দোয়ারাবাজার প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে মনোয়ারা বেগম (২৫) নামের এক গৃহবধূর ক্ষত বিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহষ্পতিবার দুপুরে উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের কিরণপাড়া গ্রামের পাশ্ববর্তী নদীর নিকটে একটি জঙ্গল থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও নিহতের পরিবারে জানিয়েছে, এক সন্তানের জননী গৃহবধূ মনোয়ারা বেগমের স্বামী ইকবাল হোসেন একই ইউনিয়নের উস্তিঙ্গেরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা রমজান আলীর পুত্র। দীর্ঘ দিন সে ধর্ষণের মামলায় জেল হাজতে ছিল। সম্প্রতি সে জামিনে মুক্ত হয়ে বাড়ীতে এসে বেপরোয়া চলাচল শুরু করে ইকবাল। সম্প্রতি তার স্ত্রী মনোয়রা বেগমের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে উপজেলা সদর ইউনিয়নের টেবলাই এলাকারসোহান নামের এক মোটর সাইকেল ড্রাইভার নিহতের মোবাইলে কল দেয়া কে কেন্দ্র করে স্ত্রীর উপর নির্য়াতনের ষ্টিম রোলার চালায় ইকবাল। গত মঙ্গলবার রাতে ইকবাল তার স্ত্রী ও সন্তান কে নিয়ে বেড়ানোর কথা বলে শশুর বাড়ীতে থেকে বের হলে এর পর থেকে আর তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
শাশুরী আমিনা বেগম গত তিন চার দিন ধরে খোঁজা খুঁজি করেও তাদের কোনো সন্ধান পাননি। তাদের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনও ছিল বন্ধ। গত বুধবার সকালে হঠাৎ ইকবালের মোবাইল ফোন থেকে তার শাশুরীর মোবাইলে কল আসে। তার াকোথায় জিজ্ঞাসা করলে ইকবাল জানায় তার মেয়েকে মেরে বেহেস্তে পাঠিয়ে দিয়েছে। এখন তাকেও বেহেস্ত পাঠানোর হুমকি দেয়। এবং নদীর আসে পাশে লাশ খুঁজতে বলে। পরে কল কেটে দিলে শাশুরী এ ঘটনা পরিবারের মানুষজনকে জানায়।
বৃহষ্পতিবার লোকজন নদী হতে বালু উত্তোলন করতে গেলে গ্রামের নিকটবর্তী মরা নদীর নিকটে একটি জঙ্গলে মৃত লাশের গন্ধ বের হয়। পরে লোকজন ক্ষত বিক্ষত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। বৃহষ্পতিবার দুপুরে দোয়ারাবাজার থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গৃহবধূর ক্ষত বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসাপাতালেপ্রেরণ করেছে। নিহত গৃহবধূর ভাবী মমতাজবেগম জানান, বৃহষ্পতিবার বিকালেও ঘাতক ইকবাল তার শাশুরীর মোবাইলে ফোন দিয়ে মনোয়রা কে হত্যা করার কথা স্বীকার করে তাকেও অকথ্য ভাষায় গালি গলাজ করেছে। বিষয়টি পুলিশ কে জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি এনামুল হক জানিয়েছেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। স্বামী ইকবাল হোসেন বর্তমানে পলাতক রয়েছে। এজহার দেয়া হলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে গ্রেপ্তার পূর্বক স্বামী ইকবালের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।