হাওর ডেস্ক::
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আগামীকাল সোমবার থেকে ফের লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এবারের লকডাউনে হার্ডলাইনে থাকবে পুলিশ। এ বিষয়ে ঢাকা জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, এবার নির্দেশনা হয়েছে হার্ডলাইনে থাকার। লকডাউনকে বাস্তবায়ন করতে প্রয়োজনে বল প্রয়োগেরও নির্দেশনা রয়েছে। তবে হার্ডলাইনের পাশাপাশি জনগণকে সচেতন করার কার্যক্রমও পুলিশ চালিয়ে যাবে।
পুলিশ জানায়, যেকোনো পরিস্থিতি সামাল দিতে রাস্তায় চেকপোস্ট ছাড়াও সার্বক্ষণিক পুলিশের টহল থাকবে। এ ছাড়া জরুরি কাজে বের হলেও শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে বের হতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে পুলিশি ব্যবস্থার সম্মুখীন হতে হবে।
জানা গেছে, আগের বিধিনিষেধের মতো দেশব্যাপী বিভিন্ন চেকপোস্ট বসাবে পুলিশ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যেন কেউ রাস্তায় বের হতে না পারে তা চেকপোস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে। কেউ নির্দেশনা অমান্য করলে তাকে ছাড় না দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, আজকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনা সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় কিছু শর্তাবলী সংযুক্ত করে আগামীকাল সকাল ৬টা থেকে থেকে ১ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো।
এ নিষেধাজ্ঞায় রিকশা ব্যতীত অন্যান্য সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। চলবে শুধু পণ্যবাহী যান। এ ছাড়া শপিংমল-মার্কেট, বিনোদনকেন্দ্র, রিসোর্ট, সরকারি-বেসরকারি সব অফিস বন্ধ থাকবে।
লকডাউনের সরকার কর্তৃক যেসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তা হলো :
১। সারা দেশে পণ্যবাহী যানবাহন ও রিকশা ব্যতীত সকল গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়মিত টহলের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
২। সকল শপিংমল, মার্কেট, দোকানপাট, পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার এবং সব ধরনের বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
৩। খাবারের দোকান, হোটেলে রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮ট পর্যান্ত খোলা থাকবে। এসব হোটেল-রেস্তোরাঁ শুধুমাত্র খাবার বিক্রয় করতে পারবে। হোটেল রেস্তোরাঁয় বসে কেউ খেতে পারবেন না।
৪। সরকারি-বেসরকারি সকল অফিস ও প্রতিষ্ঠান শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় সংখ্যক উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় লোকজন আনা-নেওয়া করবে।