলে দলের সাথে চলতে সংগঠন করতে ভালো লাগলেও যিনি একা কাজ করতে পারেন রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে কাজের মতো বিষয়কে যিনি একা টেনে নিতে পারেন এবং সংঘকে প্রকাশ্যে অবিশ্বাস করতে পারেন তাঁর কাজের প্রতিও অগাধ বিশ্বাস, শ্রদ্ধা আছে। দিনশেষে কাজটাই বড়। যতদুর জানি কাজের প্রতি শ্রদ্ধা ভালবাসা ছাড়া কাজটা এগোয় না।
অনেককে নিয়ে বসা হলো। বের হবে মেঠোসুর। এগিয়ে দিলেন মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান। নিভৃতে অনেক কাজ করছেন তিনি। বিনামূল্যে পড়াচ্ছেন। আরো কিছু কাজ আমাদের অজানা। তাঁর প্রচেষ্টা এবং সজল ছত্রীর অলংকরণে বের হচ্ছে প্রায় নিয়মিতই। প্রায় নিয়মিত মানে দুয়েকবার সময় ক্ষেপণ হয়েছে। অতিরিক্ত কাজের চাপে প্রকাশ পিছিয়েছে।
কাজ বলতে কী শুধুই নিজের! মনে পড়ে খুব যতœ করে আমরা এগোচ্ছি। আমরা মানে বেশ কয়েকজন মানুষ। প্রায় সবাই হাওরের। ওখানে আমাদের জন্ম। শৈশবটুকু ওখানের।
কী ভাবছিলাম আমরা। আমাদের শেকড় নিয়ে কাজ করবো। ধারাবাহিকভাবে কয়েকটি বিষয় ধামাইল, জারি-সারি-ভাটিয়ালি-গাজীরগান-যাত্রা-পুঁথিপাঠ-বাঘেরসিন্নি ধামাইল এসব বিষয় নিয়ে অজপাড়াগায়ের মাঠগুলোতে কাজ হবে। সাধারণ মানুষেরা অংশগ্রহণ করবেন। উৎসব হবে বেশ কিছু জায়গায়। একটা সময় তারা নিজেরাই আয়োজন করবেন। এ কাজে নিবেদিত এবং আন্তরিক সজল কান্তি সরকার। সঙ্গে আরো আছেন অনেকেই।
সহযোগীতা করে চলেছেনÑ গোপেশ সরকার, মাধব লোধ, রেখা বসু, জীবনকৃষ্ণ সরকার, আলআমিন, সাজেদা আহমেদ, সনৎ সরকার, দীপা সরকার, নিকলেশ সরকার, দেবাশীষ সরকার, রাজীব সরকার, বিপ্র বিমল, প্রাণকৃষ্ণ চৌধুরী, পুরঞ্জয় সাহা, রজত তালুকদার, রাসেল আহমেদ, মানিক সরকার, বাদল কৃষ্ণ দাশ, কাঞ্চন রায়, সুমন সরকার, আরাধন তালুকদার, মো: আরিফ, খোকা সরকার, কল্লোল চৌধুরী, প্রদীপ সরকার, সুদীপ ভট্টাচার্য, রমাপদ চক্রবর্তী, প্রভাত দেবনাথ, বিজয় কৃষ্ণ সরকার, পরিতোষ সরকার, প্রভাত তালুকদার, উপানন্দ সরকার, কল্যাণ বিশ্বাস, অসীম সরকার, সম্পা তালুকদার, মণি সরকার, জাহাঙ্গীর আহমেদ, মাহবুবু রহমান শেখ, সুমন আহমেদ, উত্তম কাব্য, সুমন চৌধুরী, তমি¯্রা তিথি, সুমন সরকার, আবু হান্নান, পরিমল সরকার, নির্মল তালুকদার, দেবব্রত দাসসহ আরো অনেকেই।
ধামাইল মানে সারা গ্রামের মহিলাদের দলগতভাবে পাওয়া। যাত্রা মানে পুরুষদের একত্র করে পাওয়া। বিচ্ছিন্নতা কমে যাওয়া। ভাবনামতো কিছু কাজ হয়েছেও।
হাওরপারের ধামাইল (হাপাধা) বাংলাদেশের আয়োজনে মধ্যনগর হাওরউৎসব হবে। বিভিন্ন গ্রাম থেকে বিভিন্ন পরিবেশনা থাকবে। প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল অনুষ্ঠানে থাকবেন বলে আগেই সম্মতি দিয়েছিলেন। তবে আগে থেকেই মঞ্চে বসার এবং দীর্ঘ আলোচনার মতো কোনো বিষয় আমরা রাখিনি। চিঠিতে তাই চেয়ারম্যানের নামও যায়নি। এতে তিনি ক্ষুব্ধ এবং তার আরো কিছু অনুরাগী মিলে বিষয়টিকে ক্রমে জটিল করে তুলেছিলেন। প্রসঙ্গটি অনেক দূর গড়াল। প্রশাসন, স্থানীয় জাতীয় পত্রপত্রিকা পর্যন্ত। এ ব্যাপারে সিলেটের পত্র-পত্রিকা, ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ অনেক মানুষই আন্তরিকভাবে আমাদের সহায়তা করেছিলেন। সিলেটের বাইরেও আমাদের হয়ে মানববন্ধনও করেছেন অনেকে। পরে এসব জেনেছি।
