1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০৮ অপরাহ্ন

সুনামগঞ্জের পতিত জমি চাষে শস্যের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের নানা প্রস্তাব

  • আপডেট টাইম :: শনিবার, ৯ জুন, ২০১৮, ১০.২৪ এএম
  • ৪৮৭ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জে পতিত জমি আবাদের আওতায় আনতে নানা প্রস্তাব এসেছে ‘সিলেট অঞ্চলে শস্যের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ’ প্রকল্প থেকে। সম্প্রতি সুনামগঞ্জের বিনা উপকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় প্রকল্পের বিশেষজ্ঞরা এই তথ্য তুলে ধরেন। জমি পতিত না রেখে খরাসহিষ্ণু ও পানি সাশ্রয়ী ফসল আবাদের পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ছোলা, ফেলন, সয়াবিন, সূর্য্যমুখি এবং খরিপ-১ মৌসুমে তিল, পাট, ভুট্টা, বাদাম ও সবুজ ফসল চাষের কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তাছাড়া পতিত জমি আবাদের আওতায় আনতে কৃষকের প্রশিক্ষণের কথাও জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছর থেকে বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ২০১৮-২০১৯ পর্যন্ত সুনামগঞ্জে চাষাবাদ বাড়ানোর জন্য সরকার প্রায় ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সুনামগঞ্জে। সংশ্লিষ্টরা চাষাবাদ বাড়াতে ‘লোকদেখানো’ কিছু কার্যক্রম ছাড়া মাঠে তেমন কাজ করছেন না বলে স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ জেলায় ৫২ হাজার ৭৮২ হেক্টর ফসলি জমি পতিত আছে। বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন ও কৃষি বিপণন অধিদপ্তর যৌথভাবে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। সুনামগঞ্জ জেলার ৭টি উপজেলায় এই প্রকল্পের কাজ চলছে। সুনামগঞ্জ সদর, দিরাই, বিশ্বম্ভরপুর, জগন্নাথপুর, ছাতক, তাহিরপুর এবং জামালগঞ্জে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এসব এলাকায় শস্যের নিবিড়তা কম থাকায় বাছাই করে শস্যের নিবিড়তা বাড়ানোর জন্য প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে সমতল ভূমিতে আউশ ধান, সবজি, সরিষা, ডাল, ফরাস, আদা, হলুদ, ভুট্টা, কচু, ক্যাপসিকাম, নাগামরিচ, তরমুজ, কলা, কাঁচা মরিচ, সয়াবিন, গোল আলু, মিষ্টি আলু চাষ বাড়াতে হবে।
হাওর এলাকার জন্য রবি সবজি, বোরো ধান, সরিষা, ডাল জাতীয়, চিনাবাদাম, গর্জন, তিল, খিরা, ফরাস, ধনিয়া, কাঁচামরিচ, সয়াবিন, গোল আলু, মিষ্টি আলু চাষ বাড়াতে হবে। তাছাড়া পাহাড়-টিলার জন্য কমলা, মাল্টা, লেবু, সাতকরা, লিচু, আনারস, কাঁঠাল, আদা, হলুদ, আম এবং পেয়ারা চাষের কথা বলা হয়েছে। চাষাবাদ বাড়ানোর জন্য ২৭৪৩টি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে এবং ১হাজার ২২৬টি প্রদর্শনী করা হয়েছে। তাছাড়া ৩৮৯টি মাঠদিবস পালন করার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। আবাদ বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের নানা প্রজাতির চারা ও বীজ প্রদান করার কথা বলেছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে মাঠ পর্যায়ের কৃষকরা জানান, এর সুফল তারা তেমন পাচ্ছেন না। কারণ এমনিতেই রুটিন কাজ করেননা মাঠ পর্যায়ের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা। এলাকার কেউ তাদেরকে চিনেওনা। নিয়মিত মাঠে না যাওয়ায় কোন কৃষকের সঙ্গেও সম্পর্ক নেই তাদের। ফলে মাঠে কোন ধরনের পরামর্শ পাচ্ছেন না কৃষক।
সদর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের ব্রহ্মত্তোর গ্রামের নিজাম উদ্দিন বলেন, আমাদের এলাকার কোন কৃষকই চিনেনা আমাদের ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা কে। দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি মাঝে-মধ্যে আসলেও কৃষকদের সঙ্গে তার সম্পর্ক নেই। বাজার থেকেই তিনি চলে যান। শস্যের নিবিড়তাকরণ প্রকল্পের বিষয়ে এই ইউনিয়নের কোন কৃষক কিছু জানেনা বলে জানান তিনি।
প্রকল্পের মনিটরিং অফিসার মো. ফরহাদ মিয়া বলেন, প্রকল্পের কার্যক্রমের ফলে বোরো, আমন, আউশসহ নানা ধরনের চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী বছরের জুন মাসে প্রকল্পটি শেষ হবে। প্রকল্প শেষের আগেই আমরা চেষ্টা করছি। পতিত জমিগুলো আবাদের আওতায় নিয়ে আসতে।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!