স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে সাংবাদিক ও সুধীজন মানবন্ধন করায় আবারও সাংবাদিক ও তার স্বজনদের উপর হামলা করেছে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি হাফিজ উদ্দিনের লোকজন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে পুলিশ সংঘর্ষ থামাতে রবাররবুলেট ছুড়ে। এতে ৯জন গুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। ২২ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাহিরপুর উপজেলা সদরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উপজেলা সদরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজসহ স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
যুবলীগ উপজেলা আহ্বায়ক হাফিজ উদ্দিনের লোকদের হাতে আহত সাংবাদিক রমেন্দ্র নারায়ণ বৈশাখের ছেলে দৈনিক আজকের পত্রিকার তাহিরপুর উপজেলা প্রতিনিধি রাজন চন্দ জানান, সংবাদ প্রকাশের জের ধরে যুবলীগ সভাপতি হাফিজ উদ্দিন ও তার ভাতিজাসহ কয়েকজন সাংবাদিক রমেন্দ্র নারায়ণ বৈশাখের উপর গত ২০ ফেব্রুয়ারি হামলা করে। তিনি বর্তমানে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এর প্রতিবাদে তাহিরপুর উপজেলা প্রেসক্লাব ও সুধীজন মানবন্ধনের আয়োজন করেন। এতে ক্ষুব্দ হন হাফিজ উদ্দন ও তার স্বজনরা। সন্ধ্যায় হাফিজ উদ্দিনের সমর্থকরা মাববন্ধনে অংশগ্রহণকারী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তানসেন তালুকদার তুষারের উপর হামলা করলে তার স্বজনরাও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় পুলিশ সংঘর্ষ থামাতে রাবার বুলেট ছুড়লে বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। যুবলীগ নেতার কারণে তিনি ও তার পরিবার আতঙ্কে আছেন বলে জানান তিনি।
উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হাফিজ উদ্দিন বলেন, আমি আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সালিস বৈঠকে ছিলাম। বৈঠক শেষে বাড়ির দিকে রওয়ানা দিয়ে জানতে পারি তানসেন তালুকদার তুষার আমার চাচাতো ভাই নাজমুল হুদা সংগ্রামকে মোটরসাইকেল দিয়ে ধাক্কা দিয়েছে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে সংঘর্ষ হয়েছে।
তাহিরপুর থানার ওসি আবদুল লতিফ সরদার জানান, পূর্ববিরোধের জের ধরে সাংবাদিক ও যুবলীগ নেতার মধ্যে উত্তেজনা চলছে। আজ সন্ধ্যায় এর জের ধরে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়ালে পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়ে। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সুমন বর্মণ বলেন, গুলিবিদ্ধ আহতদের মধ্যে ডালিয়া নারগিস সুমি (৫০), আনজু মিয়া (৩০), অনিক মিয়া (২৫), বাবলী চৌধুরী (৩৫) ও অংকন গনি (১২) কে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর আহত নেজারুল ইসলাম (৩০), মাসুম মিয়া (২২), রুমেন মিয়া (৩০), রুনা বেগম (৪৫), তানসেন তালুকদার তুষার (৩০), রাসেল মিয়া (৩০), পারভীন আক্তার (৪৯) ও এমদাদুল মিয়াকে (৩৫) তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন। আরো কয়েকজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।