চেয়ারম্যানের পক্ষ ধরে কেউকেউ আমাদের বিপক্ষে চলে গেলেন। ঐ ঘটনার সময় সাথে ছিলেন জমশেরপুর গ্রামের প্রদীপ সরকার। এই দলে কলেজ বিশ্বাবিদ্যালয়ের সংগঠনে নেতৃত্ব দেয় এমন তিন চারজনসহ দশজনের মতো লোক ছিল। অনুষ্ঠানের দিন মধ্যনগর থমথমে অবস্থা ছিল। পরে দিনতারিখ পরিবর্তন করে স্থানীয় মানুষদের সহযোগিতায় অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। হাওরের অনেক গ্রাম থেকে মানুষ দলেদলে এসে অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
পরের বছর আবারো সিদ্ধান্ত হয় উৎসব হবে। এলাকা থেকে অনেকেই অনুষ্ঠান করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছেন। মিটিং হচ্ছে খোলা মাঠে। দেখা গেল পুলিশ এসে সামান্য কথা কাটাকাটির পর থানার নিয়ে গেল আমাদের। কে কি করেন বলে কাগজে কিছু লিখতে বলেন থানার ওসি। নিজেদের সম্পর্কে একটু লেখার পর কী মনে করে ছেড়ে দিলেন।
কাজ শুরু। গ্রামে গ্রামে বার্তা পৌঁছে গেছে। হাওরউৎসব। বেশ কয়েকটা গ্রামে রিহার্সেল শুরু হয়ে গেল। আমার গ্রামেও। এ নিয়ে বাবার উৎসাহ এবং দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে তাঁর আন্তরিকতা ছিল খুব। অবশ্য অনেক দলের মতো আমাদের গ্রামের দলের পরিবেশনাও চমৎকার ছিল।
বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এলে মানুষের চালচলন এবং সাংস্কৃতিক মান কোন মাত্রায় পৌঁছায় সেটি যাত্রাশিল্পকে দিয়ে টের পাওয়া যায়। কত দ্রুত একটি শক্তিশালী গ্রামীণ সংস্কৃতিমাধ্যমকে সমূলে উৎপাটন করে দেয়া হলো! সেই বৈরিতা, খরার মধ্যে এখনো আছে হাওরবাসী। আমাদের কার্যক্রমের পর হাওরএলাকায় অনুষ্ঠানের মাত্রা অনেকগুণ বেড়ে গেছে। প্রায় গ্রাম থেকে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ ও উপভোগের জন্য আমন্ত্রণ আসতে থাকে। কোথাও কোথাও সজলদার নেতৃত্বে দল বেধে যাই। কোথাও একা একা যাই। চলছে সেটা।
১৪২৩ সাল। ফসলের স্বপ্নে বিভোর কৃষক। প্রচ- দুর্যোগ নেমে এলো হাওরবাসীর। কোনো কোনো জায়গায় শতভাগ ফসল তলিয়ে যায়। অনেককে নিয়ে আমরা সিলেটে বসি হাওরএলাকার জন্য কিছু করা যায় কিনা। যাদের আমন্ত্রণ জানালাম তাদের সবাই প্রায় এলেন। মতবিনিময় হলো। তাদের অভিজ্ঞতা থেকে বললেন এভাবে হয় না। প্রবীণ সাংবাদিক আল-আজাদ বলছিলেন তোমাদের এলাকায় ইঞ্জিনিয়ার, ব্যাংকার, ডাক্তার কি নেই তাদের নিয়ে বসে দেখতে পার। তাদের নিয়ে আর বসার সুযোগ হয়নি। চলে গেলাম হাওরে। মনে মনে ভাবলাম বেশ কতোবছর হাওরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য, জাগানোর জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উৎসবের আয়োজন করা হয়। ফসল নষ্ট হয়ে গেল এই দুঃসময়ে অন্তত একবার যাই তাদের পাশে যাই। গিয়ে দেখলাম অসহায় অবস্থা। কিছু কিছু হাওরে জাঙ্গাল মানুষে ধস্তাধ্বস্তি। যদি এই হাওরটা বাঁচানো যায় আশেপাশের অনেকগুলো গ্রাম বেঁচে যাবে। জনপ্রতিনিধিরা প্রায় গা ঢাকা দেওয়া অবস্থা। এলাকায় নাই। দুপুরে জাঙ্গালে একদল অমানুষিক পরিশ্রম করে বাধ টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। আরেকদিকে অনেকেই বসে, দাঁড়িয়ে কৃষকরা চিড়া, বিস্কিট খাচ্ছেন। আমাদেরকেও দিলেন। সাথে ছিল অসীম ও রুবেল। চিড়া বিস্কুট গলা দিয়ে নামতে চাইছে না। নিজের অতিরিক্ত কিছু টাকা ছিল সেটি ঐ জাঙ্গলে দিয়ে আসলাম। ভেতরে এসব মানতে পারছিলাম না। হাওরের টাকাগুলো প্রায় প্রতিবছর উধাও হয়ে যায়। এটা দিনের পর দিন চলছে!
গরু-বাছুর-হাসমুরগী রাতারাতি বিক্রি করে অসহায় হয়ে আছে কৃষক। পত্র-পত্রিকা-টিভি-সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাহাকার। নিজের মতো করে আমরাও কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপস্থাপন করি। অনেকেই সাড়া দিচ্ছেন। হাওরপারের ধামাইল (হাপাধা) বাংলাদেশ বেশ বড় একটি ভূমিকা নিয়ে সামনে এলো। ৪০টি গ্রামে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে সারা বছরের খাতা-কলম একসাথে দেওয়ার ঘোষণা দিলেন। এলাকার অনুরাগী প্রবাসী কেশব চন্দ্র লোধের পক্ষ থেকে প্রতিটি গ্রামে গ্রামে ইঞ্জিনচালিত ট্রলারের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা সহায়তা পৌঁছে যায়। নানাজন, সংগঠন ইতোমধ্যে ত্রাণ সহায়তা শুরু করে দিয়েছেন। তবে তারা যে জায়গাগুলো যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল সেখানে দিয়েই তারা ফিরে আসছেন। প্রবাসী সহযোগিতাও আসছে। অপ্রতুল সরকারি সহযোগিতাও আসা শুরু হয়েছিল। এসময় পরিচিত অনেকেই আর্থিক এবং কিছু ঔষধপত্র দিয়েও সহায়তা করেছেন। এক্ষেত্রে সিলেট মিডিয়া, আহমেদ বকুল একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
মনে হলো একটি জায়গায় ভাল কাজ হয়েছে কিন্তু মানুষের একটু দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতার দরকার। কম খরচে সেটি কিভাবে সম্ভব। ভাবনায় এলো মিষ্টি কুমড়া, কুমড়া, সীম, করলা, লালশাক বীজ অর্থাৎ হস্কৃষির বিষয়গুলো আমরা সাপোর্ট দিব। এখানেও সজলদা বন্ধু কেশবদার মাধ্যমে প্রায় বারো হাজার কৃষকদের কাছে সহযোগিতা পৌঁছে দেয়া সম্ভব হয়েছে। আমাদের প্রদেয় প্রতিটি গ্রামেই এর সুবিধা ভোগ করছেন এখনো অনেকেই। অসীম সরকার, উত্তম কাব্য, তমি¯্রা তিথি, জাহাঙ্গীর, মাহবুবসহ অনেকেই গুরুত্বপূর্ণ সময়টুকু এইসময় দিয়েছেন। সম্প্রতি হাওরের বিভিন্ন বাঁধ পরিদর্শন ও গ্রামের খবরাখবর নেয়ার জন্য আমরা হাওরে যাই। বারবার