1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ০২:১৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
কুমিল্লায় মবসন্ত্রাসে মা ও ছেলে মেয়েকে হত্যার ঘটনায় মামলা, আটক ২ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ: মিথ্যা অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থা নিবে সরকার সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল: সিন্ডিকেট ভেঙে সেবাকেন্দ্রিক প্রশাসনিক সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।। ইকবাল কাগজী সিলেটে পাথর কোয়ারি খোলার দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি, একাত্মতা প্রকাশ ছিন্নমূল মিনি স্টোন ক্রাশার মিল মালিক সমিতির ধ্রুব এষ পেলেন ব্র্যাক—সমকাল সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩ হাওরে নয়া পানি বাস সংকট সমাধানের জন্য ৮দিনের আল্টিমেটাম সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিএনপি সংবিধান রক্ষার পক্ষে, ছুড়ে ফেলার বিপক্ষে: রুহুল কবির রিজভী সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে আতঙ্কে এনবিআর কর্মীরা তারেক রহমান দেশে ফিরে জনগণের দিশারী হয়ে দেখা দিবেন: কামরুল

এমপি রতনসহ ৬ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা, নিশ্চিত করল দুদক

  • আপডেট টাইম :: মঙ্গলবার, ২২ জুন, ২০২১, ৩.৪৮ পিএম
  • ২১৭ বার পড়া হয়েছে

হাওর ডেস্ক ::
দুর্নীতির এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্তের প্রয়োজনে চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে নির্বাচিত এমপি ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী,ভোলার এমপি নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন ও সুনামগঞ্জের এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনসহ ছয়জনের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিব ড. মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সেগুন বাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

দুর্নীতির এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্তের প্রয়োজনে চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে নির্বাচিত এমপি ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী,ভোলার এমপি নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন ও সুনামগঞ্জের এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনসহ ছয়জনের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছন দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিব ড. মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সেগুন বাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

দুদক সচিব আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘অভিযুক্তরা প্রভাবশালী এবং দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। দুদক অনুসন্ধানে ইতিমধ্যে তথ্য প্রমাণ উঠে এসেছে। অভিযুক্তরা যেন দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার শঙ্কা থেকেই আদালতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হয়। দুদকর আবেদনের প্রেক্ষিতেই ছয় জনের বিরুদ্ধে দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত।’

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত এই আদেশ দেন। গত ১৩ জুন আদালত থেকে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। গত কয়েক বছরে ক্যাসিনোকাণ্ডসহ বিভিন্ন উপায়ে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অনুসন্ধানে হুইপ সামশুল হকের নাম উঠে আসে। তাঁর সম্পদের পরিমাণ এক হাজার ৫৪৬ শতাংশ বেড়েছে বলে অভিযোগ আছে।

এর আগে অনুসন্ধান শুরুর পর ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর সামশুল হকের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইমিগ্রেশনে চিঠি দিয়েছিল দুদক। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, বিভিন্ন বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় আলোচনায় উঠে আসেন হুইপ সামশুল হক চৌধুরী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তাঁর ছেলে নাজমুল করিম চৌধুরী শারুনসহ পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতির বিষয়েও অনুসন্ধান চলছে।

আদালত আরো যে পাঁচজনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন তাঁরা হলেন সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম প্রধান সাজ্জাদুল ইসলাম, একই মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল হাই এবং ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের কর্মচারী আবুল কালাম আজাদ। দুদকের আগের বিদেশ গমনের নিষেধাজ্ঞার চিঠিতে হুইপ সামশুল হকসহ ২২ জনের নাম ছিল। সেখানেও ছিল সংসদ সদস্য শাওন, প্রকৌশলী আব্দুল হাই ও ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের আজাদের নাম। অনুসন্ধান চলাকালে এই ব্যক্তিরা বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন বলে গত ৭ জুন নিষেধাজ্ঞা জারির জন্য আদালতে আবেদন করেন দুদকের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা। এর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের হাকিম কে এম ইমরুল কায়েশ এই ছয়জনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।

দেশজুড়ে জুয়া, ক্যাসিনো বন্ধে শুরু হওয়া র‌্যাবের অভিযান সম্পর্কে সমালোচনা করে বিতর্কের জন্ম দেন সামশুল হক চৌধুরী। তিনি বলেছিলেন, ‘তিন-চার ঘণ্টা চট্টগ্রাম আবাহনী ক্লাব ঘিরে রেখে অভিযান পরিচালনা করা হলো। র‌্যাবের অভিযানে ক্লাবের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। কোনো ক্লাবে যদি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে জুয়া বা ক্যাসিনো ব্যবসা চলে, তা নিশ্চিত হয়ে এবং খোঁজখবর নিয়েই অভিযান চালানো উচিত।’ তাঁর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম আবাহনী ক্লাবে জুয়ার আসর বসিয়ে ১৮০ কোটি টাকা আয়ের অভিযোগ তোলেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। এরপর অদৃশ্য শক্তির চাপে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়। গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর হুইপ সামশুল হকের কুশপুত্তলিকায় ঘৃণা প্রদর্শন এবং তা ডাস্টবিনে ফেলে প্রতিবাদ জানায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে মানববন্ধন করে সংবিধান লঙ্ঘন ও শপথভঙ্গের অপরাধে সামশুল হক চৌধুরীকে অপসারণেরও দাবি জানানো হয়। জুয়ার পক্ষে সাফাই গাওয়ার বিরোধিতা করে হুইপ সামশুল হক চৌধুরী আবাহনী ক্লাবে জুয়ার আসর বসিয়ে দিনে ছয় লাখ টাকা আয় করেন বলে ক্লাবের ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান এবং নগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী দাবি করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দিদারুলকে হত্যার হুমকি দেন হুইপের ছেলে শারুন। পরে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন দিদারুল।

