স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নে আসন্ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মাঠে সাড়া ফেলেছেন গতবার অল্পভোটে পরাজিত প্রার্থী ও বিশিষ্ট দানশীল ব্যক্তিত্ব মঈনুল হক। জনগণের প্রার্থী হিসেবে তিনি এবার ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। তার সঙ্গে দলমত নির্বিশেষে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষজন নির্বাচনী প্রচারনায় ভিন্নমাত্রা যোগ করেছেন। বিশেষ করে ইউনিয়নের শিক্ষিত তরুণ জনগোষ্ঠী তার সততা ও ষ্পষ্টবাদিতায় মুগ্ধ হয়ে তার পক্ষে মাঠে নেমে কাজ করায় নির্বাচনী মাঠে প্রচারণায় তিনি এগিয়ে আছেন বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
সদর উপজেলার ৮ নং ইউনিয়ন মোহনপুর। ১৬টি গ্রাম নিয়ে গঠিত ইউনিয়নে লোকসংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। এই ইউনিয়নসহ জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদরাসা মন্দিরসহ ধর্মীয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সহযোগিতা করেছেন মঈনুল হক। তিনি সামাজিক সংগঠনসহ আর্ত মানবতার সেবায়ও কাজ করেন। তিনি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার জয়নগরবাজারে তার নামে মঈনুল হক কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন। বর্তমানে কলেজটিতে অনার্স কোর্সও চালু আছে। একটি দর্শনীয় স্পট হিসেবে ভ্রমণার্থীদের কাছে আকর্ষণ তৈরি করেছে কলেজটি। এই কলেজ ছাড়াও তিনি একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন তৈরিসহ অবকাঠামো তৈরি করে দিয়েছেন। তার সমাজসেবামূলক কাজ শুধু নিজ ইউনিয়নে নয় সারাজেলার বিভিন্ন গ্রামে বিস্তৃত।
এলাকাবাসী জানান, গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি মানুষের জন্য অক্লান্ত কাজ করছেন। গত ইউপি নির্বাচনে এলাকাবাসীর ডাকে তিনি নির্বাচনী মাঠে নামেন। অল্পভোটে পরাজিত হন তিনি। পরাজিত হওয়ার পরও তিনি মানুষের সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন। ধর্মীয়, শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্নভাবে মঈনুল হক মানুষকে সহযোগিতা করছেন। এবার নির্বাচনেও ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ তাকে জনগণের প্রার্থী করে আবারও মাঠে নামিয়েছেন। মনোনয়ন জমাদানের পর তিনি প্রতিদিন চষে বেড়াচ্ছেন নির্বাচনী এলাকার হাট মাঠ ও ঘাট। বিশেষ করে ইউনিয়নের তরুণ, শিক্ষিত ও প্রতিশ্রতিশীল গোষ্ঠী তাকে সঙ্গ দেওয়ায় নির্বাচনী প্রচারণায় ভিন্নমাত্রা লক্ষ্য করা গেছে। নির্বাচনী বিশ্লেষকরা মনে করছেন এবার মোহনপুর ইউনিয়নে ভোটের মাঠে তিনিই মূল প্রতিদ্বন্ধিতায় থাকবেন।
মোহনপুর গ্রামের মো. সেলিম বলেন, মঈনুল হক একটি আদর্শের নাম। তিনি এবার ইউনিয়নের জনগণের প্রার্থী হয়েছেন। সততা, সাহস, ষ্পষ্টবাদীতার সঙ্গে তার দানশীল মনোভাব এলাকার মানুষকে আকর্ষণ করেছে। শুধু নিজের ইউনিয়নে নয় জেলার বিভিন্ন গ্রামেই তিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রত্যিষ্ঠানে দান করেন। এই ইউনিয়নের বৃহত্তম গ্রাম মোহনপুরবাসী তাকে এবার অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়েছে। তাছাড়া অন্যান্য গ্রামের সাধারণ ভোটারররাও তার পক্ষে নিরলস কাজ করছেন। তারাও তাকে বিজয়ী দেখতে চান। নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হলে তিনি বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন বলে জানান মো. সেলিম।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মঈনুল হক বলেন, আমি গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে শুধু আমার ইউনিয়নে নয় সারা জেলার বিভিন্ন গ্রামের ধর্মীয়, শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানে সাধ্যমতো সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি। উন্নয়ন বঞ্চনায় পিছিয়ে থাকা আমার ইউনিয়নবাসী আমাকে তাদের খেদমত করার জন্য প্রার্থী করেছেন। আমি তাদের সেবা করতে চাই।