1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলার দর্শকদের জন্য সুখবর নিয়ে এলো ‘পুষ্পা টু’ ঢাকায় পৌঁছেছেন বাংলাদেশের নতুন স্পিন কোচ মুশতাক আহমেদ ইউটিউবার টিম রাকিব পুলিশের সামনে মিথিলাকে পেটাল রূপান্তর নাটক: ট্রান্সজেন্ডার নাটকটি করায় জোভানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা বুবলীর আগের একটি সংসার ছিল ও একটি মেয়ে আছে: সুরুজ বাঙালি চোরাইপথে কয়লা আনতে গিয়ে পাথরে চাপায় এক যুবক নিহত দিরাই-শাল্লায় বিএনপির দুই নেতাসহ চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন নয় জন প্রার্থী ইতালির লিগ পাঁচ ম্যাচ হাতে রেখেই শিরোপা জিতলো ইন্টার মিলান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসলেন কাতারের আমির নরেন্দ্র মোদীর মন্তব্য সন্ত্রাসীদের ঘরে ঢুকে মারা’ এই বিষয়টি নিয়ে যা বলেছে যুক্তরাষ্ট্র

সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের দ্বন্ধ নিরসন ও একজন হাসান শাহরিয়ার

  • আপডেট টাইম :: শনিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২১, ৯.৪১ পিএম
  • ১৮৮ বার পড়া হয়েছে

