স্টাফ রিপোর্টার::
মোহনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সজ্জন জনপ্রতিনিধি হিসেবে পরিচিত মো. তাজুল ইসলাম (৬০) আর নেই। দীর্ঘদিন কিডনিরোগে ভোগে তিনি সোমবার ভোররাতে মোহনপুরস্থ নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি ২ ছেলে ও ৩ মেয়েসহ অসংখ্য আতœীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে মারা যান। সোমবার দুপুর ২টায় মোহনপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহে তার নামাজে যানাযা অনুষ্ঠিত হয়। যানাযায় প্রায় ৫ হাজার মুসল্লির সমাগম ঘটে। যানাযা শেষে পারিবারিক গোরস্তানে তাকে সমাধিস্থ করা হয়। তাজুল ইসলামের মৃত্যুতে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার বিশিষ্টজন শোক প্রকাশ করেছেন। তারা শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
উল্লেখ্য তাজুল ইসলাম সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকালে এলাকায় নানা উন্নয়নমূলক কর্মকা-ের মাধ্যমে প্রশংসিত হন।
সোমবার ভোররাতে মো. তাজুল ইসলাম মারা যাওয়ার পর জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তারগুণগ্রাহী ও পরিচিতজনেরা বাড়িতে ছুটে যান। বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের সমবেদনা জানান মোহনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. আব্দুর রশিদ, জেলা কৃষক লীগ নেতা মঈনুল হক, সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের ভিপি অ্যাডভোকেট মনীষকান্তি দে মিন্টু, মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নূরুল হক, জেলা বিএনপি নেতা আ ত ম মিসবাহ, নাদির আহমদ, সেলিম উদ্দিন, সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া, জেলা বিএনপি নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমান, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শামছুজ্জামান, সাংবাদিক সেলিম আহমেদ প্রমুখ।
তাজুল ইসলামের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি। খালেদা জিয়ার উপদেষ্ঠা অ্যাডভোকে ফজলুল হক আছপিয়া, জেলা বিএনপির সভাপতি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নূরুল, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান দেওয়ান জয়নুল জাকেরিন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ, লক্ষণশ্রী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আব্দুল অদুদ, কাঠইর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাওলানা শামছুল ইসলাম শোক প্রকাশ করেছেন। তারা শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।