হাওর ডেস্ক::
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার কার্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা কোনো ধরনের প্রচারণা, সভা-সমাবেশ, মিছিল, সম্মেলন কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কার্যক্রম চালাতে পারবে না।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ অনুযায়ী, যা গতকাল রোববার জারি করা হয়। সংশোধিত আইন অনুযায়ী, এখন কোনো সংগঠনকেও সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগে নিষিদ্ধ করা সম্ভব।
প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর হামলা, গুম, হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণসহ নানা মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাধ্যমে দেশে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছে। বিশেষ করে ২০২৩ সালের জুলাই থেকে আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে তাদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ অপরাধমূলক কার্যকলাপের অভিযোগ উঠেছে, যা দেশি-বিদেশি প্রতিবেদনে প্রমাণিত হয়েছে।
এছাড়া ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগ ও সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে উসকানিমূলক কার্যক্রম, রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপরাধমূলক বক্তব্য এবং আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজের অভিযোগও প্রমাণিত হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়। এসব কারণে ট্রাইব্যুনাল ও আদালতে বিচারাধীন মামলাগুলোর স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দলটির সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সরকার দাবি করেছে, তাদের কাছে এ বিষয়ে পর্যাপ্ত তথ্য ও প্রমাণ রয়েছে এবং জাতীয় নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব ও জনশৃঙ্খলার স্বার্থেই এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।