স্টাফ রিপোর্টার::
নারী জাগরণের অগ্রদূত, কবিতার জননী ও বাংলাদেশের সামাজিক আন্দোলনের অমর প্রতীক সুফিয়া কামালের ১১৪তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে যথাযোগ্য মর্যাদায়। ‘জননী সাহসিকা’ খ্যাত এই মহীয়সী নারী ১৯১১ সালের ২০ জুন, বরিশালের শায়েস্তাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্মদিনকে ঘিরে শুক্রবার (২০ জুন) বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, সুনামগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে জেলা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা শাখার সভাপতি গৌরী ভট্টাচার্য। সুফিয়া কামালের সংগ্রামী জীবন ও কাব্যিক অবদান সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক পাঞ্চালী চৌধুরী এবং তরুণী সদস্য বৃষ্টি সরকার। সমাপনী বক্তব্যে গৌরী ভট্টাচার্য বলেন, “সুফিয়া কামাল ছিলেন আলোকবর্তিকা, যিনি নারীর আত্মমর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নিজেকে নিবেদিত করেছিলেন। তার আদর্শেই আমরা অনুপ্রাণিত।”
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রোগ্রাম এক্সিকিউটিভ তৃণা দে। সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেন হেপী চৌধুরী, কাকলী দাশ, শ্রাবণী তালুকদার, পৌষী দেব, কান্তা দাশ ও পূজা সরকার প্রমুখ। কবিতার ভাষায়, সুরের ধারায় কবি সুফিয়া কামালের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি সঞ্চিতা চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শরীফা আশরাফী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মিনা পাল, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক আরতী পাল, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সন্ধ্যা তালুকদারসহ সংগঠনের কার্যকরী কমিটির সদস্যবৃন্দ, পাঠচক্রের তরুণী সদস্য ও তৃণমূলের নারী কর্মীরা।
‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্যসুন্দর’ এবং ‘আমার মাথা নত করে দাও হে তোমার চরণ ধুলার তলে’—এই প্রার্থনাসঙ্গীতের সুরে, মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে কবির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানজুড়ে ছিল শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও প্রেরণার এক নিবিড় আবহ।