1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
দিরাই-শাল্লায় উপজেলা নির্বাচনে প্রতীক পেলেন ২৯ প্রার্থী সুনামগঞ্জের চার উপজেলায় ৫৫জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ বাংলার দর্শকদের জন্য সুখবর নিয়ে এলো ‘পুষ্পা টু’ ঢাকায় পৌঁছেছেন বাংলাদেশের নতুন স্পিন কোচ মুশতাক আহমেদ ইউটিউবার টিম রাকিব পুলিশের সামনে মিথিলাকে পেটাল রূপান্তর নাটক: ট্রান্সজেন্ডার নাটকটি করায় জোভানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা বুবলীর আগের একটি সংসার ছিল ও একটি মেয়ে আছে: সুরুজ বাঙালি চোরাইপথে কয়লা আনতে গিয়ে পাথরে চাপায় এক যুবক নিহত দিরাই-শাল্লায় বিএনপির দুই নেতাসহ চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন নয় জন প্রার্থী ইতালির লিগ পাঁচ ম্যাচ হাতে রেখেই শিরোপা জিতলো ইন্টার মিলান

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ: ফারুক হত্যাকান্ডের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে কালাম-শামীমের অপপ্রচার

  • আপডেট টাইম :: মঙ্গলবার, ৩ জুলাই, ২০১৮, ২.৩২ পিএম
  • ২৫৩ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার::
ছাতকে ফারুক হত্যাকান্ডের তদন্ত ও বিচার বাধাগ্রস্ত করতে স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সন্তানরা ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাতকের উত্তর খুরমা ইউনিয়নের দুইবারের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল আহমদ। হত্যাকান্ডে জড়িতদের বাঁচাতে ছাতক পৌর মেয়র আবুল কালাম চৌধুরী ও তার ভাই শামীম চৌধুরীসহ একটি চক্র নিরপরাধ মানুষকে হয়রানী করে মামলার খুনীদের আড়াল করছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল ফারুকের সহজ সরল স্ত্রী রেহেনা বেগমকে দিয়ে তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক ও তাকে জড়িয়ে মিথ্যে সংবাদ পরিবেশনেরও নিন্দা জানান। মঙ্গলবার ৩ জুলাই সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গও উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিল্লাল আহমদ বলেন, নিহত ফারুক আহমদেরর পরিবারের সাথে আমাদের পরিবারের সম্পর্ক সুদীর্ঘ কালের। ফারুকের আপন চাচা খুরমা উত্তর ইউনিয়নের তিন বারের চেয়ারম্যান মরহুম আব্দুল কদ্দুছের প্রতিটি নির্বাচনে আমাদের পরিবারের অকুন্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতা ছিল। এর জন্য ফারুকের পিতা মরহুম আব্দুস ছত্তার এবং আপন চাচা আব্দুল কদ্দুছ চেয়ারম্যান আমৃত্যু মুহিবুর রহমান মানিকের একনিষ্ট সমর্থক ও কর্মী ছিলেন। কৈশোর কাল থেকে ফারুক আহমদও মুহিবুর রহমান মানিক এর একজন একনিষ্ট সমর্থক এবং দলীয় কর্মী ছিলেন। নির্মম হত্যাকা-ের আগ পর্যন্ত ফারুক নেতা মুহিবুর রহমান মানিকের প্রতি বিশ্বস্থ ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদ বলেন, গত ২২ জুন রাতে ফারুক নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ পেয়ে পরদিন সকালে তিনি স্থানীয় চেয়ারম্যান হিসেবে উদ্বিগ্ন পরিবার থেকে খবর পেয়ে ছাতক থানার গিয়ে বিষয়টি অবগত করেন। পরে পুলিশ প্রশাসনকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ও ফারুকের বাড়িতে যান। পাশাপাশি ফারুকের সন্ধানে এলাকাবাসীকে নিয়ে প্রশাসনকে সহযোগিতা করেন। ফারুকের লাশ উদ্ধারের পর মুহিবুর রহমান মানিক এমপি দ্রুত অপরাধীদের চিহ্নত করে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন স্থানীয় পুলিশকে। কিন্তু কালাম-শামীম গংরা ফারুকের শশুড় বাড়ির সহযোগিতা নিয়ে ফারুকের স্ত্রীকে হাত করে নির্লজ্জ্ব রাজনীতি শুরু করে খুনিদের আড়াল করতে উস্কানীমূলক আন্দোলনে নামে। লাশ ময়না তদন্তের আগেই ছাতক শহরে চেয়ারম্যান বিল্লাল আমদ ও এমপির বিরুদ্ধে মানহানীকর শ্লোগান দিয়ে মিছিল করে। এর অংশ হিসেবে তারা ফারুকের স্ত্রীকে সিলেটে এনে সংবাদ সম্মেলন করে এমপি ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্য দিতে বাধ্য করে। অপরাধী চক্রের এই অপতৎপরতার প্রতিবাদে এলাকাবাসী ক্ষ্ব্দু হয়ে ওঠেছেন।