রনেন্দ্র তালুকদার পিংকু::
১৯৯০ সালে সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবে দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর সিনিয়র সাংবাদিক অ্যাড. আবু আলী সাজ্জাদ হোসাইনের নেতৃত্বে একটি প্যানেল ঘোষণা হয়। ওই প্যানেলে রশিদ হুমায়ূন, আইনুল ইসলাম বাবলু, ইশতিয়াক শামীমসহ আরো অনেকেই ছিলেন। ঠিক তার বিপরীতে আরেকটি প্যানেল তাহের আলম মনসুরের নেতৃত্বে মরহুম শাহনেওয়াজ জাহান, অ্যাড. রনেন্দ্র তালুকদার পিংকু, লতিফুর রহমান রাজু, শেরগুল আহমেদ, মরহুম আবেদ মাহমুদ চৌধুরীসহ আরো অনেকেই ছিলেন। ওই প্যানেলটির দাবি ছিলো প্রেসক্লাবের নতুন ভোটার করা গণতান্ত্রিক উপায়ে প্রতি বছর নির্বাচন করাসহ প্রেসক্লাবের উন্নয়নের জন্য সব তরুণ সাংবাদিকরা একত্রিত হয়। তখনকার সময়ে দৈনিক পত্রিকার সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি সৈয়দ সেলিম আহমেদ নিরপেক্ষে অপবস্থান থেকে আমাদের পক্ষাবলম্বন করায় আমাদের বিরোধীপক্ষ নির্বাচন স্থগিত করার জন্য নানা অজুহাত খোঁজে। এক পর্যায়ে সাংবাদিক ইশতিয়াক শামীম প্রেসক্লাবের নির্বাচনের ব্যালট পেপারসহ বিভিন্ন কাগজপত্র সরবরাহ করার জন্য আবেদন করেন। তৎ সময়ে প্রেসক্লাবের সভাপতি জনাব শহিদুজ্জামান চৌধুরী ও নির্বাচন কমিশনার মো. ইউনুস মিয়া অপ্রোতুলতার জন্য কাগজপত্র সরবরাহ করতে পারেননি। মূলত সে সময়ে প্রেসক্লাবে নির্বাচন পদ্ধতিটা আলোচনার মাধ্যমেই হতো। বিরোধীপক্ষ আমাদের জয় নিশ্চিত জেনে নির্বাচন বানচালের জন্য এ ধরনের কিছু প্রশ্ন উত্তাপন করায় নির্বাচন কমিশন প্রেসক্লাবের নির্বাচন স্থগিত করেন। পরবর্তীতে দীর্ঘদিন অচলাবস্থা বিরাজ করে প্রেসক্লাবে। সিনিয়র সাংবাদিক অ্যাড. আবু আলী সাজ্জাদ হোসাইন নিষ্কৃয় হয়ে পড়েন। প্রেসক্লাবের তৎকালীন সভাপতি অ্যাড. শহিদুজ্জামান চৌধুরী আইন পেশায় বেশি মনোনিবেশ করায় প্রেসক্লাবের দিকে আর নজর দেননি। ফলে সংক্ষুব্ধ সাংবাদিক ফখরু কাজী প্রেসক্লাবে তালা ঝুলিয়ে দেন। প্রায় দুই বছর অচলাবস্থায় থাকার পর সাংবাদিক হাসান শাহরিয়ার উনার পত্রিকার ছুটিকালীন সময়ে নিজ বাসা হাছননগরে কিছু দিন অবকাশকালীন ছুটি কাটান। তখন প্রেসক্লাবের দু’টি গ্রুপই উনার বাসায় পালাক্রমে যাথায়াত করতেন। দু’টি গ্রুপই উনাদের বক্তব্য জনাব হাসান শাহরিয়ারের কাছে পেশ করতেন। জনাব তাহের আলম মনসুরের নেতৃত্বে আমরা সন্ধ্যা রাতে উনার বাসায় আলোচনা করার জন্য সাক্ষাৎ প্রার্থী হই। আমাদের আলোচনা শেষ হলে অপর গ্রুপ তাদের বক্তব্য পেশ করতো। এভাবে প্রায় এক সপ্তাহ উনার বাসায় গভীর রাত পর্যন্ত খাওয়া-দাওয়া হতো আড্ডা হতো। এভাবে দু’টি গ্রুপই শাহরিয়ার ভাইয়ের আন্তরিকতায়, মনের দিক থেকে কাছাকাছি চলে আসার পর শাহরিয়ার ভাই প্রেসক্লাবের নুতন কমিটি গঠন করা নিয়ে আলোচনা করেন। সপ্তাহব্যাপী দিনের বেলায় আমাদের সবাইকে নিয়ে নারায়ণতলা মিশন, ট্যাকেরঘাটসহ নানা জায়গায় আনন্দ ভ্রমণে ঘুরে বেড়াতেন। যে দিন আমাদের দিনের বেলা কোথাও প্রোগ্রাম থাকতো না সেদিন শাহরিয়ার ভাইয়ের বাসায় আড্ডা হতো। শাহরিয়ার ভাইয়ের বড় ভাই হোসেন তওফিক সাহেবও যুক্ত হতেন আমাদের সাথে সেই আড্ডায়। প্রায় প্রতিদিন রাতে রশিদ হুমায়ূন, আইনুল ইসলাম বাবলু, মরহুম আজিজুল ইসলাম চৌধুরী, ফখরু কাজী, সৈয়দ সেলিম আহমেদ, মরহুম শাহনেওয়াজ জাহান, রনেন্দ্র তালুকতার পিংকু, ম.ফ.র ফুরকান, নিরঞ্জন তালুকদার, লতিফুর রহমান রাজু, ঝুনু চৌধুরী, মরহুম আবেদ মাহমুদ চৌধুরী, শেরগুল আহমেদ, ইশতিয়াক শামীমসহ আরো অনেকেই উপস্থিত হতেন। এক পর্যায়ে প্রেসক্লাবের নূতন কমিটি গঠন করা নিয়ে দিন তারিখ ধায্য করা হয়। যথারীতি ওই তারিখে সভা আহ্বান করা হয়। প্রেসক্লাবের সকল সদস্যদের অনুরোধে ওই সভায় হাসান শাহরিয়ার সাহেবও উপস্থিত হন। সভায় প্রেসক্লাব রাজনীতির বরপুত্র অকৎশাতভাবে নূতন কমিটির সভাপতি মনোনীত হন কামরুজ্জামান চৌধুরী। প্রেসক্লাবের অন্যান্য সদস্য মনোনীত করার জন্য তাহের আলম গ্রুপ থেকে আমি রনেন্দ্র তালুকদার পিংকুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। অপর গ্রুপের ইশতিয়াক শামীমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। আমি এবং ইশতিয়াক শামীম মিলে পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করি। এই সময়ে ম.ফ.র ফুরকান ও নিরঞ্জন তালুকদার উপস্থিত ছিলেন। শাহরিয়ার ভাই প্রেসক্লাবের তালা খোঁলে দেন। উৎসবমুখর জমজমাট পরিবেশ সৃষ্টি হয় প্রেসক্লাবের। আবার শুরু হয় কারো না কারো বাসায় দাওয়াত পর্ব। এভাবে প্রায় মাসাধিকাল ব্যাপী শাহরিয়ার ভাইয়ের নেতৃত্বে খাওয়া-দাওয়া-আড্ডা চলতেই থাকে। এক পর্যায়ে আমাদের সাথে জুনিয়র সাংবাদিক পংকজ দে, মাসুদ আলম চৌধুরী, মুহিবুর রহমান চৌধুরীসহ আরো অনেকেই এই আড্ডায় যুক্ত হতে থাকেন। এই বরণীয় সাংবাদিক হাসান শাহরিয়ারের এই একমাসের আড্ডার কথা অল্প কথায় লেখা দূরূহ। পরবর্তীতে শাহরিয়ার ভাই সুনামগঞ্জ আসলে আড্ডায় আড্ডায় কেটে যেত দিন-রাত। শাহরিয়ার ভাই চলে গেলেন আমাদের আরো কিছু চাওয়ার ছিলো, পাওয়ার ছিলো।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!