হাওর ডেস্ক::
চা বাগান শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে ধর্মঘটে সমর্থন জানিয়ে চা শ্রমিকদের দাবিসমূহ মেনে নেবার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশী ওয়ার্কার্স কাউন্সিল বিডাব্লিউসির সভাপতি শাহরিয়ার বিন আলী ও সাধারণ সম্পাদক সুশান্ত দাস প্রশান্ত।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশের চা শিল্প শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে। এই খাত যেমন বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে আসছে—চা শিল্প মালিকদের ধনী বানিয়েছে, এর বিপরীতে এই শিল্পের শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি মজুরি বৈষম্যের শিকার। দেশে সবচেয়ে কম মজুরিতে কাজ করতে বাধ্য হন বাংলাদেশের চা শ্রমিকরা।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, চা বাগান শ্রমিকের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব কিন্তু সরকার সবসময় ধনী মালিকের পক্ষে থাকেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয় একজন চা শ্রমিক দিনে ১২০ টাকা মজুরি পাবে—এটা কোনোভাবে মেনে নেয়া যায় না, এই শোষণ চলতে দেয়া যায় না।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ দীর্ঘ প্রায় ২০০ বছর ধরে অবহেলিত, নির্যাতিত, বঞ্চিত চা শ্রমিকদের সংগ্রামে একাত্ম হওয়ার জন্য দেশবাসীসহ বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষকে একাত্ম হওয়ার আহ্বান জানান। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ চা বাগান শ্রমিকদের চলমান ধর্মঘটের প্রতি সংহতি জানিয়ে এবং ন্যূনতম মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে আগামী মঙ্গলবার ২৩ আগস্ট দুপুর ১২ টায় স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। নেতৃবৃন্দ এই কর্মসূচিতে লন্ডনে ক্রিয়াশীল প্রগতিশীল সংগঠন ও সাধারণ মানুষকে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। বার্তা প্রেরক সুশান্ত দাস প্রশান্ত সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশী ওয়ার্কার্স কাউন্সিল বিডব্লিউসি।