বিশেষ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা যাছাই বাছাই কমিটিতে অভিযুক্তদের না রাখতে জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন সুনামগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সদস্যসচিব ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মালেক হুসেন পীর। ২০২১ সনের যাছাই-বাছাই কমিটিতে ২০১৭ সনের অভিযুক্তদের না রাখার দাবি জানিয়ে রবিবার দুপুরে তিনি এই আবেদন করেন।
লিখিত আবেদন থেকে জানা যায়, ২০১৭ সনে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা যাছাই বাছাই কমিটিতে জেলা কমা-ার হাজি নূরুল মোমেনকে সভাপতি করা হয়। নীতিমালা অনুযায়ী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমা-ার সভাপতি হওয়ার কথা থাকলেও নিয়ম বহির্ভূতভাবে তিনি সভাপতি হয়ে তার প্রতিনিধি হিসেবে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার যাছাই বাছাই তালিকার প্রথম ব্যক্তি মো. আব্দুল মতিনকেও নিয়ম ভঙ্গ করে সদস্য করে নেন। লিখিত অভিযোগ থেকে মালেক হুসেন পীর আরো উল্লেখ করেন হাজী নূরুল মোমেন সুনামগঞ্জ বা সিলেট জেলার কোথাও মুক্তিযুদ্ধ করেননি। তিনি কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর এলাকায় মুক্তিযুদ্ধ করেন। তাই সুনামগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে তার কোন ধারণা নেই। স্বাধীনতার পর ভাগ্যন্বেষনে তিনি সুনামগঞ্জে আসেন। তাই ২০২১ সনের যাছাই বাছাই সংক্রান্ত কমিটিতে নূরুল মোমেন ও তার প্রতিনিধির বদলে জেলার প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অন্তর্ভূক্তির আবেদন জানান।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা মালেক হুসেন পীর বলেন, ২০২১ সনে বীর মুক্তিযোদ্ধা যাছাই বাছাই কমিটিতে অভিযুক্তদের না রাখার দাবিতে আমি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। নীতিমালা মেনে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে জেলার যে কোন স্থান থেকে কমিটিতে অন্তভূর্ক্তির আবেদন করেছি।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, যাছাই বাছাই কমিটির অনুমোদন দেয় মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়। আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধার আবেদন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করব।