রিঙ্কু চৌধুরী:
সুনামগঞ্জে জমে ওঠেছে ঈদ বাজার। প্রত্যন্ত এলাকা থেকেও জেলা শহরে এসে সাধ্য মতো ঈদের কেনা কাটা করছেন লোকজন। অন্যদিকে শহরের বিত্তশালী বাসিন্দাদের ঈদ কেনাকাটার জন্য সিলেটে ছুটছেন বলে জানা গেছে। শেষ মুহুর্তে বিক্রিবাট্টা বাড়ছে বলে ক্রেতা বিক্রেতারা জানান।
দোকানীরা জানান, ১৫ রমজান থেকেই কেনা কাটা শুরু হয়ে গেছে। বিশেষ করে তৈরি কাপড়ের দোকানগুলোতে বিক্রিবাট্টা হচ্ছে বেশি। বিক্রেতারা কমবেশি বিক্রি ভালো হচ্ছে বললেও ক্রেতারা জানিয়েছেন কাপড়ের মূল্য বেশি। তবে সাধ ও সাধ্যের মধ্যে তারা কেনা সারছেন। এদিকে ধুম কেনাকাটা বাড়লেও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন সুধীজন। যদিও আইন শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানান তিনি।
সুনামগঞ্জ শহরের প্রিয়াঙ্গন কমিউনিটি সেন্টারের পাশে দুটি অভিযাত কাপড়ের দোকান রয়েছে। উন্নত মানের পণ্য থাকায় রুচিশীল ক্রেতারা সেখানে ভিড় করছেন। তাছাড়া শহরের দোজা এন্ড শপিং কমপ্লেক্স, লন্ডন ম্যানশন, হকার্স মার্কেট, ময়ুরী ফ্যাশন, মধ্যবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা তৈরি পোষাকের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। ফুটপাতেও নি¤œ আয়ের মানুষজন কেনাকাটা করছেন। ফুটপাতের বিক্রেতাকেও ব্যস্ত দেখা যাচ্ছে এই সময়ে।
দোকানীরা জানিয়েছেন তৈরি পোষাকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে মেয়ে ও শিশুদের তৈরি পোষাক। তাছাড়া নারীদের গহনা, অর্নামেন্ট এবং প্রসাধনী সামগ্রীও শেষ দিকে বিক্রিবাট্টা বেড়েছে। জুতা ও অলঙ্কারের দোকানেও ভিড় বাড়ছে।
শহরের মল্লিকপুরের ক্রেতা লাকি বেগম বলেন, কাপড়ের দোকানগুলোতে দাম অত্যধিক। শিশুদের পোষাক আষাকের দামতো নাগালের বাইরে। তাছাড়া সবধরনের পণ্যেরই দাম বেশি বলে জানান তিনি।
পৌর বিপনীস্থ মধ্যবিত্ত তৈরি পোষাক প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী মানবেন্দ্র কর পাপ্পু বলেন, বিক্রি এবছর মোটামুটি ভালোই হচ্ছে। ক্রেতারা রিজনেবল দামের মধ্যে ভালো রুচিশীল কাপড় চান। দামও তুলনামূলক ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে আছে বলে জানান তিনি।
সুনামগঞ্জ বণিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জুয়েল মিয়া বলেন, গত বছর হাওরডুবির কারণে মানুষের মনে ঈদ আনন্দ ছিলনা। এবছর ফসলের বাম্পার ফলন হওয়ায় সবাই সাধ্য মতো কেনা করছে। চাদরাত পর্যন্ত এই কেনাকাটা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
সদর থানার ওসি মো. শহীদুল্লাহ বলেন, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো। তারপরও আমাদের বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ স্থান গুলোতে নিয়মিত টহল দিচ্ছে।