চেয়ারম্যান বিল্লাল বলেন, ছাতক উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সুজন মিয়া চৌধুরী স্বাধীনতা বিরোধী হিসেবে এলাকায় চিহ্নিত। ১৯৭১ সালে সুজন চৌধুরীর দেশবিরোধী কর্মকান্ড নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা বজলুল মজিদ খসরুর ‘রক্তাক্ত ৭১ সুনামগঞ্জ’ ও মুৃক্তিযুদ্ধ গবেষক তাজুল মোহাম্মদের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গ্রন্থে লেখা আছে। ১৯৯০ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এই সুজন মিয়া চৌধুরী তখনকার তরুণ নেতা মুহিবুর রহমান মানিকের কাছে বিশাল ভোটের ব্যবধানে লজ্জাজনক পরাজয় বরণ করেন। এ পরাজয় সহজভাবে মেনে নেননি সুজন মিয়া ও তার পরিবার। কৌশলে সুজন মিয়া তার দুই ভাতিজা কালাম ও শামীমকে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত করেন। ১৯৯১ সাল থেকে বিগত ২০১৪ সাল পর্যন্ত এই ৬বার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রাপ্ত মুহিবুর রহমান মানিককে নৌকা প্রতীকে ভোট না দিয়ে এমপি মানিকের জীবন ও রাজনীতিকে চীরতরে ধ্বংস করার জন্য হামলা মামলাসহ নানা যড়যন্ত্র করছে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শামীম আহমদ চৌধুরী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার আশায় দৌড় ঝাপ শুরু করেছিলেন। কিন্তু তিনি দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের কাছে কোনো সাড়া পাননি। পাশাপাশি বিভিন্ন গনমাধ্যমে ছাতক-দোয়ারা নির্বাচনী এলাকায় বর্তমান সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকের পুনরায় দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তী নিশ্চিত মর্মে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় শামীম হতাশ হয়ে এই ঘৃণ্য তৎপরতায় নেমেছেন বলে অভিযোগ করেন বিল্লাল।
বিল্লাল বলেন, ফারুকের স্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, গত তিন বছরের মধ্যে অন্তত ৫ বার আমার সহযোগীরা ফারুকের ওপর হামলা করেছে এবং আমি ফারুকের ওপর ৫টি মিথ্যা মামলা করেছি। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা হলো সম্পত্তি নিয়ে আপন চাচাতো ভাইদের সাথে দীর্ঘদিন থেকে ফারুকের বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধের জের ধরেই তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে এবং তারা একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি মামলাও করেছে। জনপ্রতিনিধি হিসেবে এলাকার মুরব্বীদের সাথে নিয়ে তাদের বিরোধটি নিস্পত্তির চেষ্টা করেছি। কুচক্রিমহলের ইন্ধনে তিনি বানোয়াট ও মিথ্যা এই বক্তব্য দিয়েছেন। ফারুকের সাথে আমার কখনো কোনো বিরোধ ছিল না। তিনি আমার প্রতিদ্বন্দ্বীও ছিলেননা। ফারুক কখনো থানায় অথবা এলাকার কোনো মানুষের কাছে আমার নামে অভিযোগও করেননি।
ফারুক কালাম-শামীম চক্রের কোন আত্মীয় নন এবং ফারুকের সাথে তাদের কোন রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই। এই হত্যাকান্ডের প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত ও সুষ্ঠু বিচারের জন্য মুহিবুর রহমান মানিক এমপি প্রশাসনকে জোর তাগিদ দিয়ে আসছেন বলে জানান বিল্লাল।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট রাজ উদ্দিন, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য মো. ছানাওর, ছাতক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান, যুগ্ম আহবায়ক সৈয়দ আহমদ, গয়াছ আহমদ চেয়ারম্যান, ছাতক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবু সাদাত লাহিন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল আমীন ও আনোয়ার রহমান তোতা, এডভোকেট আশিক আলী, আওলাদ হোসেন চেয়ারম্যান, চান মিয়া চৌধুরী, আব্দুল মোছব্বির চেয়ারম্যান, শায়েস্তা মিয়া চেয়ারম্যান, উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুরাদ হোসেন প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!