স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার বাদশাগঞ্জ হাই স্কুল সরকারিকরণের বিরোধীতা করে পার্শবর্তী ‘জনতা উচ্চ বিদ্যালয়’ পরিচালনা কমিটির সদস্য কর্তৃক মামলা দায়েরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার সকালে এলাকাবাসী বাদশাগঞ্জ পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিল দিয়ে বাজার প্রদক্ষিণ শেষে বাদশাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে এসে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়। প্রতিবাদ কর্মসূািচতে এলাকার ছাত্র, শিক্ষক, সর্বদলীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ এলাকার সর্বস্তরের লোকজন অংশ নেন। প্রতিবাদ কর্মসূচি শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
জানা গেছে ‘বাদশাগঞ্জ পাবলিক হাই স্কুল’ সরকারিকরণের প্রতিবাদে একই উপজেলার ‘ধর্মপাশা জনতা উচ্চ বিদ্যালয়; পরিচালনা কমিটির সদস্য মো. আব্দুল মনাফ গত ১৩ জুলাই হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। মামলার খবর এলাকায় এসে পৌছলে ক্ষুব্দ হয়ে ওঠে এলাকার সাধারণ মানুষ। জানা গেছে ১৯৫০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি দুর্গম হাওর এলাকা বাদশাগঞ্জে ‘বাদশাগঞ্জ পাবলিক হাই স্কুল’ প্রতিষ্টিত হয়। ১৯৫২ সনের ২ এপ্রিল বিদ্যালয়টি স্বীকৃতি লাভ করে। এরপর থেকে ধর্মপাশা উপজেলার উত্তরাঞ্চলের নিরলস শিক্ষা বিস্তারে বিরাট ভূমিকা রাখছে বিদ্যালয়টি। ৬ষ্ট থেকে ১০ শ্রেণি পর্যন্ত ১৩টি শাখায় বর্তমানে প্রায় ১ হাজার ৪৬১ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। বিদ্যালয়টি জেলার অন্যতম স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে সরকারিকরণের তালিকায় রয়েছে। নিজেদের প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ তালিকায় বঞ্চিত হওয়ায় জনতা উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই মামলা দায়ের করেছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
মুক্তিযোদ্ধা ও সেলবরষ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নুর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, পাইকরাটি ইউপি চেয়ারম্যান ফেরদৌসুর রহমান, বাদশাগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মো. কামরুল ইসলাম চৌধুরী, দুলা মিয়া, বাদশাগঞ্জ পাবলিক হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগর সাংগঠনিক সম্পাদক দেনিয়ার হোসেন খান পাঠান, সেলবরষ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. আলাউদ্দিন শাহ, সাধারন সম্পাদক বেনুয়ার হোসেন খান পাঠান, জেলা বিএনপি’র যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মামুন ওর রশিদ শান্ত, উপজেলা বিএনপি নেতা প্রভাষক ইসতিয়াক হোসেন চৌধুরী স্বপন প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশে বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সদস্য ও বিশিষ্ট কৃষক নেতা খাইরুল বশর খান ঠাকুর বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানটি সরকারি করায় যারা ক্ষুব্দ হয়ে মামলা দায়ের করেছে তারা এলাকার শত্রু। এলাকার ছেলে-মেয়েরা শিক্ষিত হোক তারা চায়না। আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি। আজ হাজার হাজার মানুষ প্রতিবাদ করে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছি।