দিরাই প্রতিনিধি:
প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক যুগান্তরের দিরাই উপজেলা প্রতিনিধি জিয়াউর রহমান লিটনকে একটি সাজানো মামলায় পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (০৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে পৌরসদরের চন্ডিপুর গ্রামস্থ নিজ বাড়ি থেকে তাকে কথা আছে বলে বাসা থেকে ডেকে আনে দিরাই থানা পুলিশ। পরে রাতেই জলমহাল লুটের নামে দায়ের হওয়া একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায় দিরাই থানা পুলিশ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শয়তানখালী তৃতীয় খন্ড নামক জলমহালটি সাবেক মেয়র মোশাররফ মিয়া ভোগদখল করে আসছেন। এ জলমহালের পাড়ে কচুয়া গ্রামের হিন্দু পরিবারের রেকর্ডকৃত মালিকানাধীন একটি পুকুরও জোরপূর্বক ভোগ করে আসছিল। এনিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের দীপক দাস বাদী হয়ে দিরাই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে স্থানীয় মেয়রসহ বিশিষ্টজনের মধ্যস্থতার বিষয়টি সুরাহার ব্যবস্থা করা হলেও দিরাইয়ের সাবেক মেয়র ও ট্রিপল মার্ডার মামলার আসামি মোশাররফ মিয়ার অপচেষ্টায় সেটি ভেস্থে যায়।
এনিয়ে গত মঙ্গলবার উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে থানা পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এসময় নিরিহ সংখ্যালঘু পরিবারের পক্ষে নৈতিকতাবোধ থেকে কথা বলেন সাংবাদিক জিয়াউর রহমান লিটন। এনিয়ে ক্ষিপ্ত হয় মোশাররফ মিয়া তার লোকজন। ঘটনার দুইদিন পর বৃহস্পতিবার রাতে মোশাররফ মিয়ার ভাতিজা রায়হান মিয়া বাদী হয়ে সাংবাদিক লিটনকে প্রধান আসামী করে ১০ জনের নামসহ দিরাই থানায় একটি জলমহাল লুটের মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর ১)।
জলমহাল লুটের মামলায় সাংবাদিক গ্রেপ্তারে এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভ দেখা দেয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এর নিন্দা প্রতিবাদ জানান জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
দিরাই পৌরসভার মেয়র বিশ্বজিৎ রায় বলেন, রাতের আধারে দায়ের হওয়া একটি সাজানো মামলায় মধ্যরাতে যেভাবে নিয়ে আসা হলো তা অত্যন্ত দুঃখজনক, আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সোহেল আহমদ বলেন, একজন সাংবাদিককে এভাবে ফাসানো ও গ্রেপ্তারের বিষয়টি আমাদেরকে মর্মাহত করেছ।
এ ঘটনায় পুলিশ কোন বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।