স্টাফ রিপোর্টার::
বিশ্বম্ভরপুরে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ায় থানায় অভিযোগ করার পর অভিযোগকারীকে প্রাণে হত্যা করতে ছুরিকাঘাত করেছে অভিযুক্ত যুবক। গুরুতর আহত অবস্থায় আক্রান্ত নারীকে উদ্ধার করে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় আবার অভিযোগ করার পরও এখনো ব্যবস্থা নিচ্ছেনা পুলিশ। এ ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় আছে ওই নারীর পরিবার।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত মাসে ধনপুর গ্রামের শবদর আলীর ছেলে রফিক মিয়া একই গ্রামের নূর জাহান বেগম ও তার পরিবারকে হুমকি ধমকি দেয়। রফিক তাদেরকে প্রাণনাশে হুমকি দেওয়ার পর তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিশ্বম্ভরপুর থানার ওসি থানার এসআই শঙ্করকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। থানায় আবেদনের প্রেক্ষিতে এসআই স্থানীয় গণ্যমান্যদের আহ্বানে অভিযুক্তকে নিয়ে তিনবার থানায় বসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এর মধ্যেই গত ৬ অক্টোবর থানায় অভিযোগ করার জেরে রফিক মিয়া ধারালো ছুরি নিয়ে অভিযোগকারী নারীকে ধাওয়া করে। তার এলোপাথারি ছুরিকাঘাতে নূরজাহান বেগম গুরতর আহত হন। পরে এলাকাবাসী উদ্ধার করে তাকে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন। এ ঘটনায় রাতেই থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন পুলিশের কাছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ব্যবস্থা নিচ্ছেনা পুলিশ।
এসআই শঙ্কর বলেন, প্রথম অভিযোগের পর ওসি স্যারের নির্দেশে ও স্থানীয়দের আহ্বানের প্রেক্ষিতে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু অভিযুক্ত যুবক আমাদের কথা শুনেনি। এখন আমি ছুটিতে থেকে খবর পেয়েছি ওই নারীকে ছুরিকাঘাতে আহত করা হয়েছে। আমি ছুটি থেকে এসে ব্যবস্থা নেব।
বিশ্বম্ভরপুর থানার ওসি মো. ইকবাল হোসেন বলেন, নারীকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় আমরা অভিযোগটি পেয়েছি। এর আগের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি স্থানীয়দের মাধ্যমে আপস করার চেষ্টা করা হয়েছে। এখন আবার ওই নারী আক্রান্ত হওয়ার পর অভিযোগ করেছেন। আমরা আসামি গ্রেপ্তার করে মামলাটি রেকর্ড করবো।