স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জ জেলা শহরের প্রধান পশুর হাট এখনো জমে ওঠেনি। পৌরসভার ইজারাকৃত জুবিলী স্কুল মাঠের এই হাটে গিয়ে দেখা যায় মাঠটি প্রায়ই ফাকা। সামান্য গরু নিয়ে হাটে এসেছেন ক্রেতারা। তাছাড়া কিছু পাইকাররাকেও গরু নিয়ে বসে থাকতে দেখা গেছে। হাটটি জমে না ওঠা প্রসঙ্গে ইজারাদার জানিয়েছেন শহরের হাট বিলম্বে জমে। কারণ অনেকেরই পশু কিনে নিয়ে রাখার স্থান নেই। তাই শেষ সময়ে কিনেন তারা। তাছাড়া ক্রেতারা জানিয়েছেন শহরের পশুর হাটে দাম ও হাসিল বেশি থাকায় অনেকেই শহরতলির হাটে গিয়ে পশু কিনে থাকেন।
সোমবার দুপুর ১২টায় জুবিলী স্কুল মাঠের পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায় গবাদি পশু ও ক্রেতা বিক্রেতাদের উপস্থিতি একেবারেই কম। তীব্র গরমের কারণেও অনেক পাইকরা ও বিক্রেতা গরুকে মাঠে না রেখে আশপাশে ছায়ার আশ্রয়ে রাখতে দেকা গেছে।
রংপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল আলিম বলেন, প্রতি বছরের মতো হালচাষের সঙ্গে কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য ২-৩টা গবাদি পশু বিশেষ করে লালন পালন করি। শহরের হাটে নিয়ে এসেছি সকালে। কিন্তু দাম দর বেশি ভালনা। তাই এখনো ছাড়িনি। অপেক্ষা করছি ভালো ক্রেতার।
হাটে কোরবানী দিতে এসেছেন হাজীপাড়ার রাসেল। তিনি বলেন, মাঠ ঘুরে দেখছি। কিন্তু পশু কম থাকায় পছন্দ হচ্ছেনা। তাই অপেক্ষা করছি আরো বেশি গবাদিপশু আসলে পছন্দ করে কিনব।
ক্রেতা বিক্রেতারা বলছেন সুনামগঞ্জের হাটে ভারতীয় ও বা ফার্মের গরুর চেয়ে এখনো কৃষকের গৃহপালিত গবাদিপশুরই আধিক্য লক্ষ্য করা যায়। যে কারণে এসব পশুর আলাদা চাহিদা রয়েছে।
পৌরসভার পশুর হাটের ইজারাদার মিজানুর রহমান মিজান বলেন, হাট এখনো জমে ওঠেনি। আশা করি শেষ দিকে অন্যান্য বছরের মতোই জমে ওঠবে।