1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৫০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
সুনামগঞ্জে ৪০ শিক্ষার্থীকে নিয়ে জনউদ্যোগের সংগীত শেখা কর্মশালা সুনামগঞ্জে বিএনপির ৮০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশ এসল্ট মামলা জাতীয় নির্বাচনে জাপার মনোনয়ন বিক্রি কাল থেকে শুরু সুনামগঞ্জের ৫টি আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কিনলেন ৩৩ নেতা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হাওরবাসী উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে নৌকার মনোনয়ন কিনলেন আল আমিন চৌধুরী সুনামগঞ্জে পুলিশ বিএনপি সংঘর্ষে সহকারি পুলিশ সুপার ও ওসিসহ ৭ পুলিশ আহত জামাত বিএনপির নাশকতার বিরুদ্ধে এমপি মানিকের শোডাউন সিলেট থেকে ৪৫ যাত্রীকে অফলোডের ঘটনা য় বিমানের চেয়ারম্যানকে লিগ্যাল নোটিশ সুনামগঞ্জে ৬৬টি প্রকল্প উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী, চারটি উপজেলা গৃহহীন-ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা

বর্ষায় খুশি হাওরবাসী: পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকলে বন্যার আশঙ্কা

  • আপডেট টাইম :: বুধবার, ৪ জুলাই, ২০১৮, ৪.৫১ পিএম
  • ২৫৪ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি::
বর্ষায় খুশি সুনামগঞ্জের হাওরবাসী। হাওরবাসী বোরো ধান তোলার পর মওসুমে বর্ষাকে বর্ষা মঙ্গল হিসেবে ভাবেন। কিন্তু এবার বর্ষা মওসুম শেষ হতে চলছে। কিন্তু পানি আসার খবর নেই। তাই চলতে ফিরতে কষ্ট হচ্ছে বছরের ছয় মাসের অধিক সময় হাওরের পানির উপর ভেসে থাকা হাওরজনপদের লোকদের। গত তিনদিনের পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিতে পানি কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং নি¤œাঞ্চল ও হাওর এলাকায় পানি আসায় সাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে হাওরবাসীদের। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসন বন্যার আশঙ্কা নেই জানিয়ে বলেছে বৃষ্টিতে বন্যার আশঙ্কা নেই। তবে পাহাড়ি ঢল কয়েকদিন অব্যাহত থাকলে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।
পাউবো সূত্রে জানা গেছে বুধবার বেলা ৩টায় সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ পয়েন্টে ৭৭ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পুরান সুরমা নদীর পানি দিরাই পয়েন্টে ৪৫ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সূত্রে জানিয়েছে আগামী ২৪ ঘন্টা পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকতে পারে। তবে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন বর্ষায় পলি পড়ে জমি উর্বরা হয়। মৎস্য সম্পদও বৃদ্ধি পায়।
সুনামগঞ্জের ১১ উপজেলাই হাওরবেষ্টিত। কোন কোন উপজেলার পুরো এলাকা হাওরবেষ্টিত হলেও কয়েকটি উপজেলার আংশিক হাওরঘেরা। তবে প্রতিটি উপজেলার বেশিরভাগ গ্রামই হাওরের তীরে বা হাওর দ্বারা ঘেরা। বর্ষায় এখনো ধর্মপাশা, মধ্যনগর ও শাল্লাসহ তিনটি থানার সঙ্গে জেলা সদরের সরাসরি যোগাযোগ নেই। প্রতিটি উপজেলার বেশিরভাগ গ্রামেরই উপজেলা সদরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ নেই। তাই বর্ষা মওসুমে উত্তাল হাওরের বুক দিয়ে উপজেলা শহরে জরুরি কাজে আসতে হয় তাদের। ভরা বর্ষায় হাওরের দুর্গম গ্রামগুলোতে কিচ্ছা, পালাগান, ঢপযাত্রাসহ নানা সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বর্ষায় হাওরের গ্রামে নৌকা দিয়ে বিয়ের ধুম পড়ে। হাওরে শতভাগ বিয়ে এখনো বর্ষা মওসুমে সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণেই হয়ে থাকে বলে প্রবীণরা জানিয়েছেন। বর্ষায় হাওরের বিশেষ প্রকৃতির গস্তি নাও চলাচল করে। যার বেশিরভাগ যাত্রীই স্বচ্ছল পরিবারের।

হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলনের সিনিয়র সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান বলেন, আষাঢ় মাসের শেষ দিকে এসে মনে হচ্ছে গত ৩ বছর পর সুনামগঞ্জে বর্ষার আমেজ দেখা দিয়েছে। টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল এই সময়ের সাধারণ বিষয়। এসময় নদ নদী উপচে পানি বাড়বে। হাওর ঘেরা জনপদেও ডুবন্ত রাস্তা ও নিচু রাস্তা ডুবে যাবে। বিয়ে শাদির ধুম পড়বে। বেশি পানি না হলে হাওরের মানুষ যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহান। কারণ তাদের রাস্তা কিছুটা ভেসে থাকে, কিছুটা ডুবে থাকে। এই অবস্থায় চরম ভোগান্তি হয় তাদের। তাই ভরা বর্ষায় চলাফেরায় সাচ্ছন্দ্য বোধ করেন হাওরবাসী। তাছাড়া পলিতে জমি উর্বরা হওয়ার পাশাপাশি মৎস্য সম্পদও বৃদ্ধি পায়।
হাওর জনপদ হিসেবে পরিচিত শাল্লা উপজেলার আঙ্গাউড়া গ্রামের কৃষক নেতা পীযুষ কান্তি দাস বলেন, পুরোপুরি বর্ষা না হওয়ায় আমরা দুর্ভোগে আছি। কারণ হাওর-ভাটির জনপদের মানুষ হিসেবে আমরা বছরের ৬ মাসেরও অধিক পানিঘেরা থাকি। এই সময়ে রাস্তাঘাট ভালো করে না ডুবলে আমরা হাটতেও পারিনা ও নৌকায় যাতায়াত করতে পারিনা। তাই বর্ষা মওসুমে এমন দৃশ্যই আমাদের কাম্য।

হাওর উপজেলা তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, আমার উপজেলার অধিকাংশ গ্রামই হাওর দিয়ে ঘেরা। বছরের বেশিরভাগ সময় মানুষ নৌকায় যাতায়াত করেন। হাওর নদী খোলা থাকলে নৌকায় তাদের চলাফেরা সহজতর হয়। কিন্তু হাওরে অপরিকল্পিত ফসলরক্ষা বাধের কারণে তাদের চলাফেরায় সমস্যা হচ্ছে। গত কয়েকদিনের বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে পানি কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় হাওরবাসীর যাতায়াত সহজ হয়েছে।
সংস্কৃতিকর্মী আশরাফ শাহীন বলেন, হাওরাঞ্চলে বন্যা এখনো আসেনি। যেটা শুরু হয়েছে সেটা বর্ষার আগমণ। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ বন্যা আর বর্ষার পার্থক্য না বুঝে হাওরের সাধারণ এই দৃশ্যকে বন্যা হিসেবে চালিয়ে দিচ্ছে। তবে নদ নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি একটু বেশি মনে হতে পারে। তিনি নদী ভরাটের বিষয়টি মাথায় রেখে আশির দশকে নির্ধারিত বিপৎসীমা নতুন করে বিন্যাসের আহ্বান জানান।
এদিকে গত তিনদিন ধরে মেগালয় পাহাড় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের সুরমা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বুধবার সকালে পানি বিপদসীমার ৮০ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও বিকেলে ৩ সে.মি. কমে পানি ৭৭ সে.মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় ১০৫ মি.মি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারি প্রকৌশলী নিহাররঞ্জন সরকার বলেন, আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্র জানিয়েছে বন্যার আশঙ্কা নেই। তবে পাহাড়ি ঢল কয়েকদিন অব্যাহত থাকলে বন্যা হতে পারে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল হক বলেন, সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। কোথাও এখনো কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। নিচের এলাকা হিসেবে পরিচিত কিছু এলাকায় পানি উঠলেও আবার নেমে গেছে।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!