1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ০৮:১৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
শাল্লায় হাওর বাঁচাও আন্দোলন নিয়ে অপপ্রচার সংগঠনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জামালগঞ্জে চতুর্থ পর্যায়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর প্রদান নিয়ে প্রেস কনফারেন্স স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে আবারো নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে: এমপি মানিক শাল্লায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রেস ব্রিফিং সুনামগঞ্জে উৎসে কর কর্তনের বিধি বিধান বিষয়ে ওয়ার্কিং সেমিনার মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া জামালগঞ্জে ৫ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা ‘হৃদয়ে জাগে একাত্তর’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ছাতকে জমিতে পানি সেচের প্রতিবন্ধকতা করে তারাবিলে মৎস্য আহরণ, অবশেষে বন্ধ ছাতক-দোয়ারার প্রতিটি ইউনিয়নে কলেজ ও ওয়ার্ড ভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হবে: এমপি মানিক মাহির জামিন মঞ্জুর করলেন আদালত

দেবী মনসার মূর্তি তৈরি করে স্বাবলম্বি শাল্লার কারিগররা

  • আপডেট টাইম :: শুক্রবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৮, ৭.১৬ এএম
  • ৩৯২ বার পড়া হয়েছে

উপানন্দ দাস::
আজ ১৭ আগস্ট শুক্রবার হিন্দুৃধর্মাবলম্বীদের মনসা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। যাকে কেন্দ্র করে পূজো সেই দেবী মনসার প্রতিমাই আচারের মূখ্য। শাল্লার আনন্দপুরে দীর্ঘদিন ধরে মনসার মূর্তি তৈরি করে এখন স্বাবলম্বি কারিগরররা। এবার ওই এলাকায় শত শত মনসামূর্তি তৈরি করে তারা বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে উপজেলার আনন্দপুর গ্রামে পাল সম্প্রদায়ের লোকদের এসব মূর্তি তৈরি ও বিক্রি করতে দেখা যায়। আশপাশের গ্রাম থেকে মূর্তি কিনে নিতে আসা শতশত মানুষের আনাগোনা পরিলক্ষিত হয়। প্রতিমা তৈরিতে রং তুলির কারুকাজের শেষ ধাপ হলো চক্ষু দান।
শ্রাবণ মাসের শুরু থেকেই গ্রামের প্রতিমা শিল্পীরা প্রথম মাটি দিয়ে তৈরি করেন মনসা প্রতিমার অবকাঠামো। প্রথম সাদা প্রলেপ দেওয়ার পরে লাগানো হয় মূল রং। দীর্ঘ দিন ধরে বংশ পরম্পরায় এসব মূর্তি তৈরি করে বিক্রি করছেন শাল্লার আনন্দপুর গ্রামের অরবিন্দু পাল, হরেকৃষ্ণ পাল, মহাপ্রভু পাল, চয়ন পাল ও কেশব আচার্যপাল। তাছাড়া পার্শবর্তী রঘুনাথপুর গ্রামের কালী চরণ দাসসহ কয়েকজন দীর্ঘদিন ধরে প্রতিমা তৈরি করে বিক্রি করে থাকেন। দেবির প্রতি বিশ্বাস ও ভক্তি থেকে প্রতিটি মূর্তিকে আকর্ষণীয় করে তুলেন তারা। সেগুলো দেখে ভক্তরা খুশি হয়। জানা গেছে এই শিল্পীদের পাশাপাশি ওইসব পরিবারের নারীরাও প্রতিমা তৈরিতে পুরুষদের নানাভাবে সহযোগিতা করেন।
আনন্দপুর গ্রামের প্রতিমা কারিগর হরেকৃষ্ণ পাল বলেন, পূর্ব পুরুষ থেকে আমরা সময় সময়ে দুর্গা, কালী, মহাদেব, সরস্বতি, লক্ষ্মী-নারায়ণ, পঞ্চতত্ত্ব, গনেশ, রাধা-কৃষ্ণসহ আরো অন্যান্য দেব-দেবীর মূর্তি তৈরি করি। এবছর দেড় শতাধিক মনসা তৈরি করেছি। কাজ ও গুণাগুণ বৈশিষ্ঠের কারণে কোনো কোনো মূর্তির দাম ৫শ’ থেকে ২হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। ওই গ্রামের কারিগর মহাপ্রভু পাল বলেন, আমিও শতাধিক মূর্তি তৈরি করেছি। কৃষিকাজের পাশাপাশি মূর্তি তৈরি করে এখন কিছুটা স্বাবলম্বীও হয়েছি। চয়ন পাল বলেন, আমি গিরিধর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে পড়ি। আমিও মূর্তি তৈরি করে বাবাকে সাহায্য করি। বাবার কাছ থেকে প্রতিমা তৈরি শিখছি।
অন্যদিকে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার নগর গ্রামের পাল সম্প্রদায়ের লোকজনদেরও শাল্লা উপজেলা সদরে তাদের তৈরিকৃত মনসা দেবীর প্রতিমা বিক্রি করতে দেখা গেছে। শাল্লার বিভিন্ন গ্রামেই মনসামূর্তি তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে।
এলাকার প্রবীণ পূজারীরা জানান, বহুদিন থেকেই শ্রাবণ মাসের শেষ সংক্রান্তিতে মনসা দেবীর পূজার্চনা করে আসছেন ওই এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা। শ্রাবণ মাসের শুরুতেই নর-নারী প্রতিটি পরিবারেই পদ্মপুরাণ পাঠের মাধ্যমে মা মনসা দেবীর আগমনী বার্তা দেন। ওই পুরাণে রাজা চন্দ্রধর প্রথম মনসা দেবীর পূজার্চনা করেন। মনসা দেবী ও বিপুলা-লক্ষ্মীণধরের ইতিহাস নিয়েই মূলতঃ পদ্মপুরাণ। এই পদ্মপুরাণ গ্রন্থটি তৎকালিন বাইশজন কবির সমন্বয়ে রচিত হয়েছিলো।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!