1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:০২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

মেডিকেল রিপোর্টে ধর্ষণের আলামত না পাওয়ার পরও ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

  • আপডেট টাইম :: শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১০.৫৫ পিএম
  • ২৫৯ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার বাহাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টুকে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে সুনামগঞ্জ শহরের পানসী রেস্টুরেন্টের সামন থেকে তাকে ও এক ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে একই গ্রামের এক তরুণী ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টু, তার পরিষদের ইউপি সদস্য দেবব্রত তালুকদার ও ওই তরুণীর প্রেমিক প্রেমিক মলয় দাসকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছিলেন। এর আগের রাতে প্রেমিক মলয় দাসের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করেছিলেন ওই তরুণী। পরে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রামবাসীকে নিয়ে থানায় ওসির সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি সমাধানের সহযোগিতা চেয়েছিলেন। তবে ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে গত নির্বাচনে পরাজিত শক্তি প্রভাব বিস্তার করে তাকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছিল বলে শুরু থেকেই অভিযোগ করে আসছিলেন তিনি। তাছাড়া থানা রোডে গত ৬ সেপ্টেম্বর ইউপি অফিসের সামনের সরকারি সড়কের গাছ কেটে পাখির অভয়াশ্রম উচ্ছেদ করায় ও শতাধিক পাখি মারা যাওয়ায় প্রতিবাদ করেছিলেন বিশ্বজিৎজ চৌধুরী নান্টু। দৈনিক কালের কণ্ঠ ও দৈনিক সমকাল, দৈনিক সুনামকণ্ঠ, দৈনিক সুনামগঞ্জের খবরসহ বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় এই সংবাদ ছাপাও হয়েছিল। এসময় তাকে ফাসানোর হুমকিও দেওয়া হয়েছিল যা পত্রিকার খবরে প্রকাশ হয়েছিল।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাহাড়া গ্রামের এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমঘটিত সম্পর্ক ছিল একই গ্রামের মলয় দাসের। এর জের ধরে কিছুদিন আগে মলয় দাসের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ওই তরুণী। মামলার পর জেল খেটে সম্প্রতি জামিনে বেরিয়ে এসে মলয় অন্যত্র বিয়ে ঠিক করেন। গত ১৫ সেপ্টেম্বর তিনি বিয়ে করেন। এই খবর পেয়ে একই গ্রামের প্রেমিকা ওই তরুণী তার বাড়িতে এসে রাতে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন। বিয়ের রাতে এই ঘটনা দেখে বরের স্বজনরা একই গ্রামের ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টুকে ডেকে আনেন। নান্টু তার পরিষদের এক ইউপি সদস্যসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের ডেকে এনে মেয়েকে বুঝিয়ে বাড়িতে পাঠানোর চেষ্টা করেন। তারপরও তরুণী বাড়ি ছাড়তে না চাওয়ায় তিনি ১৫-২০ জন মানুষ নিয়ে রাতেই থানায় গিয়ে ওসি আমিনুল ইসলামকে বিষয়টি অবগত করেছিলেন চেয়ারম্যান নান্টু।
সকালে তরুণীর আগ্রাসী আচরণ দেখে ওই তরুনীকে নিয়ে থানায় আসেন ইউপি সদস্য দেবব্রত তালুকদার, গ্রাম পুলিশ জুলেখা বেগমসহ স্থানীয় কয়েকজন। এসময় ইউপি সদস্য ও জুলেখা চলে আসার পর তরুণী প্রেমিক মলয় দাসের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করতে চান। তরুণীর ভাইও তখন চলে আসেন। রাতে ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টুকে মামলার প্রধান আসামি করে মামলা করেন ওই তরুণী।
গ্রেপ্তারের কয়েকদিন আগে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য দেবব্রত তালুকদার বলেন, গ্রামের সবাই জানে আমরা মেয়েটিকে কত করে বুঝিয়েছি। সে আমাদের হুমকি দিয়েছিল ছেলের কাছে না ফিরিয়ে দিলে মামলা করবে। আমরা পাত্তা দেইনি। শেষ পর্যন্ত গত নির্বাচনে পরাজিত লোকজন ষড়যন্ত্র করে ওই মেয়েটিকে আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছে। আমরা মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলার শিকার। আমরা ন্যায় বিচার চাই। তিনি আরো বলেন, ধর্ষনের ঘটনাটি যে সাজানো স্বাস্থ্য রিপোর্ট থেকেই প্রমাণিত হয়েছে।
শাল্লা থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, তরুণী ধর্ষণের মামলা করেছেন। আমরা তার মামলাটি রেকর্ড করে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছি।
ডিবির ওসি নন্দন কান্তি ধর বলেন, শাল্লা থানার ওসিকে নিয়ে আমরা একটি ধর্ষণ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করেছি।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, শাল্লা উপজেলার বাহাড়া ইউপির বাহাড়া গ্রামের এক তরুণীকে আমাদের কাছে পাঠিয়েছিল পুলিশ। আমরা গাইনী বিভাগ দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়েছি। ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি। ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি একথা জানিয়েছেন সদর হাসপাতালের ওসিসি কর্মকর্তা সৈয়দা শাহনাজ মঞ্জুরও।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!