হাওর ডেস্ক::
এটি ছিল একটি সংঘাতের পরিণতি, যেখানে উভয়পক্ষই নিজেদের সাফল্য প্রচার করছে, কিন্তু প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি কিছুতেই স্বীকার করছে না। ভারত-পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সংঘাতে জয় বা পরাজয়ের কথা বলা মুশকিল। অস্ত্রবিরতির পর উভয় দেশ নিজেদের জয় এবং সাফল্যের কথা ঘোষণা করলেও, তারা ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে কোনও স্পষ্ট তথ্য তুলে ধরছে না।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় অস্ত্রবিরতি শুরুর কিছু পর, ভারতের একটি টেলিভিশন চ্যানেল “পাকিস্তানের আত্মসমর্পণ” শীর্ষক খবর প্রচার করতে থাকে। ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সামরিক পদক্ষেপ সন্ত্রাসীদের প্রতি একটি কঠোর বার্তা পাঠিয়েছে।
অপরদিকে, পাকিস্তানে জনতা ইসলামাবাদের রাস্তায় বেরিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর ‘জয়’ উদযাপন করতে থাকে। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ দাবি করেন, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী তাদের কৌশলগত সফলতায় “অবিশ্বাস্য সামরিক ইতিহাস” রচনা করেছে। তিনি আরও বলেন, “কিছু ঘণ্টার মধ্যে আমাদের যুদ্ধবিমানগুলো ভারতে কামানগুলোর কার্যক্রম স্তব্ধ করে দিয়েছে, যা ইতিহাসে সহজে ভুলবে না।”
এদিকে, ভারতের বিমান বাহিনীর সেনা সুরেন্দ্র কুমারের শেষকৃত্য রাজস্থানে অনুষ্ঠিত হয়, যিনি পাকিস্তানি হামলায় নিহত হন। এই ঘটনায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কুশপুতুল পোড়ানোর প্রতিবাদও প্রকাশ পায়।
এটি ছিল পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সংঘাত, যেখানে উভয়পক্ষই আঘাত হেনেছে এবং আঘাত সহ্য করেছে। পাকিস্তান দাবি করে, তারা আকাশে ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে, যার মধ্যে তিনটি অত্যাধুনিক রাফাল ছিল। যদি এই দাবি সঠিক হয়, তবে এটি ভারতের বিমান বাহিনীর জন্য বড় অপমান হবে। তবে, ভারতীয় কর্মকর্তারা এখনও কোনও বিমান হারানোর কথা স্বীকার করতে রাজি নয়।
এদিকে, ভারত নতুন স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করেছে, যেগুলোতে দেখা যায় পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি সামরিক ঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভারতীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা পাকিস্তানে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে এসব সামরিক স্থাপনাকে অকার্যকর করে দিয়েছে।
অতএব, ভারত ও পাকিস্তান তাদের রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্বের বক্তব্য দিয়ে নিজেদের জয় দাবি করতে পারে, তবে এই সংঘাতে কেউ স্পষ্টভাবে জয়ী হয়নি, এবং উভয়পক্ষই প্রচুর ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।