স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকসহ দুইজনের বিরুদ্ধে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। সুনামগঞ্জের (জগন্নাথপুর জোন) আমলগ্রহণকারী আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সালেহ বুধবার বিকেলে মামলাটি আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন। তবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বশত আওয়ামী লীগ নেতাকে এই মামলায় যুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি স্থানীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে তার বিরোধ চলার জের ধরে এই মামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। উজান তাহিরপুর গ্রামের মুুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম ও তার চাচাতো ভাই আফাজ উদ্দিনকেও আসামী করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে ওই মুক্তিযোদ্ধা উল্লেখ করেন, শফিকুল ইসলামের বাবা সফর আলী রাজাকার বাহিনীর সক্রিয় সদস্য ছিলেন। কিশোর শফিকুলও তখন তার বাবার সঙ্গে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। শহীদ ইসমাইল আলী অভিযোগকারীর ভগ্নিপতি এবং শহীদ শাহানুর অভিযোগকারীর ভাতিজা বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন। দুপুরে অভিযোগটি দায়েরের পর বিচারক মামলাটি আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলা দায়েরের খবরে অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ হয়ে এখন আওয়ামী লীগের সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। একাত্তরে আমি ১০-১২ বছরের কিশোর ছিলাম। আমার বিরুদ্ধে এলাকায় এমন আজগুবি অভিযোগ কেউ কখনো শুনেনি। রাজনৈতিকভাবে আমাকে হেয় করতে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।