1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন

ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করায় খুলনায় ১২ পুলিশ ক্লোজড

  • আপডেট টাইম :: মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১৮, ১২.৪৫ পিএম
  • ৪৪২ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেক্স::
খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায় স্কুলে যাওয়া আসার পথে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে ১২জন পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড (প্রত্যাহার) করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) বিকালে ওই ১২ পুলিশ সদস্যকে বটিয়াঘাটার এক ফাঁড়ি থেকে জেলা পুলিশ লাইন্সে ক্লোজড করে নেওয়া হয়।

জেলা পুলিশ সুপার ও বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক এ খবর নিশ্চিত করেছেন। ওসি মোজাম্মেল হক জানান, ক্লোজড পুলিশ সদস্যদের মধ্যে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে তারা হলেন– নায়েক জাহিদ, কনস্টেবল রিয়াদ, নাঈম, আবির ও সুমন্ত। ক্লোজড হওয়া বাকি পুলিশ সদস্যরা হলেন– ক্যাম্প ইনচার্জ তরিকুজ্জামান, আরিক-১, তানভির, ইশতিয়াক, আরিফ-২, হুমায়ুন ও বকুল।

তারেক মাহমুদ নামের স্থানীয় এক দোকানদার জানান, উপজেলার খারাবাদ বাইনতলা এলাকায় স্কুলে যাওয়া-আসার পথে তার বোনসহ বেশ কয়েকজন ছাত্রীকে প্রতিদিনই উত্ত্যক্ত করতেন স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা। আজ (মঙ্গলবার) দুপুরেও ওই ছাত্রীদের পুলিশ সদস্যরা উত্ত্যক্ত করেন। বিষয়টি জানতে পেরে অভিযোগ করার জন্য তারেক ওই ফাঁড়িতে যান। কিন্তু ইনচার্জ ফাঁড়িতে না থাকায় নায়েক জাহিদ ও কনস্টেবল জাহিদসহ ৫ পুলিশ সদস্যের কাছে উত্ত্যক্তের ব্যাপারটি জানতে চান। পরে ইনচার্জ ফিরলে আবার এসে অভিযোগ জানাবেন বলে জানিয়ে নিজের দোকানে ফিরে আসেন তারেক। এর বেশ কিছু সময় পর ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা তারেককে ডেকে পাঠান। কিন্তু কাজ শেষ করে দোকান থেকে তারেকের বের হতে সময় লাগে। এর মধ্যে পুলিশ সদস্যরা দোকানে এসে তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে মারধর করেন। এর আগে দোকানে ভাঙচুর করেন। তারেককে ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন পুলিশ ফাঁড়িতে জড়ো হন এবং ওই পুলিশ সদস্যদের অবরোধ করেন।
উত্ত্যক্তের শিকার এক ছাত্রী জানান, স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে ফাঁড়ি থেকে পুলিশ সদস্যরা শিষ দেওয়াসহ তাদের নানাভাবে উত্যক্ত করে আসছিল।
ওসি মোজাম্মেল হক বলেন, ‘স্কুলের মেয়েরা ফাঁড়ির সামনে দিয়ে যাওয়া-আসার সময় কিছু পুলিশ সদস্য তাদের উত্ত্যক্ত করতো। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই পুলিশ সদস্যরা স্থানীয় এক যুবককে মারধর ও তার দোকান ভাঙচুর করেন। পরে স্থানীয়রা পুলিশ ফাঁড়ি অবরোধ করলে আমি সেখানে যাই। এরপর সহকারী কমিশনার (উত্তর) নাঈম মোল্লাও ঘটনাস্থলে আসেন।’

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!