1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
কুমিল্লায় মবসন্ত্রাসে মা ও ছেলে মেয়েকে হত্যার ঘটনায় মামলা, আটক ২ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ: মিথ্যা অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থা নিবে সরকার সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল: সিন্ডিকেট ভেঙে সেবাকেন্দ্রিক প্রশাসনিক সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।। ইকবাল কাগজী সিলেটে পাথর কোয়ারি খোলার দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি, একাত্মতা প্রকাশ ছিন্নমূল মিনি স্টোন ক্রাশার মিল মালিক সমিতির ধ্রুব এষ পেলেন ব্র্যাক—সমকাল সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩ হাওরে নয়া পানি বাস সংকট সমাধানের জন্য ৮দিনের আল্টিমেটাম সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিএনপি সংবিধান রক্ষার পক্ষে, ছুড়ে ফেলার বিপক্ষে: রুহুল কবির রিজভী সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে আতঙ্কে এনবিআর কর্মীরা তারেক রহমান দেশে ফিরে জনগণের দিশারী হয়ে দেখা দিবেন: কামরুল

১৪৪ দেশে যাচ্ছে বাংলাদেশের কৃষিপণ্য

  • আপডেট টাইম :: বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১০.২৮ এএম
  • ৩২৭ বার পড়া হয়েছে

দৈনিক কালের কণ্ঠ::
মাত্র চার বছরে বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য রপ্তানি প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। আগামী দুই থেকে তিন বছরে সেটা ছয় গুণ হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন এই খাতের ব্যবসায়ী ও কৃষি অর্থনীতিবিদরা। তাঁরা বলছেন, এই বিশাল সম্ভাবনার পথের কাঁটা অশুল্ক বাধা। সেটা দূর করা গেলে রপ্তানি আয়ে শীর্ষে থাকা তৈরি পোশাক খাতের পরেই জায়গা করে নিতে পারে কৃষিজাত পণ্য।

এমন আরো কিছু সমস্যা তুলে ধরে সেগুলো দূর করার পাশাপাশি আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোতে রপ্তানি বাড়াতে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছেন কৃষি অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা।

খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ইউরোপ, আমেরিকা ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশসহ ১৪৪টি দেশে বাংলাদেশি কৃষিজাত পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। একসময় দেশীয় পণ্যে প্রবাসীদের রসনা তৃপ্তির জন্য মুড়ি, চানাচুর ও বিস্কুটের মতো পণ্য রপ্তানি শুরু হয়। এখন এই তালিকায় যোগ হয়েছে জ্যাম-জেলি, সস, নানা রকম মসলা, জুস, সরিষার তেল, আচার, সুগন্ধি চালসহ আরো কয়েকটি পণ্য। যেসব দেশে এগুলো রপ্তানি হচ্ছে সেখানকার মানুষের মধ্যেও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য বলছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য রপ্তানি হতো মাত্র ৫৫ কোটি ডলারের। ২০২০-২১ অর্থবছরে কৃষিপণ্য রপ্তানি থেকে ১০৩ কোটি ডলার আয় এসেছে। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৯ শতাংশের বেশি। চলতি অর্থবছরের (২০২১-২২) প্রথম দুই মাস জুলাই-আগস্টে কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে প্রায় ২১ কোটি ডলার বা এক হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। এ সময় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬ শতাংশের বেশি। গত অর্থবছরের একই সময় আয় হয় ১৭ কোটি ৮২ লাখ ডলার।

বাংলাদেশ কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকারী সংগঠনের (বাপা) সহসভাপতি সৈয়দ মো. শোয়েব হাসান কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোতে অশুল্ক বাধা দূর করা গেলে এবং প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা পেলে আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে ৩০০ কোটি ডলার বা ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি রপ্তানি আয় করা সম্ভব। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজার আরো বাড়াতে ব্র্যান্ড এবং গুণগত মান উন্নয়নে জোর দেওয়া যেতে পারে। এই ক্ষেত্রে বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলো রাখতে পারে কার্যকর ভূমিকা।

খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সঠিকভাবে সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাত না করার কারণে কৃষকের উৎপাদিত বিভিন্ন ফসলের ৩০ শতাংশই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যদি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত করা যায় এবং বিদেশে পাঠানো যায় তবে দেশে কর্মসংস্থান হবে, বৈদেশিক মুদ্রা আসবে। এগিয়ে যাবে দেশের অর্থনীতি। তাঁরা বলেন, কয়েকটি দেশের সঙ্গে পণ্য রপ্তানিতে কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সরকার ও ব্যবসায়ীরা সম্মিলিত উদ্যোগ নিলে রপ্তানির পথ আরো প্রশস্ত হবে। বন্দরে পণ্য পাঠানো সহজ করা, দেশে বিশ্বমানের ল্যাবরেটরি স্থাপন ও রপ্তানিতে শুল্ক-অশুল্ক বাধাকে গুরুত্ব দিতে হবে। তৈরি পোশাক শিল্পের পর সবচেয়ে সম্ভাবনাময় রপ্তানির খাত হিসেবে কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য খাতটি উঠে আসছে বলে মনে করছেন তাঁরা।

বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির মহাসচিব ড. মিজানুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, দেশের কৃষিজাত পণ্য রপ্তানি কিছুটা বাড়লেও এর পরিবহন ব্যবস্থার ঘাটতির ফলে এর বিপুল সম্ভাবনা কাজে লাগানো যাচ্ছে না। তিনি বলেন, পচনশীল পণ্য হিসেবে এ খাতে বিশেষায়িত পরিবহন ব্যবস্থা, বিশ্বমানের কৃষিপণ্য উৎপাদনে ফাইটোস্যানিটারি (উদ্ভিদ স্বাস্থ্য সম্পর্কিত) সনদ, গুড অ্যাগ্রিকালচার প্র্যাকটিস (গ্যাপ) নিশ্চিত করে পণ্য তৈরি করতে হবে। তিনি বলেন, পণ্যের গুণগত মান ঠিক রাখতে রপ্তানিকারক থেকে কৃষক পর্যন্ত নিবিড় যোগাযোগ বাড়ানো এবং মূল্য সংযোজন নিশ্চিত ও সহজ করতে হবে। দেশে বিশ্বমানের কৃষিজাত পণ্যের শিল্প গড়ে তুলতে আন্তর্জাতিক মানসনদের দেশীয় সংস্থা বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডকে (বিএবি) কাগুজে বাঘ হয়ে থাকলে চলবে না।

দেশের কৃষিজাত পণ্যের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান খান চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘দেশের কৃষিজাত পণ্যের সম্ভাবনার তুলনায় রপ্তানি খুব কম হলেও বাড়ছে। এটাকে আরো এগিয়ে নিতে গেলে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর আমাদের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করতে হবে।’ তিনি বলেন, বিশ্বে খাদ্যজাত পণ্যের বড় বাজার রয়েছে, যার পরিমাণ সাত ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি। সেখানে বাংলাদেশের অংশ মাত্র ১০০ কোটি ডলার। আগামীতে আরো দ্রুত এই বাজার বাড়বে জানিয়ে আহসান খান চৌধুরী বলেন, এ জন্য পুঁজি সহায়ক বিনিয়োগ নিয়ে ব্যাংকিং খাতকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি আরো বলেন, ‘২০২৬ সালের পর বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যুক্ত হলে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত সুবিধা হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এই সংকট মোকাবেলায় এখনই আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে।’

ইপিবির তথ্য অনুসারে, ৪৭৯টি প্রতিষ্ঠান ১৪৪ দেশে প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য রপ্তানি করছে। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ ছাড়াও স্কয়ার, বিডি ফুডের মতো আরো অনেক প্রতিষ্ঠানের রপ্তানি বাজারও বেশ বড়। এই প্রসঙ্গে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান জানান, গত অর্থবছরে তাঁদের রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩৪ কোটি ডলার।

বাপার তথ্য অনুসারে, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যের অভ্যন্তরীণ বার্ষিক বাজার ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি। কাজ করছেন প্রায় ২০ লাখ মানুষ। ২০০০ সালের দিকে শুরু হয় এই খাতের পণ্য রপ্তানি। সরকারের ১০ বছরের কর অবকাশ সুবিধা, ২০ শতাংশ নগদ প্রণোদনার ফলে প্রতিযোগী দেশ ভারত, এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলোর পাশাপাশি দ্রুত বাড়ছে দেশের রপ্তানির বাজারও।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!