1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

আজ পিতা হারানোর শোকের দিন

  • আপডেট টাইম :: মঙ্গলবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৭, ৬.০৪ এএম
  • ৪৯৩ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেক্স::
আজ বিভিষীকাময় ১৫ আগস্ট। বাঙালার ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কময় দিন। জাতীয়-আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কয়েকজন বিপদগামী সেনা কর্মকর্তার হাতে জাতির জনক সপরিবারে প্রাণ হারান এই দিনে। পুরো জাতি শোকাবহ পরিবেশে আজ পালন করবে জাতীয় শোক দিবস। সারা দেশেই শোকের আবহ বিরাজ করছে। জনককে স্মরণে আয়োজন করা হয়েছে নানা অনুষ্ঠানমালার।
৪২ বছর আগের এই দিনে ঘাতকের বুলেটে প্রাণ হারান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। নবীন একটি রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের পর সেই রাষ্ট্রেরই স্থপতিকে এমন নির্মমভাবে হত্যার নজির পৃথিবীতে নেই। বঙ্গবন্ধু নিজেও কখনো এ ধরনের আশঙ্কা বিশ্বাস করতে চাননি।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক্সিকিউটিভ ইন্টেলিজেন্স রিভিউতে নিরাপত্তা বিশ্লেষক রামতনু মৈত্র লিখেছেন, ‘১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ সফরকারী মার্কিন সাংবাদিক মার্কাস ফ্রান্ডার তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রের কেউ কেউ আওয়ামী লীগ নেতা তাজউদ্দীন আহমদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তাজউদ্দীন আহমদ বিষয়টি শেখ মুজিবুর রহমানকে জানান এবং তাকে বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করেন।’ এতে সন্দেহ নেই যে, বঙ্গবন্ধু তাজউদ্দীনের সতর্কতা বার্তাকে গুরুত্ব দেননি। নিজ দেশের মাটিতে তাকে কেউ হত্যা করতে পারে, এ কথা তার বিশ্বাস হয়নি।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি সবসময়ই ছিল অবারিত দ্বার। ছয় দফা, ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন, অসহযোগ আন্দোলন— জাতির ইতিহাসের বিভিন্ন ক্রান্তিকালে জনতার স্রোত বইত ওই বাড়ির দিকে। ধানমন্ডি লেকের পাড়ে, সড়কের প্রান্তসীমায় অপেক্ষমাণ মানুষ একজনকে দেখতে, তার কথা শুনতে চাইত। মোটা ফ্রেমের চশমা পরা মানুষটির মুখেই জানা যেত দেশের প্রকৃত পরিস্থিতি। কারণ তিনিই যে বাংলাদেশ, এই মাটির কণ্ঠস্বর।
১৯৭৫ সালের এই দিনেও ভোর সোয়া ৫টায় পাঁচটি ট্রাক এসে থেমেছিল সাদা ওই ভবনের সামনে। ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত একদল লোক বাড়ির মূল ফটক ডিঙিয়ে মেতে ওঠে হত্যাযজ্ঞে। হট্টগোল ও গুলির শব্দ শুনে তিনি বেরিয়ে আসেন। সফেদ কোর্তা, ধূসর লুঙ্গি। হাতে চিরচেনা পাইপ। সিঁড়ির কাছে এসেই নিচে দাঁড়ানো ঘাতককে দেখতে পান। প্রশ্ন ছোড়েন, ‘কি চাস তোরা? আমাকে কোথায় নিতে চাস?’ উদ্ধত বন্দুক হাতে এগিয়ে আসা ঘাতক থমকে যায় তার প্রবল ব্যক্তিত্বের সামনে। কোনো রকম আমতা আমতা করে বলে, ‘স্যার, আপনি আসুন।’ ঘাতক মহিউদ্দিনের কথা শেষ হতেই তার পেছনে থাকা নুর চৌধুরী এগিয়ে গিয়ে বঙ্গবন্ধুকে গুলি করে। ‘বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়’ বলা হয় যাকে নিয়ে, তারই বুকের ডানপাশ গুলিতে রক্তাক্ত হয়ে ওঠে। মুখ থুবড়ে সিঁড়িতে পড়ে যান তিনি। মুখ থুবড়ে পড়ে বাংলাদেশও।
সেনাবাহিনীর কিছু উচ্ছৃঙ্খল ও বিপথগামী সৈনিক এদিন বাংলাদেশের স্থপতিকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি। তাদের হাতে প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল, রোজী জামাল, ভাই শেখ নাসের, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মণি, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, শহীদ সেরনিয়াবাত, কর্নেল জামিলসহ অনেকে। দেশের বাইরে থাকায় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সেদিন প্রাণে রক্ষা পান। বেদনাবিধুর সেই দিনের স্মৃতিকে ঘিরে ১৫ আগস্ট হয়েছে বাঙালির জাতীয় শোক দিবস।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। জাতীয় শোক দিবস সামনে রেখে এ মাসের প্রথম দিন থেকেই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। সরকারিভাবে পালিত হচ্ছে বিভিন্ন কর্মসূচি। সারা দেশের ন্যায় সুনামগঞ্জ জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায়ও পালিত হচ্ছে দিবসটি।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!