অনলাইন ::
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বন্ধ রাখা বাস চলাচল সোমবার থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ জানিয়েছেন।
রোববার রাতে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সারা দেশের পরিস্থিতি এখন ভালো মনে হচ্ছে। আমরা নিরাপদ বোধ করছি; বাস চালানোর মতো পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
“তাই মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে কাল (সোমবার) সকাল থেকে ঢাকাসহ সারাদেশে বাস চলাচল শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
গত ২৯ জুলাই ঢাকায় বাসচাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর থেকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর হয়; সমালোচনার মুখে পড়েন পরিবহন শ্রমিকদের নেতা নৌমন্ত্রী শাজাহান খান।
পাঁচ দিন পর বৃহস্পতিবার সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিয়ে তাদের ঘরে ফেরার প্রত্যাশা প্রকাশের পরদিন শুক্রবার সারাদেশে বাস চলাচল বন্ধ করে দেন মালিক-শ্রমিকরা।
ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে সকালে একদল পরিবহন শ্রমিককে সড়কে অবস্থান নিয়ে গাড়ি আটকাতেও দেখা গেছে।
ওই দিন থেকে সড়কে শিক্ষার্থীদের অবস্থান আগের কয়েক দিনের মতো না থাকলেও পরিবহন মালিক কিংবা শ্রমিক সংগঠনগুলোর কোনো ঘোষণা ছাড়াই বাস চলাচল বন্ধের কারণে সারাদেশে জনদুর্ভোগ চলছে।
বাস মালিকরা বলছেন, সড়কে ভাঙচুরের কারণে পরিবহণ শ্রমিকরা বাস চালাতে চাইছেন না। অন্যদিকে পরিবহন শ্রমিকরা বলছেন, মালিকরা বাস নামাতে নিষেধ করেছেন।
শুক্রবার ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনায়েত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “ছাত্ররা বাস ভাঙচুর করছে এজন্য বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।”
কবে নাগাদ বাস চলাচল স্বাভাবিক হতে পারে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ছাত্ররা ভাংচুর বন্ধ করুক, বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যাবে।”
বাস বন্ধের বিষয়ে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আন্দোলন চলাকালে সড়কে ৩২৫টি বাস ভাঙচুর করা হয়েছে, ১১টি বাস পোড়ানো হয়েছে।
“আমরা এই পরিস্থিতিতে সড়কে বাস নামাতে নিরাপদ বোধ করছি না। এভাবে বাস ভাঙচুর করলে, পুড়িয়ে দিলে আমরাও ক্ষতিগ্রস্ত হই।”
বাস চলাচল কখন শুরু হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সরকার যদি বলে সড়ক নিরাপদ, তবে আমরা যে কোনো সময় বাস নামাব।”
ওই দিনই নৌপরিবহনমন্ত্রী ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি শাজাহান খান পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা ‘পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে’ শনিবার থেকে ফের গাড়ি চালানো শুরু করবে বলে জানালেও আদতে তা হয়নি।