1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
পৃথিবীকে গুরুত্ব দিয়ে এডিবির সেফগার্ড পলিসি সংশোধনের দাবিতে সুনামগঞ্জে অভিনব কর্মসূচী পরকীয়ার অভিযোগে স্ত্রীকে খুন করার ঘটনায় স্বামীর যাবজ্জীবন চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২.২ ডিগ্রি অব্যাহত! সুনামগঞ্জে প্রাণ ও প্রকৃতির সুরক্ষায় ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপন কার্যক্রম শুরু গরমে অতি উচ্চ ঝূকিতে শিশুরা, ইউনিসেফের সতর্কতা কক্সবাজারে কতজন রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে জানতে চান হাইকোর্ট সোনার দাম ২১০০ টাকা কমলো প্রতি ভরিতে সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ভুতুড়ে বিলে দুশ্চিন্তায় দিনমজুর কবীর দিরাই-শাল্লায় উপজেলা নির্বাচনে প্রতীক পেলেন ২৯ প্রার্থী সুনামগঞ্জের চার উপজেলায় ৫৫জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ

হাওরে পোনা অবমুক্তি: দুই নম্বরির মচ্ছব

  • আপডেট টাইম :: সোমবার, ৫ জুন, ২০১৭, ৪.৩৯ পিএম
  • ৫৪৯ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি::
গত ৩০ এপ্রিল শাল্লা উপজেলায় ফসলহারা সুনামগঞ্জের হাওরবাসীকে সহায়তা দিতে এসেছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মন্ত্রীসভার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীবর্গ। ওইদিন সুধী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী হাওরে মৎস্য পোনা অবমুক্ত বিষয়ে এবার অন্যান্য বছরের চেয়ে গুরুত্ব দেওয়ার কথা জানান। যথাযতভাবে পোনা অবমুক্তকরণের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রী মৎস্যজীবিদেরও সহায়তার আশ্বাস দেন। তবে মৎস্য পোনা অবমুক্ত করা হলেও বরাবরের মতো এবারও নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে। পোনার ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়মের ঘটনাও ঘটেছে। পছন্দের ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে মৎস্য বিভাগের দুর্নীতিবাজ একটি সিন্ডিকেট এবারও বরাবরের মতো লোকদেখানো সামান্য পোনা ছেড়ে বরাদ্দ লোপাটের ধান্দায় রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আরো অভিযোগ রয়েছে এবার সিন্ডিকেট করে পোনা অবমুক্তির ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে ধান চলে যাওয়ার পর এবার হাওরের মাছেরও ব্যাপকভাবে মৃত্যু হওয়ায় সরকারের টনক নড়ে। মাছের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে হাওরে এসে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে যায় আনবিক শক্তি কমিশন, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদলসহ সরকারের ৭টি প্রতিনিধি দল। তারা সবাই মাছের মড়কের কারণ হিসেবে এমোনিয়া গ্যাসের আধিক্যের কথা জানালেও প্রজনন মওসুমে মা মাছের মৃত্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করে অন্যান্য বারের চেয়ে আলাদ গুরুত্ব দিয়ে হাওরে এবার মৎস্য পোনা অবমুক্তকরণের আহ্বান জানান। কিন্তু বাস্তবে এবারও সংশ্লিষ্ট এলাকায় একটি স্থানকে বেছে নিয়ে লোকদেখানো কর্মসূচির মাধ্যমে যতসামান্য পোনা অবমুক্ত করে পুরো বরাদ্দই নয়ছয় করার চেষ্টা করছে।
সুনামগঞ্জ জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এবছর সরকার হাওরে পোনা অবমুক্ত করার জন্য প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন উপজেলার হাওরে রুই ও শিং জাতীয় পোনা মাছ অবমুক্ত করা হচ্ছে। জানা গেছে একটি স্পটকে বেছে নিয়ে কয়েক কেজি পোনা অবমুক্ত করে অনুষ্ঠানের ছবি বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশের কৌশল নিয়েছেন মৎস্য বিভাগের লোকজন। ছবি ছাপানোর জন্য মৎস্য বিভাগের সংশ্লিষ্টরা স্থানীয় পত্রিকায় কর্মরত সাংবাদিকদের নানাভাবে তদবির করে থাকেন। উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে স্থানীয় পত্রিকার সচিত্র প্রতিবেদন দেখিয়ে ষোলআনা পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে মর্মে বাহবা কুড়ান। তবে বাস্তবে একটি স্পটেই লোক দেখানো পোনা অবমুক্ত করে বাকি স্থানে পোনা অবমুক্তকরণের ভূয়া কাগজ-পত্র তৈরি করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া খবর পাওয়া গেছে পোনা অবমুক্ত করণের পরই তাহিরপুরে পোনা মাছ মরে ভেসে ওঠছে। এভাবে অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও পোনা অবমুক্তকরণে নয়ছয় হচ্ছে। ঠিকাদার নিয়োগে প্রতিটি উপজেলায়ই অনিয়ম হয়েছে বলে মৎস্যজীবিরা জানিয়েছেন।
এদিকে স্থানীয় বিশেষজ্ঞরা বলছেন হাওরে পোনা অবমুক্ত করার বদলে রেনু অবমুক্ত করা উচিত। কারণ যে দামে পোনা কিনতে হয় সেই দামে ডাবল রেণু হাওরে অবমুক্ত করা সম্ভব। যার ফলে বিশাল হাওরে মাছের পরিমাণ কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। বর্তমান প্রক্রিয়া ভুল বলে মন্তব্য করেন তারা।
সুনামগঞ্জ হাওর উন্নয়ন সংসদ (হাউস) এর নির্বাহী পরিচালক সালেহীন চৌধুরী শুভ বলেন, হাওর এবার মাছশুন্য। বর্তমান প্রক্রিয়ায় পোনা অবমুক্ত করে লাভ হবেনা। বরং পোনার বদলে রেণু ছাড়া উচিত। এতে বিশাল হাওরে মাছ উৎপাদনের পরিমাণ বেড়ে যাবে বহুগুণ। তিনি আরো বলেন, প্রতি বছরই পোনা অবমুক্ত করার নামে দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়। লোক দেখানো কর্মসূচির মাধ্যমে সামান্য পোনা অবমুক্ত করে বেশিরভাগ বরাদ্দই লোপাট করা হয়। এ নিয়ে সুনামগঞ্জে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে ওঠেছে।
হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান বলেন, এবার দুর্গত হাওরবাসীর জন্য সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে। মাছের ক্ষতি হওয়ায় বিশাল বরাদ্দও এসেছে। কিন্তু বরাবরের মতো সেই বরাদ্দ এবারও বিশেষ কোন পরিকল্পনা না নিয়ে লোক দেখানো কর্মসূচির মাধ্যমে অবমুক্ত করে বরাদ্দ নয়ছয় করা হচ্ছে। এতে হাওরে মাছের উৎপাদনে তেমন প্রভাব পড়বেনা বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে জেলা মৎস্য কর্মকর্মতা শঙ্কর রঞ্জন দাস বলেন, উপজেলা থেকে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়। তারা আমাদের বিভাগের লোকদেন নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীকে নিয়ে পোনা অবমুক্ত করেন। এতে কোন অনিয়ম-দুর্নীতির সুযোগ নেই।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!