হাওর ডেস্ক::
সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সবাই একটু লক্ষ রাখবেন- নতুন আরেকটা ভ্যারিয়েন্ট দেখা দিয়েছে। এই ভ্যারিয়েন্টটা দ্রুত ছড়াচ্ছে এবং একেকটা পরিবারসহ আক্রান্ত হচ্ছে। এখানে আমি সবাইকে বলব যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলা এবং এরই মধ্যে কিছু নির্দেশনা দিয়েছি, সেই নির্দেশনাগুলো সবাই মেনে চলবেন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমপ্লেক্স উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, যারা টিকা নেননি এখনো, দ্রুত নেবেন। আমরা স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদেরও টিকা দেওয়া শুরু করেছি। টিকা নিলে অন্তত জীবনে বেঁচে থাকা যায়-এইটুকু হলো বাস্তব।
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাস্থ্য বিষয়ে আমাদের দেশে গবেষণা খুব কম হচ্ছে, তাই আমরা স্বাস্থ্য বিষয়ে গবেষণায় পিছিয়ে আছি। আমাদের খুব কম চিকিৎসক আছে যারা গবেষণা করছেন। চিকিৎসকরা রোগীদের সেবা দিতে যতটা আগ্রহী, গবেষণার ক্ষেত্রে ততটা নন। হাতে গোনা কয়েকজনই নিয়মিত গবেষণা করেন। এই ক্ষেত্রেও আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি। স্বাস্থ্য বিষয়ে গবেষণাটা আমাদের একান্তভাবে দরকার। অন্যান্য ক্ষেত্রে গবেষণায় আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
টানা তিনবার ক্ষমতায় থাকায় হাতে সময় পাওয়ার ফলে সরকারের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে এখন ডিজিটাল ডিভাইস তৈরি হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ই-গভর্ন্যান্স প্রতিষ্ঠা এবং আইসিটি শিল্পের বিকাশে ১৩ বছর ধরে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন আমরা করছি। এসব কাজে সজীব ওয়াজেদ জয় সব ধরনের পরামর্শ এবং সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন। দেশের মানুষের কল্যাণে, দেশের মানুষের শিক্ষায় সে (জয়) অবৈতনিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী আবার গবেষণার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আমাদের সমুদ্রসম্পদ অনুসন্ধান এবং আহরণ বিষয়ে গবেষণা, সুনীল অর্থনীতিকে জাতীয় উন্নয়নে ব্যবহার করার বিষয়ে গবেষণা এবং রপ্তানিপণ্যের গুণগত মান বজায় রেখে পণ্য রপ্তানির সনদ প্রদানের ক্ষেত্রেও গবেষণার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এ সময় বিএনপি সরকারের সময় চিংড়ি মাছে লোহা ভরে রপ্তানি করায় ইউরোপে চিংড়ি রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেই রপ্তানিবাজার পুনরায় চালুর কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মুহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী স্বাগত বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে নবনির্মিত ‘জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমপ্লেক্স’-এর ওপর একটি ভিডিও চিত্রও প্রদর্শিত হয়। বিজ্ঞান ও উন্নত প্রযুক্তির এ যুগে যেসব দেশ বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এগিয়ে যাচ্ছে, তারাই অর্থনৈতিকভাবে দ্রুত উন্নতি করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আমাদের স্বাস্থ্য খাতের গবেষণায় পিছিয়ে থাকার বিষয়টিও উল্লেখ করেন।