মনে হচ্ছে এই অপরিকল্পিত বাঁধ সাময়িক হয়তো মানুষকে আশ্বস্ত করছে কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি একটি ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। কৃষি ব্যবস্থায় এর বিরূপ প্রভাব পড়বে হয়ত সামনে। গোপাট, নদী, খাল এইসব ক্ষমতাবানদের দখলে যাচ্ছে। নদীর নাব্যতা হারাচ্ছে। নদী জীবন হারালে কিভাবে গ্রামীণ জীবন টেকে। এক অর্থে নদী তো আমাদের পালনও করে। হাজার বঞ্চনা-প্রবঞ্চনা শাসনে তারা কতোটুকু ভাল থাকবে পারে! এইসব অসঙ্গতির পরও দেখিছি আনন্দকে কৃষকেরা ভুলে যাননি। সম্প্রতি হাওরের অনেক জায়গায় যাত্রাপালা, ধামাইল, বাউলগান, মেলাসহ নানা আনুষ্ঠানিকতা চলছে। চলছে হাওরের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ডকুমেন্টারি তৈরির জন্য প্রচেষ্টা।
সংস্কৃতির নাম করে মানুষের স্পর্ধা দেখা যায়। স্পর্ধা থাকুক। সে স্পর্ধার সাথে থাকুক চৈতন্য, থাকুক ইতিহাস-ঐতিহ্য, মানুষকে জানা। থাকুক সংবেদনশীল মানবিকতা। যন্ত্রচালিতের মতো দানব যেন না হয়ে উঠি। অনেকেরই ঔদত্যপূর্ণ আচরণ চোখে পড়ে। এ যেমন ঠিক নয় তেমনি অকারণে নত থাকারও কোনো প্রয়োজন নেই। দিনকে দিন বয়স্কদের সম্মান করার জায়গায়টা উধাও হয়ে যাচ্ছে। নিজেদেরও যে বয়স হবে এই কথাটা কেন জানি মাথায় থাকছে না।
বন্যা-মাড়ি-মড়ক-দুর্নীতি-দুর্যোগ-ক্ষরা-যোগাযোগের অঘটন ঘটনা নিত্যদিন আছে। তবু সম্মানের সাথে মাথা উঁচু করে বাঁচার মতো কিছু প্রেরণাও আছে। মুক্তিযুদ্ধÑস্বাধীন হয়ে উঠা, মনে রাখার, ভাষার, ত্যাগের অহংকার চিরকালের অর্জন। মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে পর্বতের মতো। এগিয়ে যাবার জন্য এর থেকে বড় উপমা কী হতে পারে। কতোটা জাতির আছে এইসব অর্জন! এতো আমাদের এক অপ্রতিরোধ্য, অনন্য উৎসাহের জায়গা! শ্রদ্ধায়-মরমে চিনে নিতে হবে এইসব ভালোলাগার জায়গা।
সংস্কৃতির ভাঙা সেতুতে দলাদলি, ছল, ভ-ামী কম না। পিচ্ছিল পথে তো পতনের আশংকা অধিকই হয়। সততা-সচেতনতা দিয়ে সেখান দিয়ে এগোতে হবে। এগিয়ে নেয়ার পথে যারা দায়িত্ব নেন তারা পিচ্ছিল পথে পরতে পরতে উঠে দাঁড়াক। আছি এই দলে আমিও।
প্রচার, নামবিকানো, বেনিয়া-ব্যবসায়িক হতে নয়। নিজ, নিজেদের সমাজ, পাড়া-প্রতিবেশী, দেশ একটু ভাল থাকুক। ভালো স্বদেশি না হতে পারলে বিশ্বমানুষও হওয়া যায় না। সংস্কৃতির আসল রূপটি আসলে পরিবারের সাধারণ সৎমানুষটি হয়ে উঠা থেকে শুরু করে বিশ্বমানুষটিকেও বুঝায়।
আমি আমি করা কুয়োর ব্যাঙ, নাচ-গান আর সমাজ-সংসারকে কিছু তথ্য-উপাত্ত দিতে পারাই সংস্কৃতি নয়। আনুষ্ঠানিক আড়ম্ভর করা লোকই সংস্কৃতিসাধক নয়। আরো অনেক পথ এগোবার বাকি। নিজেদের শুদ্ধ হওয়ার মানুষের কাছে যাওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহক থাকুক। এগোতে হবে সামনের দিকে।
লেখক: কবি ও সংস্কৃতিকর্মী।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!