স্টাফ রিপোর্টার::
সদ্যপ্রয়াত বাংলাদেশের প্রবীণ সাংবাদিক, কমনওয়েলথ জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি একাত্তরের যোদ্ধা ও সংগঠক সালেহ চৌধুরীর শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সাংবাদিকদের স্থানীয় সংগঠন ‘সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটি’ এ শোকসভার আয়োজন করে। শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তথ্যসচিব মরতুজা আহমদ।
তথ্য সচিব মরতুজা আহমদ তার বক্তব্যে বলেন, মুক্তিযোদ্ধা ও দেশবরেণ্য সাংবাদিক সালেহ চৌধুরী গর্ব করার অনেক বিষয় থাকলেও তিনি ছিলেন প্রচার বিমুখ। একজন নির্লোভ ও সাদা মনের মানুষ হিসেবে তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আমৃত্যু কাজ করে গেছেন। তথ্য সচিব বলেন, সালেহ চৌধুরী শুধু মুক্তিযোদ্ধাই নয় তিনি একাধারে সংগঠকও। মুক্তিযুদ্ধের আঞ্চলিক সমন্বয়ক হিসেবে তিনি হাজার হাজার তরুণদের যুদ্ধে ডেকে এনেছিলেন। সেলা ও টেকেরঘাট সাব সেক্টরের যোদ্ধাদের পরিচালিত অপারেশনগুলো তিনি সমন্বয় করতেন। দেশের অভ্যন্তরে থেকে প্রবল সাহসে তিনি এই অনন্য কাজ করেছেন। তিনি বলেন, তুখোর এই সাংবাদিক ছিলেন অনন্য গুণের অধিকারী। একাধারে তিনি দাবাড়–, কার্টুনিস্ট ও আর্কিটেক্ট ছিলেন। সব বিষয়ে লেখালেখির পাশাপাশি কথা বলার জ্ঞান রাখতেন। মুক্তিযুদ্ধের নানা স্মৃতিসৌধ নিমি ডিজাইন করার পাশাপাশি নামকরণও করেছেন। মহান এই সাংবাদিক ও যোদ্ধার স্মৃতিরক্ষায় উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইফনিটির সভাপতি লতিফুর রহমান রাজুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান পীর ও যুগ্ম সম্পাদক ইমরানুল হক চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শোকসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক সাবিরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. বরকত উল্লাহ খান, অ্যাডভোকেট হুসেন তওফিক চৌধুরী, অ্যাডভোকেট হুমায়ূন মঞ্জুর চৌধুরী, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক আল আজাদ, মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা ও লেখক আবু সুফিয়ান, লেখক গবেষক সুখেন্দু সেন হারু, পাবলিক প্রসিকিউটর ড. খায়রুল কবীর রোমেন, কবি ও গবেষক ইকবাল কাগজী, আইনজীবী ও জেলা যুবলীগ নেতা লেখক কল্লোল তালুকদার চপল, সাংবাদিক সেলিম আহমেদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য সাংবাদিক সালেহ চৌধুরী গত ১ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ৮১ বছর বয়সে মারা যান। ১৯৯৭ সনে দৈনিক বাংলা বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি এই পত্রিকার সহ সম্পাদক ও ফিচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। গত ৩ সেপ্টেম্বর তার জন্মভূমি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার গচিয়া গ্রামে দাফন করা হয়েছে। মৃত্যুকালে তিনি কমনওয়েলথ জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি ছিলেন।