দুদক সূত্র জানায়, ক্যাসিনোকাণ্ডের গ্যাংয়ের সঙ্গেই বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের হোতা সামশুল হকের ব্যাপারে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। ক্লাবে জুয়ার কারবারে তাঁর জড়িত থাকার প্রাথমিক তথ্যও মেলে। তবে করোনার কারণে অনুসন্ধান পর্যায়েই আছে সব অভিযোগ। নির্বাচনী হলফনামায় প্রদর্শিত সম্পদের বাইরেও নামে-বেনামে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন সামশুল হক ও তাঁর স্ত্রী। বিদেশে পাচার করেছেন বিপুল অর্থ। ২২ জনের সঙ্গে বিদেশ গমনের নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি সামশুল হকের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) অনুরোধ জানায় দুদক। অভিযোগ তদন্ত করতে ২০১৯ সালেই সামশুল হক চৌধুরীর পিএ নুর উর রশীদ চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন অনুসন্ধানকারীরা।

সূত্র জানায়, যুবদল ও জাতীয় পার্টির রাজনীতি থেকে ভোল পাল্টে আওয়ামী লীগে এসে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছেন সামশুল হক চৌধুরী। তাঁর সম্পদ বাড়ছে অস্বাভাবিক গতিতে। ২০০৮ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর মাত্র ১০ বছরে সামশুল হক চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে অন্তত এক হাজার ৫৪৬ শতাংশ। তিন নির্বাচনের সময় দেওয়া হলফনামা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, যেন ‘আলাদিনের চেরাগ’ পেয়ে সামশুল ও তাঁর স্ত্রী হয়ে উঠেছেন সম্পদশালী। ২০০৮ সালে নির্বাচনে শ্যালক ও ভায়রার কাছ থেকে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা এবং নিজের মাত্র ৫০ হাজার টাকা নিয়ে সংসদ নির্বাচনের মাঠে নেমেছিলেন সামশুল। ওই সময় তিনি এতই দরিদ্র ছিলেন যে তাঁর হাতে নগদ টাকা ছিল মাত্র এক হাজার ৩৬৯ টাকা। আর তাঁর স্ত্রীর কোনো সম্পদ ছিল না।

২০০৮ সালে সামশুল হক চৌধুরী ২১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৬৯ টাকার সম্পদের মালিক ছিলেন। পাঁচ বছর পর ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে জমা দেওয়া হলফনামায় তাঁর সম্পদের পরিমাণ বাড়ে ৫৩০ শতাংশ। এই সময়ই তাঁর স্ত্রী লাখপতি হয়ে ওঠেন। ২০১৪ সালে নিজেই ব্যয় করেন ২০ লাখ টাকা। এই সময় সামশুল হকের ব্যাংক হিসাবে জমা ছিল ৪০ লাখ ১২ হাজার ৩৬৬ টাকা। ২০০৮ সালে তাঁর একটি প্রাইভেট কার ছিল। ২০১৪ সালে সেটি পরিবর্তন করে ৬১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দামের গাড়ি ব্যবহার করেন তিনি। এই সময়ে তিনি পটিয়ার রশিদাবাদ গ্রামে ‘রাজপ্রাসাদ’ নির্মাণ করেন।

২০১৮ সালের হলফনামায় দেখা যায়, সামশুল দম্পতির ভূ-সম্পত্তি বেড়েছে ৩২ লাখ টাকার। অস্থাবর সম্পদের সঙ্গে ডলার যুক্ত হয় প্রায় ২৭ লাখ টাকার। ব্যাংকে জমা ছিল ৯২ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে জমা ছিল ১৬ লাখ ৮৭ হাজার ৬৩৮ টাকা। স্বামী-স্ত্রী দুজনের বন্ড বা ঋণপত্র সম্পদ যুক্ত হয়ে পাঁচ লাখ টাকার সঙ্গে ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও অলংকারের পরিমাণও বাড়ে। স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পাহাড় আড়াল করতে সম্পদের মূল্য নামমাত্র দেখিয়েছেন হলফনামায়। কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বাড়ির নির্মাণ ব্যয় দেখানো হয়েছে মাত্র ৪৮ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। রিয়াজুদ্দিন বাজারের মতো একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এলাকায় ৯০০ বর্গফুটবিশিষ্ট চারতলা ভবন তথা তিন হাজার ৬০০ বর্গফুট ভবনের মূল্য উল্লেখ করেন দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা। প্রতি বর্গফুটের দাম মাত্র ৭৭.৭৮ টাকা! এ যেন ‘শায়েস্তা খাঁ’র আমলের বাজারমূল্য। সূত্র : কালের কণ্ঠ

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!